HEY YOU, JOIN US & CONNECT TO BOIPUSTOK!
Learn and gain knowledge about the life stories of sages and celebrities
In stock
59 krরামাদান মাস হচ্ছে মুসলিম জাতির আমলি বসন্ত। প্রত্যেক প্র্যাক্টিসিং মুসলিম এই মাসের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে। এই মাসে আমলের সওয়াব অন্য মাসগুলোর আমলের তুলনায় অনেক বেশি। তাই আমাদের সবারই লক্ষ্য থাকে এ মাসে বেশি বেশি আমল করা, আরো বেশি প্রোডাক্টিভ থাকা। এমাসে আমাদের কাজকর্ম, পড়াশুনা, পারিবারিক চাহিদা পূরণ ইত্যাদির পাশাপাশি অর্ধেক দিন সিয়ামরত অবস্থায় এবং বাকি অর্ধেক সময়ে রাতের ইবাদত এবং কুরআন তিলাওয়াতও করতে হয়। এটা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। রামাদান মাসে কীভাবে এত এত চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করে আরো বেশি প্রোডাক্টিভ থাকা যায়, সে বিষয়েই কিছু কার্যকর পরামর্শ দেয়া হবে এ বইয়ে। রামাদানের প্রস্তুতি, লক্ষ্য, পরিকল্পনা ও রুটিন বানাতে এ বই আপনাদের জন্য সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ। রামাদানে আমলে মনোযোগী হওয়ার, কুরআন পড়ার ও দুআ করার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে এ বইয়ে। শুধু তাই নয়, রামাদানের খাদ্যাভ্যাস ও ফিটনেস ধরে রাখার উপায়, একাডেমিক পরীক্ষার ব্যস্ততা সামলে আমল করার উপায়ও বাতলে দেয়া হয়েছে এ সংকলনে। সবশেষে, রামাদানের পরেও কুরআনের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার ও সুস্থ থাকার পরামর্শ দিয়ে সাজানো হয়েছে এ বই। আশা করি, বইটি রামাদানের প্রস্তুতির জন্য ও প্রোডাক্টিভভাবে রামাদান কাটানোর জন্য কার্যকর একটি গাইডবুক হবে ইনশাআল্লাহ।
In stock
49 krসুন্দর পৃথিবীর জন্য প্রয়োজন পরিবর্তনের।
পরিবর্তন কর্ম ও বিশ্বাসের, চিন্তা ও চিন্তাধারার।
ইসলামী সমাজ ও মুসলিম উম্মাহর জীবন ও জীবনধারার।
প্রত্যাশিত পরিবর্তনে প্রয়োজন একটি ‘ফজর-প্রজন্ম’ ও ‘প্রভাতী কাফেলা’র!কারণ ফজর স্রষ্টা-নির্ধারিত পরিবর্তন-ক্ষণ।
যুগে যুগে ফজরকালেই ঘটেছে আসমানী পরিবর্তন।
প্রভাতী কাফেলাই রচনা করেছে প্রতিটি বদলে দেওয়ার দাস্তান।
প্রভাত ও ফজর-প্রজন্মতেই জড়িয়ে আছে আগামী-পৃথিবীর চূড়ান্ত আয়োজন!যে পরিবর্তনের প্রতীক্ষায় প্রতিটি মুসলমান,
দাজ্জাল ও দাজ্জালী শক্তির পতনে ঈসা মাসীহের আগমন,
গৌরবের আলকুদস হতে সূচিত বিজয়ের কাক্সিক্ষত সেই মাহেন্দ্রক্ষণ,
তাও তো ফজর-প্রজন্মের মাধ্যমেই! প্রভাত ও ফজর-কালেই তার বাস্তবায়ন!ফজর নামায মুমিনের এক ঈমানী পরীক্ষা।
বিজয়-প্রজন্মের জন্য রাব্বে কারীমের অমূল্য তোহফা।
প্রভাতকাল ও ফজর নামাযেই আগামীর বিজয়ের বার্তা লেখা।
ফজর নামাযে শিথিলতা করে বিজয়ের স্বপ্ন দেখা এক দিবাস্বপ্ন! ধূসর মরীচিকা!আসুন, সুন্দর পৃথিবীর জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই―
আগামীর জীবনে আর কোনদিন ফজর নামায করব না কাযা।
ফজরকে জানতে এবং ফজর নামাযের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য উপলব্ধি করতে আপনার জন্য মাকতাবাতুল হাসানের অনন্য উপহার― ফযর আর করব না কাযা
In stock
42 krকী আমাদের পরিচয়?
আমরা কারও সন্তান, কারও জীবনসঙ্গী, আবার কেউ আমাদেরই সন্তান। পারিবারিক, সামাজিক, এমনকী আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে এই বন্ধনগুলোই আমাদের নানান পরিচয়ে পরিচিত করে। প্রতিটি পরিচয়ই আমাদের কোনো না কোনো বন্ধনে আবদ্ধ করে। এই বন্ধনগুলোই আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের পরিচয়। এই বন্ধনগুলোই আমাদের প্রত্যেকের জীবনকে সংজ্ঞায়িত করে। জীবনভর এসব বন্ধন নিয়েই তো আসলে এই আমরা।
জীবনের রঙে রঙিন, পার্থিব অথচ অপংত্তেয়, একই সঙ্গে অপার্থিব কিন্তু মায়াবী- এই অদ্ভুত বন্ধনগুলোর নিবিড় খুঁটিনাটি নিয়ে উস্তাদ নোমান আলী খান-এর মূল্যবান কথামালা কালির অক্ষরে জায়গা পেয়েছে ‘বন্ধন’ বইটিতে।
নিজেদের আপন সম্পর্কের মিষ্টতা-তিক্ততার ভাষাগুলোই জড়ো হয়ে বইয়ের পাতায় শব্দ হয়ে ফুঁটেছে ‘বন্ধন’ নামে।
In stock
79 krআহমাদ দিদাত (১৯১৮-২০০৫) বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী মুসলিম দাঈ। যে সময়টায় খ্রিষ্টান মিশনারিরা তুমুল গতিতে মানুষদেরকে ফুঁসলিয়ে ফাঁসলিয়ে খ্রিষ্টান বানাচ্ছিল, সেই সময়ে মিশনারিদের সাথে দিদাতের বিতর্ক এবং তাদের মিথ্যা দাবীর খণ্ডনমূলক লেখনীগুলো সমগ্র বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
তথাপি বিজ্ঞানের মুখোশ পড়ে একশ্রেণীর গবেষকরা যখন কুরআনের ভুল ধরে যাচ্ছিলো, এবং তাদের জবাবে অধিকাংশ মুসলিম মনিষীগণ নীরবতা পালন করছিল, তখন আহমাদ দিদাত রুখে দাঁড়ান। একে প্রতিটি জবাব দেন। খ্রিষ্টানদের বাঘা বাঘা মিশনারিদেরকে বিতর্কে হারিয়ে দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। পরবর্তীতের উনার কাজ দ্বারাই উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠে দাঁড়ান ড. জাকির নায়েক।
শুধু কুরআনের নির্ভুলতাই প্রমাণ করেই ক্ষান্ত হননি না, বরং ছুঁড়ে দিলেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের চ্যালেঞ্জ। দেখিয়ে দিলেন কীভাবে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থগুলোই অমূলক, পরস্পর বিরোধী কথায় ভরপুর। সেই চ্যালেঞ্জগুলোর ভিতর তাঁর অনদব্য একটি রচনা হচ্ছে ‘Is the Bible God’s Word?’, এরই অনুবাদ ‘বাইবেল কি আল্লাহর বাণী?’। গুরত্বপূর্ণ উপকারী টীকা সংযোজন করা হয়েছে বিধায় এর কলেবর বেড়ে গেছে।
In stock
50 krবাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান
লেখকঃ ড. মরিস বুখাইলী
প্রকাশনীঃ জ্ঞান বিতরনী
“বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান” পৃথিবীর বিখ্যাত একটি গ্রন্থ| গ্রন্থটি রচনা করেছেন ফ্রানসের প্রক্ষাত সার্জন, বৈজ্ঞানিক ও গবেষক ডাঃ মরিস বুকাইলি। ফরাসী ভাষায় রচিত তার”লা বাইবেল, লা কুরআন য়েট লা সাইন্স” নামক বই খানি সর্বপ্রথম ১৯৭৬ সালের মে মাসে পেরিসে প্রকাশিত হলে সঙ্গে সঙ্গে সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষন করে। ইংরাজী ও আরবী সহ পৃথিবীর বহু ভাষায় অনুদিত হয়।
মহাগ্রন্থ আল কোরআন মানবতার ইহ ও পরকালীন মুক্তি ও কল্যাণের চাবিকাঠি এবং এক মাত্র নির্ভুল আসমানী কিতাব। অথচ যুগে যুগে এ সত্যকে অস্বীকার করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ চেষ্টা চলেছে প্রধানত ইহুদী ও খ্রিষ্টান পন্ডিতদের দ্বারা এবং বৈজ্ঞানিকগণ কর্তৃক।
এই বইয়ে তিনি আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে পাওয়া জ্ঞানের সঙ্গে বাইবেলের বর্ণনার সঙ্গতি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। বিজ্ঞানের এ চরম উৎকর্ষতার যুগে প্রকৃত সত্যকে যারা আবিষ্কার করতে চান এ বইটি তাদের প্রভূত উপকারে আসছে বিধায় দুনিয়া জোড়া বইটি ব্যাপকভাবে আলোচিত ও প্রশংসিত হচ্ছে।
In stock
13 krবাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম ধর্মপ্রাণ । ধর্মীয় বিধি বিধান অনেকেই পুরােপুরি মানতে না পারলেও সকল বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ অটল। কমবেশি পালনের চেষ্টাও অনেকেই করেন। কিন্তু একটি ফরয ইবাদত যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি স্ত ম্ভের অংশ তা বাংলাদেশের ধার্মিক মুসলমানগণও পালন করেন না। ভাবতে বড়ই অবাক লাগে। যে ধার্মিক মুসলিম পাঁচ ওয়াক্ত নামায ছাড়াও সাধ্যমত সুন্নাত ও নফল নামায আদায় করছেন। ফরয রােযা পালন ছাড়াও সাধ্যমত নফল রােযা পালন করছেন। এছাড়া অনেক প্রকার সুন্নাত, নফল, যিকির, দান ও অন্যান্য কাজ করছেন। এমনকি পােশাক-পরিচ্ছদ, ওঠা-বসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আদবও ত্যাগ করতে চান না। এই মুসলিমই কুরআন করীমের স্পষ্ট নির্দেশ, অসংখ্য হাদীসের স্পষ্ট নির্দেশ, সকল মুসলিম উম্মাহর ঐকমত্যের মাধ্যমে ফরয ইবাদত ফসলের যাকাত বা উশর প্রদানের ইবাদত পালন করেন না। বাংলাদেশের প্রায় কোন মুসলিমই ফসলের যাকাত প্রদান করেন না। প্রশ্ন হলাে কেন এই অবাধ্যতা? কেন এই অবহেলা? প্রশ্ন করলে অনেক আলেম বলেন: বাংলাদেশের খারাজী জমিতে উশর প্রদান জরুরী নয়। “খারাজী জমিতে উশর প্রদান জরুরী নয়” কথাটি ইমাম আবু হানীফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মত, তা ঠিক। কিন্তু আমাদের কি দেখা উচিত নয় যে, বাংলাদেশের জমি কোন শ্ৰেণীর? খারাজী না উশরী? আমাদের কি দেখা উচিত নয় যে, আমরা খারাজী জমির খারাজ আদায় করছি কিনা? আমাদের কি একটু দেখা দরকার না, কাকে কি পরিমাণ খারাজ দিলে উশর মাফ হতে পারে? এগুলি কিছুই না দেখে আমাদের চুপ করে থাকাটা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল – এর নির্দেশের প্রতি আমাদের অবহেলারই নামান্তর। মুমিনের মন তাে ছটফট করবে তার উপর অর্পিত ফরয দায়িত্বগুলি পালিত হলাে কিনা তা দেখার জন্য । কেউ যদি তাকে বলে যে, অমুক অবস্থায় নামায না পড়লেও চলবে, তবুও সে ছটফট করবে সত্যিই বিষয়টি ঠিক কিনা? সত্যি হলেও সে চেষ্টা করবে কষ্ট করে হলেও তা আদায় করার। যদি কেউ তাকে বলে যে, অমুক পরিস্থিতিতে রােযা না রাখলেও চলবে, তাহলে তিনি প্রথমে বিষয়টি যাচাই করবেন। এরপরও কষ্ট করে হলেও সময় মত তা পালনের চেষ্টা করবেন। যাকাতের ক্ষেত্রেও কি আমাদের আকুতি একইরূপ হওয়া উচিত নয়? আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেছেন উশরের বিষয়ে, যা থেকে আমার মনে হয়েছে, বাংলাদেশের অনেক মুমিন মনেই যাকাতের ক্ষেত্রে একইরূপ আকুতি আছে। তাদের এই আকুতি সংক্রমিত হয়েছে আমার মধ্যে। সামান্য পড়াশুনার মাধ্যমে যে সত্যটি আমার কাছে ধরা পড়েছে তা হলাে, বাংলাদেশের সকল অথবা অধিকাংশ ভূমি উশরী ভূমি, যার উশর দেওয়া মুমিনের উপর ফরয । কিছু ভূমি খারাজী বলে গণ্য হবে, কিন্তু ফিকহের বিধান অনুসারে তা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। আর যেক্ষেত্রে ভূমির খারাজী হওয়ার বিষয়ে সামান্যতম সন্দেহ থাকবে সেক্ষেত্রেও সেই জমির উশর প্রদান করা ফরয। সর্বোপরি আমরা দেখতে পেয়েছি, বাংলাদেশের কোন জমিরই ইসলামী খারাজ প্রদান করা হয় না। আমরা যারা “খারাজী জমির উশর দিতে হবে ” বলে বাংলাদেশে উশর প্রদান করছি না তাদের অবস্থা হলাে ঐ ব্যক্তির মত যে, “গ্রামে জুমআর নামায হবে না” বলে জুমআর নামায পড়ল না। এরপর আর যােহরও পড়ল না। যদিও উশর বা ফসলের যাকাতই আমাদের মূল আলােচ্য বিষয় তবুও যেহেতু তা যাকাত ব্যবস্থারই অংশ তাই বইটিতে আমি ইসলামে যাকাত ব্যবস্থার গুরুত্ব, যাকাত প্রদানের ফযীলত, যাকাত প্রদান না করার ভয়াবহ পরিণতি ও যাকাত ব্যবস্থার কতিপয় মূলনীতি আলােচনা করেছি। এ বিষয়ক কিছু বাড়াবাড়িও আলােচনা করেছি। বাড়াবাড়ি বুঝাতে পণ্ডিতগণ একটি তুলনামুলক বাক্য ব্যবহার করেন, যেমন “মার্কসের চেয়েও বেশী মার্কসবাদী”। আমরা দেখেছি, আমাদের দেশে বর্তমানে কিছু মুসলিম ইসলাম ধর্ম হৃদয়ঙ্গম করা ও পালনের ক্ষেত্রে “ইসলামের নবীর () চেয়েও বেশী মুসলিম” হতে চান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সার্বিক আদর্শ, শিক্ষা, কর্ম, তাঁর সাহাবীগণের কর্ম ও জীবনপদ্ধতি না জেনে শুধুমাত্র কুরআন করীমের দুই একটি আয়াত বা দুই চারটি হাদীসের সাথে নিজের মনের আবেগ, ব্যক্তিগত বুদ্ধি বা নির্বুদ্ধিতা মিশিয়ে নতুন ইসলাম তৈরী করেন। যাকাতের ক্ষেত্রে এ ধরনের বাড়াবাড়ির মধ্যে রয়েছে দৈনিক যাকাত প্রদান, যাকাতের ক্ষেত্রে নিসাব বা বর্ষপূর্তির শর্ত না মানা, নামাযের মত বাংলাদেশে উশর বা ফসলের যাকাত পুরস্কার, নেক কর্মময় দীর্ঘ জীবন, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বোত্তম সফলতা দান করুন। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ মুস্তাফিজুর রহমান তার মহামূল্যবান সময় ব্যয় করে বইটি পড়ে আমাকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও পরামর্শ প্রদান করেছেন। মহান রাব্বল আলামীন তাকে সর্বোত্তম পুরস্কার ও বরকতম দীর্ঘ জীবন প্রদান করুন ।
In stock
42 krনবিজির ﷺ মতো হওয়া কি খুব সহজ?
ঘরে এসে যখন শুনলেন খাবার নেই, তখন তিনি নফল সিয়ামের নিয়্যত করে ফেললেন। আমরা হলে কী করতাম?
প্রথম কয়েক বছর মানুষের কাছ থেকে বারবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও কীসের বলে নিরলস দ্বীন প্রচার করে গেছেন? কীভাবে অর্জন করলেন অটুট মানোবল? কীভাবে রপ্ত করলেন এক অসম্ভব সুন্দর ভাষা, যা শুনলেই মানুষের হৃদয়ে ছাপ ফেলে দিত? কেমন ছিল তাঁর শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য আর যৌবনের উচ্ছল দিনগুলো? নবিজির ﷺ জীবনী পড়তে গেলে আমরা সাধারণত তাঁর নবুওয়্যত পরবর্তী জীবনেই বেশি গুরুত্ব দিই, কিন্তু এর ভিত্তিটা যে মহান আল্লাহ তাঁর নবুওয়্যতপূর্ব ৪০ বছরের জীবনে ধীরে ধীরে তৈরি করেছিলেন, সেটা কজন ঘেঁটে দেখি?
প্রচলিত অর্থে কোনো সিরাত বই নয় এটি। কোনো তাত্ত্বিক ঘটনার বিবরণও না। এখানে আপনি পাবেন ব্যবহারিক কিছু জ্ঞান। হাতে-কলমে শিখবেন নিজের বাচ্চাকে নবিজির ﷺ মতো করে বড়ো করার উপায়। টিনএজ বয়সি হলে জানতে পারবেন এই উড়ুউড়ু সময়টাতে নিজেকে বাগে রাখার কৌশল। বিবাহিত হলে আছে দুজনে মিলে জীবনটাকে আরও মধুর করার টোটকা। সর্বোপরি নবিজির ﷺ মতো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ‘স্মার্ট’ হওয়ার তরিকা। তবে চলুন স্মার্ট হই প্রিয় নবিজির ﷺ মতো…
In stock
40 krবিয়ে একটি ধর্মীয় চুক্তি, একটি সামাজিক সম্পর্ক। একে ঘিরে দুজন মানুষ, দুটি পরিবারে কত আকাক্সক্ষা, কত স্বপ্ন! সম্পর্কটিকে সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তাই এই বইটি কেবল বিবাহেচ্ছু, নববিবাহিত বা বিবাহিতাদের জন্য নয়; বরং তাদের বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, আত্মীয়স্বজনদের জন্যও। এখানে বিয়ের স্বরূপ, দায়িত্বসমূহ, করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়াদি নিয়ে কিছু আলোচনা রয়েছে; যা হয়তো চিন্তার দিগন্তে নতুনত্ব আনতে পারে। রয়েছে কিছু গল্প; যা জীবনের বাস্তবতার প্রতিফলন।
In stock
52 krবেলা ফুরাবার আগে…
নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। যে ভুল আর ভ্রান্তির মোহে, অন্ধকারের যে অলিগলিতে আমাদের এতোদিনকার পদচারণা, তার বিপরীতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিতে একটি সহায়ক গ্রন্থ এই বই, ইন শা আল্লাহ।
বইটি কাদের জন্য?
এই বই তাদের জন্য যারা আমার কাছে ‘সাজিদ হতে চাই’ বলে বিভিন্ন সময়ে আবদার করেন। পরামর্শের আবদার, পথনির্দেশের আবদার। সাজিদ হতে হলে, আমি মনে করি, সবার আগে একটা অন্ধকার বৃত্ত থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সাজিদ যেভাবে অন্ধকারের কৃষ্ণগহ্বর ছেড়ে, আলোর ফোয়ারাতে তার জীবন রাঙিয়েছে, সেরকম ঝলমলে আলোর মাঝে নিজেকে মেলে ধরাই ‘সাজিদ’ হবার প্রথম এবং প্রধান শর্ত। কেবল ভারি ভারি বই আর যুক্তির পশরা সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করার মধ্যেই ‘সাজিদ’ হয়ে উঠার সার্থকতা নেই। সাজিদ হয়ে উঠার সার্থকতা তখনই যখন সাজিদ যে আদর্শের আলো প্রাণে প্রাণে ছড়িয়ে দিতে চায়, তা আমরা জীবনে মেখে নিতে পারবো।
বইটি কাদের জন্য?
ভুলোমনা একঝাঁক তারুণ্যের জন্য এই বই। যে ভুলের গহ্বরে তারা জীবনের বসন্তগুলোকে পার করছে, সেই ভুল থেকে তাদের ‘বেলা ফুরাবার আগে’ টেনে তুলতেই এই বইটার অবতারণা।
এর বাইরেও থাকছেঃ
‘চোখের রোগ’, ‘বলো, সুখ কোথা পাই’, ‘বেলা ফুরাবার আগে’, ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’, ‘যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা’, ‘চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়’, ‘বসন্ত এসে গেছে’, ‘তুলি দুই হাত করি মোনাজাত’, ‘চলো বদলাই’ নামের আঠারোটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে, ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়।
In stock
45 krবইটি পড়লে মৃত্যু টাকে খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করা যায়। বইটিতে কোরআন হাদীস এর আলোকে মৃত্যু নিয়ে এক অথেনটিক আলোচনা রয়েছে যা মানুষের হৃদয়কে নাড়া দেয়। যে কোনো কঠিন হৃদয়ের ব্যক্তি বইটি পড়লে তার গা শিউরে উঠবে মরনের অনন্তকালের যাত্রটা যে কতটা ভয়াবহ।
In stock
90 krমানুষের শেষ ঠিকানা
লেখক : আব্দুদ্দাইয়ান মুহাম্মদ ইউনুছ
প্রকাশনী : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
In stock
105 krকতো তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গিয়েছি……………….
এই তো কয়েকদিন আগেই হাফ প্যান্ট পড়া দশ বছরের কোঁকড়া চুলের এক বালক। তার স্কুল মাঠের কড়াই গাছের নিচে বসে নদীর দিকে উদাস হয়ে তাকিয়ে থাতো পায়ের কাছে আছড়ে পড়তো দলবেঁধে অনেক দূর পাড়ি দেওয়া ঢেউ। মাঝে মাঝে সে ঢেউ গোনার ব্যর্থ চেষ্টা করত। কিন্তু খেই হারিয়ে ফেলতো একটু পরেই। আবার উদাস হয়ে তাকাতো নদীর দিকে। কখনোবা আকাশের দিকে। দুপুরের বৃষ্টিভেজা রোদে মাছে মাছে একটা সোনালী ডানার চিল উড়ে বেড়াতো করুন সুরে ডেকে উঠতো হঠাৎ হঠাৎ। বালক আরো উদাস হয়ে যেত। কখনো কখনো বালক স্কুল থেকে ঘরে ফেরার সময় অবাক হয়ে দেখাতো আকাশ কালো করে বৃষ্টি আসছে। বালকের ছাতা ছিলো না। কাজেই সেই ঝুম বৃষ্টির কভল থেকে বই খাতা বাঁচাতে একহাতে স্যান্ডেল আর একহাতে বই নিয়ে ভোঁ দৌড় দিত। মাঝে মাঝে রাস্তায় কাদায় পিছলে পড়ে যেত । কাঁদা মাখা ভুত হয়ে ফিরতো বাসায়। মা ব্যর্থ চেষ্ট করতো আঁচল দিয়ে মাথা মছে দেয়ার। মায়ের হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করে বালক দৌড়ে লাফিয়ে পড়তে পুকুরে। পুকুরের স্বচ্ছ পানিতে বৃষ্টির ফোটা অধ্ভুত শ্বদ করত। বালক অবাক হয়ে শুনতো সে শব্দ। দীর্ঘসময় পুকুরে দাপাদাপি করার পর চোখ লাল করে সে ফিরতো মা আঁচল দিয়ে মাথা মুছে দিতো শান্ত ছেলের মতো পুঁটি মাছের ভাজি দিয়ে গোগ্রাসে গরম ধোঁয়া উঠা ভাত গিলে, গল্পের বই নিয়ে কাঁথামুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়তো বালক। টিনের চালে তখন একটানা বৃষ্টি পড়তো ।
বাইরে সজনে গাছটা উড়ে চলে যেতে চাইতো হাওয়ার সাথে। কলাগছের পাতায় চলতো বাতাসের দাপাদাপি। বালক গল্পের বইয়ের ডুবে যেত। দুষ্টু বাবার কবল থেকে নৌকা দিয়ে পালাচ্ছে হাকল বেরি ফিন.. সে কি নিরাপদে পালাতে পারবে? ্ওর বাাবা ওকে ধরে ফেলবে? টান টান উত্তেজনা! একসময় ঘুমিয়ে পেোত বালক ঘুমের ঘোরেই ভয় পেত বিদ্যুৎচমকের শব্দ। মা মাঝে মধ্যে পাশে এস শুয়ে থাকতো ঘুমের ঘোরে সে জড়িয়ে ধরতো তার মায়ের গলা-এই পৃথিবীতে তার সবচেয়ে আপন মানুষটিকে…
ফ্ল্যাপের কথাঃ
আর কতকাল পথ ভুল রাস্তায় হেঁটে বেড়াবে উদ্বান্তের মতো? আর কতকাল? তারচেয়ে বরং এসো খোলা জানালায়! এক ঝলক ঠান্ডা বাতাস এসে শীতল পরশ বুলিয়ে দেবে।
কোসার স্নিগ্ধ মুখটাতে বািইরে চেয়ে দেখো ঝকঝকে রোদে ভেসে যাচ্ছ চারিদিকে, উঠোনকোণের পেয়ারা গাছটার পাতার আড়ালে মিষ্টি সুরে গান গেয়ে যাচ্চে বুলবুলি, দুরের ঐ হাতছানি দিয়ে ডাকছে তোমায়, মুক্ত বাতাসের খোঁজে……
Out of stock
10 krমুমিনের জীবনের অন্যতম ইবাদত দু’আ বা মুনাজাত। আমরা সকলেই কোনো না কোনোভাবে মুনাজাত করি। মুনাজাতের কয়েকটি পর্যায় রয়েছে:
প্রথমত, দুআ-মুনাজাত’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। অন্য কোনো দলিল দ্বারা নিষিদ্ধ নয় এমন যে কোনো ভাষায়, যে কোনো সময়ে এবং যে কোনো অবস্থায় মুমিন আল্লাহর নিকট মুনাজাত করতে পারেন । এতে দু’আর মূল ইবাদত পালিত হবে এবং বান্দা সাওয়াব ও পুরস্কারের আশা করবেন।
দ্বিতীয়ত, রাসূলুল্লাহ (আঃ)-এর শেখানো কথা দ্বারা মুনাজাত করলে মুমিন মাসনূন বাক্য ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত সাওয়াব লাভ করবেন। এ ছাড়া মাসনূন বাক্য ব্যবহারের মাধ্যমে মুমিন অতিরিক্ত বরকত ও মহব্বত লাভ করবেন এবং দোয়া কবুল হওয়ার বেশি আশা করতে পারবেন।
তৃতীয়ত, মাসনূন মুনাজাতগুলির বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। কিছু মুনাজাত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন বা পালন করেছেন নির্ধারিত সময়ে বা নির্ধারিত পদ্ধতিতে। আবার কিছু মুনাজাত তিনি সাধারণভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। মুমিন যে কোনো মাসনূন মুনাজাত যে কোনো সময়ে আদায় করতে পারেন। এতে মাসনুন মুনাজাত ব্যবহারের সাওয়াব ও বরকত লাভ করবেন। আর নির্ধারিত সময়ের নির্ধরিত মুনাজাত ব্যবহার করলে অতিরিক্ত সুন্নাত পালনের মর্যাদা লাভ করবেন।
চতুর্থত, মুনাজাতের পদ্ধতির ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (আঃ)-এর অনুসরণ করতে পারলে মুমিন মাসনূন পদ্ধতি পালনের অতিরিক্ত সাওয়াব, বরকত ও কবুলিয়্যাত লাভ করবেন।
পঞ্চমত, দুআ-মুনাজাত করার বিশেষ বিশেষ সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন। সেগুলির অন্যতম হলো নামায। তিনি নামাযের মধ্যে ও পরে বিশেষভাবে দুআ-মুনাজাত করেছেন এবং করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাতে বা অন্যান্য সময়ে দুআ-মুনাজাত করার সুযোগ অনেকেরই হয় না। পক্ষান্তরে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আমরা সকলেই আদায় করি। এ সময়ের মাসনূন মুনাজাতগুলি আদায় করা আমাদের জন্য সহজ এবং এভাবে আমরা বিশেষ সাওয়াব, ফযীলত ও কবুলিয়ত লাভ করতে পারব, ইনশা আল্লাহ…..
Out of stock
29 krযা এইমাত্র অতীত হলো, সেটাই সময়। এখন যে মুহূর্ত অতিক্রম করছি, সেটাই সময়। কিছুক্ষণ পরে যেখানে প্রবেশ করব, সেটাই সময়। সময় নামের অক্টোপাস থেকে কে, কখন, কবে মুক্তি পেয়েছে বলুন?
সফল তিনি, যিনি এই সময়কে ঠিকঠাক উপলব্ধি করতে পারেন। বিশেষত মুমিন জীবনে সময় মানেই নিজের মুক্তি ও পুরস্কার নিশ্চিত করে নেওয়ার মওকা! সময় নিয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির বোঝাপড়া তাই অতীব জরুরি আলাপ। সেই আলাপ খুঁজে নেব এই গ্রন্থে।
No account yet?
Create an Account