HEY YOU, JOIN US & CONNECT TO BOIPUSTOK!
Learn and gain knowledge about the life stories of sages and celebrities
In stock
49 krকারবালা, ইমাম মাহদি, দাজ্জাল, গজওয়ায়ে হিন্দ- প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা প্রসঙ্গ। ইমাম মাহদি আর দাজ্জাল বিষয় দুটি পরস্পর সংশ্লিষ্ট হলেও বাকিগুলো একেবারেই আলাদা। তবে এক জায়গায় এ বিষয়গুলোর খুব মিল আছে। আর তা হলো- এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রচুর মিথ চালু রয়েছে মুসলিম সমাজে। কারবালা, ইমাম মাহদি, দাজ্জাল ও গজওয়ায়ে হিন্দ প্রত্যেকটি বিষয়েই রয়েছে আল্লাহর রাসূলের হাদিস। আছে সেসব হাদিসের ওপর পূর্ববর্তী স্কলারদের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যাখ্যা ও বিভিন্ন মন্তব্য। কিন্তু সেসব হাদিস ও এর ব্যাখ্যা নিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ আলোচনা হয় প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম। কল্পনা আর ধারণার ওপর ডালপালা ছড়ানো চমকপ্রদ আলোচনাই চলে বেশি। অথচ সেসব প্রচলিত মিথ ও কিংবদন্তির তেমন কোনো তাত্ত্বিক ভিত্তি নেই। ড. ইয়াসির ক্বাদির প্রাসঙ্গিক চারটি আলোচনার সংকলন এ বইটি এসব বিষয়ে আপনাকে দেবে একটি সামগ্রিক ধারণা।
In stock
39 krকারাগারের রাতদিন
লেখক : জয়নাব আল গাজালী
প্রকাশনী : প্রফেসর’স বুক কর্ণার
বিষয় : মহীয়সী নারী জীবনী
পৃষ্ঠা : 256, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 9th Published, 2008
In stock
10 krকিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা
একটি হাদীসতাত্ত্বিক পর্যালােচনা
প্রারম্ভিকা: রাতের আঁধারে সালাতের মাধ্যমে আপন রবের নির্জন সান্নিধ্যে সময় কাটানাে মুমিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তির ওয়াসিলা। কুরআন ও সুন্নাহ মুমিনকে রাতের নির্জনতায় সালাত ও কিয়ামে উৎসাহিত করেছে। কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদের জন্য সাধারণভাবে উৎসাহিত করেছে বছরের সকল রাতেই আর বিশেষভাবে রমাযানের রাতে । কিতাব ও সুন্নাহ রাতের সালাতকে মুমিনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্বপূর্ণ সিফাত বলে উল্লেখ করেছে।
ইশার পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত সময়ে আমাদের আদায় করা সকল নফল সালাতকেই ‘কিয়ামুল লাইল’ বা ‘সালাতুল লাইল’ বলে। তাহাজ্জুদ’ শব্দটির উদ্দেশ্য ঘুম থেকে উঠে যে সালাত আদায় করা হয়। আর রমাযান মাসের রাতের সালাতকে ‘তারাবীহ’ বা বিশ্রামের সালাত’ বলা হয়। কেননা এ সালাতে প্রত্যেক চার রাকআত পরপর বিশ্রাম করা হয়।
কিয়ামুল লাইল, বিশেষ করে রমাযান মাসের তারাবীহর সালাতের রাকআত সংখ্যা নির্ধারণে বর্ণনাসমূহে ভিন্নতা রয়েছে। এ পর্যায়ে সাধারণভাবে রাতের সালাত, বিশেষকরে রমাযানের রাতের সালাতের রাকআত সংখ্যার ব্যাপারে বর্ণিত মার’, মাওকুফ ও মাকতূ হাদীসসমহ পর্যালােচনার প্রয়াস পাব। মহান আল্লাহ তাওফীক দাতা।
In stock
13 krমানবজীবনের প্রয়ােজনীয় সকল বিষয়ের মৌলিক নীতিমালা যে কুরআনে পেশ করা হয়েছে, সেখানে অবশ্যই সব রকম সুস্থতারও নিশ্চয়তা রয়েছে। আল্লাহর নেক বান্দাগণ কুরআন থেকে যেসব রােগের চিকিৎসা খুঁজে বের করেছেন, এটি তার একটি সংকলন।
কুরআনের তাৎপর্য ও মাহাত্ম নিয়ে যুগে যুগে যেমনি গবেষণা চলছে, তেমনি কুরআন থেকে চিকিৎসা গ্রহণের প্রচেষ্টাও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ কুরআনকে “রােগের উপশমকারী ও রহমত” হিসেবে ঘােষণা দেওয়ার পর মানসিক ও শারীরিক এমন কোনাে রােগ থাকতেই পারে না, যার নিরাময় কুরআনে নেই। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর কর্তব্য হলাে, গভীর বিশ্বাস, নেক আমল ও পবিত্র জীবনযাপনের মাধ্যমে নিজের কল্যাণ, হেফাযত ও সুস্থতার প্রয়ােজনে কুরআন থেকে ফায়দা হাসিলের জন্য সচেষ্ট হওয়া।
আমেরিকার ফ্লোরিডা অঞ্চলে “ইসলামী চিকিৎসা বিজ্ঞান ফাউন্ডেশন” কুরআন তিলাওয়াতের প্রভাব জানতে কতিপয় অসুস্থ ব্যক্তির উপর এক ব্যাপক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। উক্ত গবেষণায় দেখা যায় যে, মানসিক প্রশান্তি সৃষ্টির ক্ষেত্রে ৯৭পার্সেন্ট পর্যন্ত কুরআন তিলাওয়াতের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসা বিষয়ক সুদীর্ঘ পরীক্ষা কর্মসূচি এমনভাবে চালানাে হয়েছিল যে, আরব-অনারব কতিপয় মুসলিম এবং অমুসলিমের ওপর কুরআন তিলাওয়াত শুনানাের পর তাদের মানসিক অবস্থার উপর এর প্রভাব পরিমাপ ও রেকর্ড করা হয়।
In stock
14 krআধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতা মানুষের জৈবিক বা পাশবিক জীবনকেই একমাত্র উদ্দেশ্য হিসাবে গ্রহণ করেছে। এজন্য পাশ্চাত্য সভ্যতার দৃষ্টিতে ‘স্মার্টনেস’ বা ‘ব্যক্তিত্বে’-র অন্যতম বৈশিষ্ট্য ‘অহঙ্কার’। যাকে দেখলে যত ‘অহঙ্কারী’ বা ‘কঠিন’ মনে হবে সে তত বেশি ‘ব্যক্তিত্বসম্পন্ন’ বা ‘স্মার্ট’। পাশ্চাত্য পোশাক পরিচ্ছদে এই বৈশিষ্ট্য রক্ষার জন্য সদা চেষ্টা করা হয়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নির্দেশ মত টাখনু পর্যন্ত পোশাক পরিধান করলে দেখতে খারাপ দেখায়, সেকেলে মনে হয় বা স্মার্টনেস পরিপূর্ণ হয় না সেজন্য টাখনুর নিচে নামিয়ে পোশাক পরতে হয়। আর এই অনুভুতিটির নামই অহমিকা, অহংকার, গর্ব ও গৌরব। স্মার্ট দেখানোর উদ্দেশ্যে পোশাক ভূলুণ্ঠিত করাকেই হাদীসের ভাষায় গৌরব বা গর্বভরে পোশাক ভূলুণ্ঠিত করা বলা হয়েছে। মনের গভীরে এই অহমিকা, “স্মার্ট দেখানোর” আগ্রহ ছাড়া কেউই ইচ্ছাকৃতভাবে পায়ের গিরা আবৃত করে পোশাক তৈরি করেন না বা পরেন না। সর্বোপরি উপরের হাদীসগুলি জানার পরে কেউ ভাবতে পারেন না যে ইচ্ছাকৃতভাবে পোশাক নামিয়ে পরা কোনোভাবে জায়েয হতে পারে।… বিস্তারিত জানতে “কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা” বইটি পড়ুন
In stock
6 krআমরা ইসমাঈল (আ), ইবরাহীম (আ) বা অন্য কারো স্মৃতির প্রতি সম্মানার্থে, স্মৃতি বা রীতি পালনে “কুরবানি” করি না। হজ্জ ও কুরবানির ঘটনার সাথে ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) এর স্মৃতি বিজড়িত। কিন্তু আমরা তাঁদের স্মৃতির জন্য এ সকল ইবাদত পালন করি না। আমরা মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য কুরবানি করি। মহান আল্লাহ বলেছেন: “অতএব তুমি তোমার রবের জন্য সালাত আদায় কর এবং কুরবানি কর।” (সূরা (১০২) কাউসার: ২ আয়াত) আমরা রাসূলুল্লাহ (স.) এর সুন্নাত অনুসরণে এগুলি পালন করি। তিনি এগুলি পালন, অনুমোদন ও বিধিবদ্ধ করেছেন বলেই আমরা তা পালন করি। ইবরাহীম (আ) এর সবচেয়ে প্রসিদ্ধ স্মৃতি-বিজড়িত বস্তু “মাকাম ইবরাহীম”। কুরআনে মাকামে ইবরাহীমকে সুস্পষ্ট আয়াত বা মুজিযা ও নিদর্শন বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা কেউ মাকামে ইবরাহীম চুম্বন করি না, বরং “হাজারে আসওয়াদ” চুম্বন করি। কারণ রাসূলুল্লাহ (স.) এরূপই করেছেন। কুরবানী সম্পর্কি তথ্যবহুল আলোচনা রয়েছে এই বইটিতে…
In stock
10 krলেখক : ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
প্রকাশক : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
বিষয় : হজ্জ-উমরাহ ও কোরবানি
In stock
25 krপ্রশ্নটি আজকের নয়। প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে এসেছিল এ প্রশ্ন। উত্তরও এসেছিল মহান রবের পক্ষ থেকে। খুবই সরল সমীকরণ। আল্লাহ তাআলা দ্বীন দিয়ে তা আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নবি পাঠিয়েছেন। তাঁর সহযোগী ও সহচর হিসেবে নির্বাচন করেছেন উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। তাঁরা দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করেছেন। এতদ্সত্ত্বেও এ সহযোগিতা রাসুলের ওপর উম্মাহর কোনো ইহসান ছিল না; বরং তাঁর কাজে শরিক হতে পারাটাই তাঁদের জীবনের সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য বলে বিবেচনা করা হয়।
আল্লাহ তাআলা পরিষ্কার করে ঘোষণা দিয়েছেন যে, যদি তোমরা আমার রাসুলের কাজে সাহায্য-সহযোগিতা না করো, তাহলে মনে রেখো, আল্লাহ স্বয়ং নিজেই তাঁর সাহায্য করবেন; যেমনিভাবে পূর্বে করেছেন। এ সম্বোধন কেবল সাহাবিদের জন্যই নয়; বরং কিয়ামত পর্যন্ত আগত প্রতিটি মুমিনই এ সম্বোধনের পাত্র।
সাহাবায়ে কিরাম উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়ে রাসুলের সাহায্য করেও যদি এমন কঠিন সম্বোধনের শিকার হন, তাহলে আমাদের মতো অলস, উদাসীন ও নিষ্কর্মাদের ব্যাপারে এটা কত বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে, তা কি কেউ চিন্তা করে দেখেছে কখনও? কোন পদ্ধতিতে কাজ করলে বেশি সহযোগিতা হবে? কোন কোন বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে? এমন নানা বিষয় নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজনে থাকছে ড. রাগিব সারজানি বিরচিত ‘কে হবে রাসুলের সহযোগী’।
In stock
8 kr“কোরআন ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পর্দা” বইটির কিছু কথাঃ
পর্দা শব্দটি মূলতঃ ফার্সী। যার অর্থ আবরণ বা ঢাকনা। আরবী ভাষায় বলে হিজাব। পবিত্র কালামে একাধিক সূরাও রয়েছে তাতে পর্দা সংক্রান্ত | বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে। আমরা অনেকে পদা বলতে অবরােধ প্রথা বা নারীকে চার দেয়ালের ভিতর গৃহবন্দী করে রাখা বুঝি। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে পর্দা হচ্ছে পােষাক ও আচরণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ জীবন গঠন করা। | বর্তমান যুগে পদা একটি সামাজিক ভদ্রতার প্রতীক ও আভিজাত্যের পরিচায়ক। সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি বহুল আলােচিত বিষয়, যা এক শ্রেণীর লােকের নিকট অত্যন্ত মর্যাদার বিষয় বস্তু। তারা চান মানুষ পর্দার মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান মেনে পশুত্বকে বাদ দিয়ে সৃষ্টর সেরা হিসাবে বেচে থাক। অবহমানকালের এ চিররীতি বজায় রেখে সমাজ জীবনের ভীতকে মজবুত করুক। পারিবারিক বন্ধনকে করুক আরও সু-দৃঢ়।
আরেক শ্রেণীর লােকের নিকট এটি একটি সমালােচনার বিষয়। তাদের ভাষায়, সেকেলের গােড়ামী চিরতরে বন্ধ হােক। এটি সকল প্রকার প্রগতি ও উন্নতির অন্তরায়, তাই একে সমাজের সর্বস্তর থেকে বাদ দিতে হবে। পর্দার দ্বারা মানুষের স্বহজাত ধর্মে আঘাত করা হয়, তাই তারা প্রকৃতির সন্তান হিসাবে বেঁচে থাকতে চান । যথেচ্ছা যৌনাচার, বিজ্ঞাপনে নারীর মাংসল দেহ প্রদর্শনী, সর্বত্র নারীকে ভােগের সামগ্রী বানিয়ে তাদের দ্বারা ফায়দা লুটতে চায়।
পর্দার মূল কথা হচ্ছে, পর পুরুষের সামনে নারীদের রূপ লাবণ্য প্রকাশ না করা । এমনিভাবে পুরুষদের জন্যও পর্দা সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। পর্দার বহু অর্থ হতে পারে, কেবল বাহ্যিক পর্দাই যে সীমাবদ্ধ তা নয় বরং মনের পর্দাও একটি বিরাট স্থান দখল করে আছে। এমনিভাবে কথা, কাজ, বাচন ভঙ্গি, দৃষ্টি, আচার। আচরণ, মােটকথা সব কিছুতেই ক্ষেত্র বিশেষ পর্দার বিধান প্রযােজ্য। এমনিভাবে মুহরিমদের সাথে এক রকম পর্দা ও গায়রে মুহরিমদের সাথে আরেক রকম পদার বিধান রয়েছে। নিজের মাতা, স্ত্রী, বােন, ভাই, বন্ধু, পিতা, পরিচিত, অপরিচিত সর্ব ক্ষেত্রে পর্দা করার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। আরবীতে পদাকে হিজাব বলে আখ্যায়িত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে হিজাব গ্রহণ করার পরও মা-বােনেরা বেপর্দা থেকে যায়।
No account yet?
Create an Account