HEY YOU, JOIN US & CONNECT TO BOIPUSTOK!
Learn and gain knowledge about the life stories of sages and celebrities
In stock
199 kr* ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাস কেবল ইসলামি ইতিহাস নয়; বরং মানবেতিহাসেরই একটি দীর্ঘ অধ্যায়ের বিবরণ। ইসলামি ইতিহাসের
এক-সপ্তমাংশের প্রতিনিধিত্ব করছে এই ইতিহাস।
* ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাস বর্ণনায় প্রচুর পরিমাণে মিথ্যা সংযুক্ত করা হয়েছে। এ গ্রন্থের মাধ্যমে আমরা জানব ক্রুসেড যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস।
* ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাস অধ্যয়নের মাধ্যমে আমরা বিবাদমান পক্ষগুলোর নীতি-আদর্শ পর্যবেক্ষণ করতে পারব; উপলব্ধি করতে সক্ষম হব মুসলমানদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা ইউরোপীয়দের যুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও পটভূমি।
* আমাদের বর্তমান কালের এবং আগামী পৃথিবীর বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের নেপথ্যের কার্যকারণসমূহ যথার্থভাবে উপলব্ধি করতে ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাস নিশ্চিত করেই যথেষ্ট সহায়ক বিবেচিত হবে। —ড. রাগিব সারজানি
ক্রুসেড―এক আদর্শিক সংঘাত। যেই সংঘাতের লক্ষ্য হিশেবে রয়েছে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ। এই হিংস্র লড়াইয়ে খ্রিষ্টানরা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছে উম্মাহর পবিত্র ভূমি, ভূলুণ্ঠিত করতে চেয়েছে তার মর্যাদা। কিন্তু উম্মাহর সম্ভ্রম রক্ষার সংঘর্ষে কী ঘটেছিল আমাদের ইতিহাসে? কারা আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে জাগিয়ে তুলেছিল উম্মাহর সুপ্ত ঈমানি চেতনাকে? আল্লাহর বড়ত্ব ও তাঁর রাসুলের নেতৃত্ব কোন-সে ত্যাগের বিনিময়ে হয়ে ছিল অক্ষয়, অবিচল?
‘মাকতাবাতুল হাসান’ নিয়ে আসছে প্রায় দুই শতাব্দী ব্যাপ্ত ভয়ংকর ক্রুসেড যুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস; যা মোট ৬খণ্ডে প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ। এরই ধারাবাহিকতায় শীঘ্রই প্রথম ২খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে রয়েছে ক্রুসেড যুদ্ধের শুরু থেকে ইমাদুদ্দিন যানকি রহ. যুগ পর্যন্ত সময়ের বিস্তারিত ইতিহাস।
In stock
20 krআমাদের সমাজের অধিকাংশ মসজিদ অবহেলিত। যােগ্য ও উচ্চ শিক্ষিত ইমামের চেয়ে সস্তা ও অনুগত ইমাম খোঁজা হয়। তদুপরি মসজিদ কমিটির খগড়ের নিচে বসে ইমাম সাহেব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পান না। তারপরও সমাজের দুর্নীতি, যৌতুক, এসিড, সহিংসতা, মাদকতা, অশ্লীলতা ইত্যাদি রােধে এ সকল অবহেলিত মসজিদগুলির সস্তা ইমামগণ “বিলিয়ন ডলার” প্রকল্পের চেয়ে অনেক বেশি অবদান রাখছেন। মসজিদের মিম্বারগুলিকে সমাজগঠনে সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য আমাদের প্রয়ােজন হলাে: (১) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও জুমুআর সালাতের গুরুত্ব সম্পর্কে জাতীয় সকল প্রচার মাধ্যমে প্রচার চালানাে এবং সকল মুসলিমকে মসজিদমুখি করার চেষ্টা করা। (২) মসজিদের জন্য যােগ্য আলিম ইমাম নিয়ােগের ব্যবস্থা করা। (৩) ইমাগণের চাকুরী স্থানীয় মসজিদ কমিটির উপর ষােলআনা ন্যস্ত না করে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনা। (৪) ইমামগণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। (৫) কুরআন ও সুন্নাহের আলােকে জীবন ও সমাজমুখী খুতবা প্রদানের জন্য প্রয়ােজনীয় তথ্যাদি তাদের সামনে উপস্থাপন করা।
In stock
59 krজীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে জীবন রূপকথার চেয়েও বেশি অবিশ্বাস্য হয়ে ওঠে। জীবনের বাঁকে বাঁকে, মোড়ে মোড়ে, ঘটনা-প্রতি-ঘটনায় জন্ম নেয় হৃদয়ের আকুতি-মিনতি, প্রেম-ভালোবাসা, সুখ আর দুঃখ। এজন্যেই জীবন দুরন্ত, দুর্বিনীত ও চঞ্চল। এজন্যেই জীবন অন্যরকম। সেই অন্যরকম জীবনে জন্ম নেওয়া একগুচ্ছ গল্প দিয়েই সাজনো ‘গল্পগুলো অন্যরকম’ বইটি।
In stock
45 kr“গল্পে গল্পে ৪০ হাদীস” বইটিতে গল্পের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর চল্লিশ হাদীস শেখানো হয়েছে। মহানবী ﷺ এর মুখ নিঃসৃত আসমানী বাণী উঠে এসেছে গল্পে গল্পে। প্রতিটি গল্পের নির্যাসে রয়েছে নবীজি ﷺ এর সুপরিচিত হাদীস। বইটির লেখক দক্ষ হাতে গল্পে গল্পে সাজিয়েছেন নবীজি ﷺ এর চল্লিশটি হাদীস – যা সহজেই বোধগম্য এবং মনে রাখার মতো। শিশু-কিশোরেরা, এমনকি আমাদের বড়রাও অনেক সময় তাত্ত্বিক আলোচনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলি, সেই যায়গা থেকে এই বইটি স্বতন্ত্র। ছোট বড় সবাই গল্পে গল্পে নবীজি ﷺ এর এই চল্লিশটি হাদীস উপভোগ করতে পারবে বলে আমি মনে করি। আর উপভোগ্য জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ কয়েকগুণ বেশীই থাকে।
বইটির গল্পগুলো নিছক কোন গল্প নয়। বরং প্রতিটি গল্পই শিক্ষণীয়। আদব, আখলাক, আচার-আচরণ, পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যসহ নবীজি ﷺ এর হাদীস থেকে জীবন গড়ার পাথেয় রয়েছে প্রতিটি গল্পে। গল্পে গল্পে হাদীসের শিক্ষাগুলো শিশু-কিশোরদের একাধারে একজন ভালো মানুষ, একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, সেই সাথে একজন দ্বীনদার মানুষ হতে শিক্ষা দেবে।
আমাদের শিশু-কিশোরেরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের তরবিয়ত আমাদের হাতেই নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে সে চিনতে পারে তার সৃষ্টিকর্তাকে। তার আদর্শকে। তার জীবন চলার পথকে। এ জন্য তাদেরকে কল্পকাহিনী আর গাল্পগল্প না শুনিয়ে এমন কিছু শোনানো উচিৎ, যাতে তারা জীবনের আসল উদ্দেশ্য খুঁজে পায়। বড় হয়ে যেন মাতা-পিতাকে সম্মান করতে শিখে। উত্তম আদব, আখলাকে একজন সত্যিকারের মানুষ হয়ে গড়ে ওঠে – এই দুআ ও প্রত্যাশায়।
In stock
69 kr২০১৫-র শেষ দিক থেকেই মুশফিকুর রহমান মিনার ভাই এমন একটি ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা করেন যা হবে নাস্তিক্যবাদী সকল ব্লগের জবাব। এক ওয়েবসাইটের মাঝেই ইসলামবিরােধীদের সকল অপপ্রচারের জবাব থাকবে। ২০১৬ সাল থেকে এই সাইটের জন্য প্রবন্ধ লেখা ও সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। সে সময়ে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ড. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর কাছেও এই ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা জানানাে হয়েছিল। তিনি সব শুনে এ জন্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি নিয়ে কাজের জন্য তার সাথে দেখা করবার মাত্র ২ দিন আগে তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন।
এরপরেও অব্যাহত ছিল ওয়েবসাটের কাজ। অবশেষে ২০১৮ সালে আলাের মুখ দেখতে পায় ‘ইসলামবিরােধীদের জবাব—Response To Anti-Islam’ (www. response-to-anti-islam.com)। নাস্তিকদের উত্থাপিত যাবতীয় প্রশ্ন, অভিযােগআপত্তির জবাব সংবলিত সবিস্তার প্রবন্ধ রয়েছে এই ওয়েবসাইটে। অনেক লেখক এবং কলা-কুশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সমৃদ্ধ এই সাইট। এই সাইটের জন্য তৈরি করা হয়েছে Android এবং iOS অ্যাপ। ফলে যে কেউ খুব সহজেই নিজ মােবাইল ফোনে অ্যাপগুলাে ডাউনলােড করে লেখাগুলাে পড়ে ফেলতে পারেন।
ওয়েবসাইট থেকে বাছাইকৃত সেরা লেখাগুলাের একটি সংকলন হচ্ছে জবাব। ওয়েবসাইট ও অ্যাপের পাশাপাশি বইয়ের মাধ্যমেও বিশ্বাসের কথাগুলাে ছড়িয়ে দিতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
জবাবঅনেক লেখকের সমন্বিত চেষ্টার ফল। প্রথিতযশা অনেক লেখককে চিন্তাশীল, ভাবনাজাগানিয়া, গবেষণাধর্মী লেখায় সমৃদ্ধ এই সংকলন। নাস্তিক্যবাদ-বিরােধী কাজগুলােতে জবাব নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ একটা সংযােজন হতে যাচ্ছে বলেই আমার বিশ্বাস।
মানুষকে ঈমানের পথে ডাকতে যেসব মানুষ নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তাদের সবার জন্য অপরিসীম দুআ আর ভালােবাসা। জবাব বইতে যেসব লেখকদের লেখা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের জন্যও অফুরান ভালােবাসা। অনেক অনেক ভালােবাসা বইটির সংকলক মুশফিকুর রহমান মিনার ভাইয়ের জন্যও। আল্লাহ যেন কাজটাকে কবুল করেন, আমিন।
In stock
5 krআলহামদুলিল্লাহ, প্রফেসর ড. খােন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ রচিত, কুরআন ও সুন্নাহর আলােকে জামাআত ও ঐক্য লেখাটি পড়লাম। বাস্তবে উম্মতের ঐক্যের জন্য যে মানুষটি তাঁর সারাটি জীবন ব্যয় করেছেন, জীবনের সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা যার এ কেন্দ্রিক নিবদ্ধ থাকতাে, ঐক্যের প্রতীক হিসেবে যাকে সকল নিষ্ঠাবান মানুষই স্বীকার করে, তার পক্ষেই এরকম একটি গ্রন্থ লেখা সম্ভব। তিনি কুরআন ও সুন্নাহর আলােকে উম্মতের ঐক্যের গুরুত্ব, প্রয়ােজনীয়তা, অনৈক্যের বিধান ও এর বিবিধ অপকারিতা তুলে ধরেছেন। ইখতিলাফ ও ইফতেরাকের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার মাধ্যমে উম্মতের ঐক্যের সূত্র দেখিয়ে দিয়েছেন। তার কথা অনুযায়ীই বলতে হয়, ইখতিলাফের ভিত্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইলম বা জ্ঞান ও দলিল। আর ইফতিরাকের ভিত্তি সর্বদাই ব্যক্তিগত পছন্দ বা প্রবৃত্তির অনুসরণ, জিদ এবং ইখলাসের অনুপস্থিতি। আরও বলেছেন, ইলম, ইখলাস, ইসলামী ভ্রাতৃত্ববােধ ও ভালােবাসার সাথে ইখতিলাফ থাকতে পারে কিন্তু এগুলাের সাথে ইফতিরাক থাকতে পারে না। এগুলাের অনুপস্থিতিতেই ইফতিরাক জন্ম নেয়। তার এ কথা অনুযায়ী আমরা বলতে পারি, উম্মতের ইমামগণের মাঝে অনুষ্ঠিত মাসআলা-মাসায়েলজনিত মতভেদের কারণে আমাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকতে হবে সেটা কখনাে ঠিক নয়। সাহাবায়ে কিরামের মাঝে আমলী মাসআলাগুলােতে প্রচুর মতভেদ ছিল, যারা সালাফে সালেহীনের ফিকহ অধ্যয়ন করবে তাদের কাছে সেটা দিবালােকের মত স্পষ্ট হয়ে দেখা দিবে। ইমামগণের মধ্যে প্রচুর আমলী মাসআলায় মতান্তর ছিল কিন্তু তাদের মনে পরস্পরের প্রতি কোনাে বিদ্বেষ ছিল বলে কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। তাঁরা ইলমী মতভেদ করেছেন কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই একে অপরকে খারাপ বলেছেন কেউ দেখাতে পারবে না। ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ ও তাঁর ছাত্রদের মাঝে এক তৃতীয়াংশের অধিক মাসআলায় মতভেদ হওয়া সত্বেও তাদের কেউ অপরের বিরুদ্ধে বিষােদগার তাে দূরের কথা পরস্পরকে সারা জীবন ভালােবেসেই চলে গেছেন। ইমাম মালেককে তার ছাত্র শাফেঈ সম্মান করতেন, ইমাম শাফেঈকে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল কদর করে কথা বলতেন। কিন্তু তাদের মাঝে মতভেদপূর্ণ অসংখ্য মাসআলা ছিল। তাই তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও আমাদের সমাজে ইলমী মতভেদ থাকার পরেও আমরা মৌলিক আকীদা ও মানহাজের ক্ষেত্রে এক হতে পারি। ইফতিক তথা অনৈক্যের কারণগুলাে খুজে সেগুলাে থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারে। বর্তমান কালে আমাদের ঐক্যের পথপ্রদর্শক আমাদের জন্য এ গ্রন্থটি লিখে যেন আমাদেরকে সে পথেরই দিশা দিলেন। আল্লাহ তা’আলার কাছে দো’আ করি তিনি যেন তাঁর এ আমলকে কবুল করেন এবং তাঁর নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দেন আর উম্মতে মুসলিমাহ বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষি মুসলিমদের মাঝে সঠিক পথে ঐক্য তৈরী করে দিন। আমীন।
In stock
23 krজিজ্ঞাসা ও জবাব বইটির ভূমিকাঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর জন্যই সকল হামদ। তিনি মানুষকে ইলম দান করেছেন, মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন তা যা সে জানতো না। তিনিই মানুষকে ইলমের মাধ্যমে উন্নত করেছেন। যারা জানে ও যারা জানে না তাদেরকে সমান বলেন নি। যুগে যুগে আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে তারাই ভালো যারা নবী ও রাসূল। তাদের অবর্তমানে তাদের ওয়ারিস আলেমগণ সবচেয়ে ভালো মানুষ। সে মানুষদের জন্যই যতো দুনিয়ার মর্যাদা ও আখরাতের মর্তবা। এদের জন্যই দো’আ করে প্রতিটি প্রাণী এমনকি আকাশের পাখি ও পানির নিচের মাছ। তাদের জন্যই ডানা বিছিয়ে দেয় আল্লাহর মালাইকা। সারা দুনিয়াতে যত ভালো কাজ হয় তা তাদের আলোতে আলোকিত হওয়ার কারণেই হয়ে থাকে। তারাই দুনিয়াকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আখেরাত বিনির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাদেরকেই আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজের পাশে সাক্ষ্য হিসেবে স্থান দিয়েছেন। তাদেরকেই আল্লাহ তাআলা তার দীন জানার জন্য মাধ্যম হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেন, “যদি তোমরা না জানো তবে যারা যিকর (কুরআন ও সুন্নাহ) এর জ্ঞান রাখে তাদের জিজ্ঞাসা কর।”(সূরা আন-নাহল: ৪৩) কোনো এক যুদ্ধে এক সাহাবী আহত হলেন, তিনি পানি ব্যবহারে অসমর্থ হলেন, সাথে থাকা লোকদের কাছে তিনি এর প্রতিকার কী হতে পারে জানতে চাইলেন, কিন্তু তারা তাকে সঠিক পরামর্শ দিতে অসমর্থ হলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যারা জানে না, তাদের জানার ঔষধ হচ্ছে জেনে নেওয়া।”(সুনান আবী দাউদঃ ৩৩৬,৩৩৭) কোনো মানুষের পক্ষেই সর্ববিষয়ে জ্ঞানী হওয়া সম্ভব হয় না। তাদের কতেকের ওপর অপর কতেককে আল্লাহ জ্ঞানী করেছেন। আল্লাহ বলেন, “আর প্রত্যেক জ্ঞানীর ওপরেই জ্ঞানী রয়েছে।”(সূরা ইউসুফ: ৭৫) জ্ঞানীরা তাদের জ্ঞান দিয়ে ইজতিহাদ করে থাকেন, ইজতিহাদ তাদের জ্ঞানকে শানিত করে, ইজতিহাদের কারণে তারা আল্লাহর কাছে পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “বিচারক যদি বিধান জানার জন্য কুরআন ও হাদীসে ইজতিহাদ করে আর সে তাতে ভুল করে তবুও সে এক সাওয়াব পাবে, আর যদি সঠিক মতে পৌঁছতে পারে তো তার দু’ সাওয়াব।”(বুখারী: ৭৩৫২; মুসলিম: ১৭১৬)।
প্রতিটি মাসআলায় কুরআন ও সুন্নাহর দলীল খুঁজে বের করা অনেক কঠিন কাজ। তা আরও কঠিন হয় যখন তা তাৎক্ষনিক কোথাও উপস্থাপন করতে হয়। এ কাজ সবার দ্বারা হয়ে উঠে না। একাজ কেবল ফকীহগণের। যাদেরকে আল্লাহ তাঁর বিশেষ নেয়ামত দিয়ে সিক্ত করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে তিনি ফিকহের জ্ঞান দান করেন।”(বুখারী: ৭১; মুসলিম: ১০৩৭) এ ফকীহগণকে এ জন্যই ক্ষণজন্মা পুরুষ বলা হয়ে থাকে। ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদ রাহিমাহুমুল্লাহসহ উম্মতের সে সব ব্যক্তিবর্গকে আল্লাহ তা’আলা তাঁর বিশেষ নেআমত হিসেবে আমাদের জন্য প্রদান করেছেন। তাদের মর্যাদা যারা বুঝে তারা নিজেরাই অজ্ঞ, জ্ঞানীদের কাতারে তাদের কোনো স্থান নেই।
প্রত্যেক যুগে ও এলাকায় এক বা একাধিক মুজতাহিদ থাকা বাঞ্ছনীয়। না থাকলে উম্মতের সমূহ ক্ষতি হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তাআলা ইলমে একেবারে উঠিয়ে নিবেন না, তিনি আলেমগণকে নিয়ে যাবার মাধ্যমে ইলমকে উঠিয়ে নিবেন। অতঃপর যখন কোনো আলেম থাকবে না তখন লোকেরা তাদের মধ্যকার জাহিল লোকদেরকে তাদের নেতা বানাবে, তখন তাদের প্রশ্ন করা হবে আর তারা ইলম ব্যতীত উত্তর দিবে, এতে করে তারা নিজেরা পথভ্রষ্ট হবে অপরকেও পথভ্রষ্ট করবে।”(বুখারী: ১০০; মুসলিম: ২৬৭৩) বস্তুত: ইলমুল ফিকহ হচ্ছে প্রশ্নোত্তরের সমষ্টি। এজন্যই ইমাম আবু হানীফাকে ফিকহের জনক বলা হয়। কারণ তিনি প্রায় সকল প্রশ্নেরই অবতারণা করেছেন। আর তার অর্ধেক উত্তর তিনি দিয়ে গেছেন। বাকী উত্তরগুলোতে অন্য ফকীহগণ শেয়ার করেছেন। সুতরাং উম্মতের মধ্যে যারাই ফকীহ হবেন তারাই ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ্র পরিবারভুক্ত হবেন এটাই ইমাম শাফেঈর বক্তব্য। আর তা-ই যথার্থ ।
ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ছিলেন তেমনি এক ক্ষণজন্মা মানুষ। যাকে আমরা সত্যিকারের একজন ভাষাবিদ, দাঈ ইলাল্লাহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকীহ বলে বিশ্বাস করি। তিনি ইসলামিক টিভিতে নিয়মিত প্রশ্নোত্তর দিতেন। বিভিন্ন সভা-মাহফিলে জীবন জিজ্ঞাসার জবাব দিতেন। তাঁর উত্তরের বৈশিষ্ট্য ছিল এই যে, তিনি সর্বদা কুরআনে কারীমের আয়াত ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস দিয়ে তার উত্তরকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতেন। তিনি কাউকে আক্রমন করতেন না। ইমামগণকে সম্মানের সাথে উল্লেখ করতেন। কোনো বিষয়ে কেউ তার বিরোধী মত পোষণ করলে সেটাকে দলীলের মাধ্যমে খণ্ডনের চেষ্টা করতেন। প্রচলিত দাওয়ার কাজে কর্মরত মানুষদের ভুল ধরার চেয়ে তাদের সংশোধনের চেষ্টা বেশি করতেন।
জিজ্ঞাসা ও জবাব ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ্র রেখে যাওয়া এ অমূল্য সম্পদের সংরক্ষণ ও যথাযথ প্রচার ইলম প্রচারেরই নামান্তর। আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য যে আমরা জীবিত অবস্থায় মনীষীদের কদর করতে শিখিনি। যদি তিনি আরব বিশ্বের কেউ হতেন তাহলে হয়তো তার জীবনী ভিন্নভাবে লিখা হতো, আর তার জীবনকে ঘিরে থাকতো হাজারো ছাত্রের আনাগোনা! আমার আনন্দ লাগছে যে, তাঁর প্রশ্নোত্তর পর্ব সম্মন্ধ এ কাজটিতে আমি শরীক হতে পেরেছি। আল্লাহর কাছে দু’আ করি তিনি যেন এ মহতিকর্ম কবুল করেন এবং এগুলোকে তাঁর জন্য ও আমাদের মত তাঁর মুহিব্বীনদের জন্যও নাজাতের উসীলা হিসেবে গ্রহণ করেন। আমীন, সুম্মা আমীন।
In stock
35 kr‘জিজ্ঞাসা ও জবাব (২য় খন্ড)’ বইটির লেখক পরিচিতিঃ
ড. খোন্দকার আ. ন. ম. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) জন্ম: ঝিনাইদহ জেলায় ১৯৫৮ সালে। মৃত্যু: ১১ই মে ২০১৬। পিতা মরহুম খোন্দকার আনোয়ারুজ্জামান। মাতা বেগম লুৎফন্নাহার।
ঝিনাইদহ আলিয়া মাদ্রাসায় ফাজিল পর্যন্ত অধ্যয়নের পর ১৯৭৯ সালে। ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে প্রথম শ্রেণীতে অষ্টম স্থান অধিকার করে হাদীস বিষয়ে কামিল পাশ করেন। সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬, ১৯৯২ ও ১৯৯৮ সালে যথাক্রমে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পি-এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশ ও বিদেশে যে সকল প্রসিদ্ধ আলিমের কাছে তিনি। পড়াশোনা ও সাহচর্য গ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খতীব মাওলানা ওবাইদুল হক (রাহ.), মাওলানা মিয়া মোহাম্মাদ কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আনোয়ারুল হক কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আব্দুল বারী সিলেটী (রাহ.), মাওলানা ড. আইউব আলী (রাহ.), মাওলানা আব্দুর রহীম (রাহ.), আল্লামা শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল আযীয ইবন বায (রাহ.), আল্লামা আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন (রাহ.), আল্লামা মুহাম্মাদ ইবন সালিহ ইবন মুহাম্মাদ আল-উসাইমীন (রাহ.), শাইখ সালিহ ইবন আব্দুল আযীয আল শাইখ, শাইখ সালিহ ইবন ফাওযান ইবন আব্দুল্লাহ আল ফাওযান।
কর্ম জীবনে তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদীস বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সালের ১১ই মে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করার আগ পর্যন্ত তিনি উক্ত বিভাগে অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন।
দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বাংলা ইংরেজী ও আরবি ভাষায় তার প্রায় অর্ধশত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গবেষণামূলক গ্রন্থের সংখ্যা ত্রিশের অধিক।
গবেষণা কর্মের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ের লক্ষ্যে ১৯৯৮ খৃষ্টাব্দে তিনি ‘আল ফারুক একাডেমী’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞান ও মূল্যবােধ প্রচার ও মানব সেবার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে ‘আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট’ নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১২ সালে Education and Charity Foundation Jhenaidah নামে একটি শিক্ষা ও সমাজ সেবাসংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ সকল প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রচার, ধর্ম প্রচার, দুস্থ নারী ও শিশুদের সেবা ও পুনর্বাসনে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।
In stock
25 kr“জিজ্ঞাসা ও জবাব (৩য় খণ্ড)”বইটির প্রথম ফ্লাপের কিছু কথা:
ড. খােন্দকার আ. ন. ম. আব্দুল্লাহ। জন্ম: ঝিনাইদহ জেলায় ১৯৫৮ সালে। মৃত্যু: ১১ই মে ২০১৬।
পিতা মরহুম খােন্দকার আনােয়ারুজ্জামান। মাতা বেগম লুন্নাহার। ঝিনাইদহ আলিয়া মাদ্রাসায় ফাজিল পর্যন্ত অধ্যয়নের পর ১৯৭৯ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে প্রথম শ্রেণীতে অষ্টম স্থান অধিকার করে হাদীস বিষয়ে কামিল পাশ করেন। সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬, ১৯৯২ ও ১৯৯৮ সালে যথাক্রমে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পি-এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশ ও বিদেশে যে সকল প্রসিদ্ধ আলিমের কাছে তিনি পড়াশােনা ও সাহচর্য গ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খতীব মাওলানা ওবাইদুল হক (রাহ.), মাওলানা মিয়া মােহাম্মাদ কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আনােয়ারুল হক কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আব্দুল বারী সিলেটী (রাহ.), মাওলানা ড. আইউব আলী (রাহ.), মাওলানা আব্দুর রহীম (রাহ.), আল্লামা শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল আযীয ইবন বায (রাহ.), আল্লামা আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন (রাহ.), আল্লামা মুহাম্মাদ ইবন সালিহ ইবন মুহাম্মাদ আল-উসাইমীন (রাহ.), শাইখ সালিহ ইবন আব্দুল আযীয আল শাইখ, শাইখ সালিহ ইবন ফাওযান ইবন আব্দুল্লাহ আল ফাওযান।
কর্ম জীবনে তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদীস বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সালের ১১ই মে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করার আগ পর্যন্ত তিনি উক্ত বিভাগে অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন।
দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বাংলা ইংরেজী ও আরবি ভাষায় তাঁর প্রায় অর্ধশত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গবেষণামূলক গ্রন্থের সংখ্যা ত্রিশের অধিক।
গবেষণা কর্মের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবােধের সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ের লক্ষ্যে ১৯৯৮ খৃষ্টাব্দে তিনি ‘আল ফারুক একাডেমী’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞান ও মূল্যবােধ প্রচার ও মানব সেবার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে ‘আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট’ নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১২ TIGT Education and Charity Foundation Jhenaidah নামে একটি শিক্ষা ও সমাজ সেবাসংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ সকল প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রচার, ধর্ম প্রচার, দুস্থ নারী ও শিশুদের সেবা ও পুনর্বাসনে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।
In stock
30 krপ্রশংসা আল্লাহর এবং সালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ , তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবিদের উপর।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর জীবদ্দশায় বিভিন্ন মাহফিলে ও টিভি চ্যানেলে বহু মানুষের যুগ জিজ্ঞাসার জবাব কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে প্রদান করেছেন। তাঁর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল যে, তিনি মাহফিলগুলাে ভিডিও ক্যাসেটবদ্ধ করতেন। ফলে তাঁর প্রশ্নোত্তর ও বক্তৃতা যেমন সংরক্ষিত রয়েছে; তেমনি তা সংযোজন ও বিয়োজনের হাত থেকেও রক্ষা পেয়েছে।
তিনি তাঁর মৌলিক রচনাগুলাে যেমন তথ্যনির্ভর করে সাজিয়ে গেছেন, তেমনি তাঁর যুগ জিজ্ঞাসার জবাবগুলােও কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলােকে প্রদান করে গেছেন। বর্তমান জটিল জীবনধারায় তাঁর প্রদত্ত বহু জিজ্ঞাসার জবাব মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলকে ইসলামের আলাের পথ দেখাবে বলে আমরা আশা রাখি। বিভিন্ন ভিডিও ক্যাসেট, টিভি চ্যানেল ও ইউটিউবে থাকা তার প্রশ্নোত্তরমালা সংগ্রহ করে ‘জিজ্ঞাসা ও জবাব’ নামে সিরিজ আকারে আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স তা প্রকাশ করছে বলে আমরা মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই। মহান আল্লাহ যেন লেখকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম জাযা প্রদান করেন এবং লেখকের রচনাগুলােকে তার জন্য কবুল করেন।
পরিশেষে সকলের নিকট দুআ কামনা করি।
In stock
30 krসকল প্রশংসা মহান দয়াময় আল্লাহর নিমিত্ত। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ. যে দরদ ও কল্যাণেচ্ছা নিয়ে দাওয়াতের ময়দানে ছুটে বেড়িয়েছেন এবং উম্মাতের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার জবাব দিয়েছেন, আমাদের আশা, মহান আল্লাহ তাঁর এ প্রশ্নোত্তর সঙ্কলনকেও সমাদৃত, উপকারী ও দীর্ঘস্থায়ী করবেন।
তাঁর জীবদ্দশায় বিভিন্ন মাহফিলে ও টিভি চ্যানেলে বহু মানুষের যুগজিজ্ঞাসার জবাব কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে প্রদান করেছেন। তিনি আপনাদের জিজ্ঞাসার জবাব আর মুখভরা হাসি নিয়ে আপনাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন আপনারা ছিলেন শ্রোতা আর এখন পাঠক। বিভিন্ন ভিডিও ক্যাসেট, টিভি চ্যানেল ও ইউটিউবে থাকা তাঁর প্রশ্নোত্তরমালা সংগ্রহ করে ‘জিজ্ঞাসা ও জবাব’ নামে সিরিজ আকারে আস সুন্নাহ পাবলিকেশন্স প্রকাশ করছে।
In stock
49 krস্বনামধন্য লেখক আরিফ আজাদ একজন আলাের ফেরিওয়ালা। বিশ্বাসের দর্শন দিয়ে লেখালেখির জগতে পা রাখা এই লেখক এবার হাজির হয়েছেন জীবনের কিছু গল্প নিয়ে। জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গল্পগুলােকে লেখক তুলে এনেছেন তার শৈল্পিক রং-তুলিতে। আলাে থেকে স্ফুরিত হওয়া সেই অসাধারণ গল্পগুলাে যেমন জীবনের কথা বলে, তেমনই জীবনে রেখে যায় বিশ্বাসী মূল্যবােধের গভীর এক ছাপ।
জীবন যেখানে যেমন নিরেট গল্পের একটি বই। তবে কেবল গল্পের বই বলে একে মূল্যায়নের সুযােগ নেই। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে লেখক তার পাঠকদের জন্য রেখে গিয়েছেন চিন্তার কিছু খােরাক। পাঠকের ভাবুক মন যদি সেগুলােয় নিবিষ্ট হয়, আমরা আশা করতে পারি, গল্পের পাশাপাশি তারা জীবনের কিছু উপকারী পাঠ কুড়িয়ে নিতে সক্ষম হবে। লেখক আরিফ আজাদ তার লেখনীশক্তির মুন্সিয়ানায়। গল্পগুলােকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। এ কারণে প্রতিটি গল্পই হয়ে উঠেছে সুখপাঠের এক বিশাল আধার। এ বইতে পাঠকসমাজ নতুন এক আরিফ আজাদকে আবিষ্কার করবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।
পাঠকদের জ্ঞাতার্থে বলতে হচ্ছে, লেখক নিজস্ব বানান ও ভাষারীতি অনুসরণ করে থাকেন। ফলে বহুল ব্যবহৃত কিছু শব্দের অচেনা রূপ দেখে তারা বিভ্রান্ত হবেন না—এই কামনা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য আর সুন্দরের পথে অবিচল রাখুন। আমিন।
In stock
16 krউম্মাহর দরদি অভিভাবক মুহিউস সুন্নাহ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ রাহ.-এর ইন্তিকালের পাঁচ বছর পর তাঁর এই জীবনী গ্রন্থটি লিখেছেন আবাসে–প্রবাসে তাঁর দীর্ঘদিনের সান্নিধ্যধন্য আস সুন্নাহ ট্রাস্টের সেক্রেটারি জনাব আব্দুর রহমান। আমি তাঁকে অনেক বার অনুরোধ করেছি, যারা দীর্ঘদিন স্যার রাহ.কে খুব নিকট থেকে দেখেছেন আপনি তাদের অন্যতম। তাঁর সম্পর্কে আপনার স্মৃতিগুলো, আপনার বলবার কথাগুলো দুই মলাটের মাঝে সংরক্ষণ করুন। কেননা আমাদের কার কখন দুনিয়ার সফর শেষ হয়ে যায় কারোরই জানা নেই। তিনি বারবার তাঁর লেখনশক্তির দুর্বলতার কথা বলেছেন। তবে আমার কথা ছিল, এক্ষেত্রে ভাষার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তথ্যের বিশুদ্ধতা। আপনি কথা না বললে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী তথ্য হারিয়ে যাবে, অজানা থেকে যাবে, যা পরবর্তীতে স্যার রাহ.-এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী রচনায় মূল উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হবে। মুসলিম উম্মাহর বর্তমান দুর্দিনে আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ.-এর জীবন চর্চা এবং তাঁর চিন্তা ও কর্মপদ্ধতির আলোচনা অনেক দরকারী ও উপকারী যা কুয়াশাভরা সন্ধ্যায় আমাদের চলার পথে আলো ফেলবে। এদেশের ঘরানাবিভক্ত ধর্মীয় সমাজে কোনো আলিম যদি নিজ ঘরানার বিষয়গুলোকে বিভিন্ন যুক্তিও উক্তির মাধ্যমে প্রমাণ করেন আর অন্যদেরকে দরাজ কণ্ঠে খ–ন করেন তবে তিনি রাতারাতি নিজ ঘরানায় জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এদেশের জনপ্রিয় আলিম বলতে সাধারণত এ ধরনের জনপ্রিয় আলিমকেই বোঝায়। সম্ভবত ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ. ছিলেন এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম; যিনি কোনো ঘরানায় প্রবেশ না করেও, শুধু বিশুদ্ধ সুন্নাহ আর সমগ্র উম্মাহর পক্ষে থেকেও আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। এখন হয়ত আমরা সকলেই বুঝতে পারছি, বিশ্বের তাবৎ কুফফার শক্তি আর আদমশুমারিতে মুসলিম হিসাবে অন্তর্ভুক্ত যিন্দীক মুলহিদ শ্রেণি যখন ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, আর উম্মাহর অধিকাংশ সদস্য ইসলাম ও উম্মাহর স্বার্থের ব্যাপারে, এমনকি নিজের আখিরাতের ব্যাপারেও সম্পূর্ণ উদাসীন তখন আমাদের ধার্মিক শ্রেণির ঘরানাগত স্বার্থ ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষার চেয়ে উম্মাহর অস্তিত্ব রক্ষার জিহাদে ঐক্যবদ্ধ হওয়া কতটা জরুরি। আর এক্ষেত্রে স্যার রাহ.-এর চিন্তা ও কর্মপদ্ধতির চর্চা অতিশয় প্রাসঙ্গিক। তিনিই দেখিয়েছেন, কীভাবে বিভক্তির পথে না গিয়ে, কেবল সুন্নাহ ও উম্মাহর পক্ষে থেকেও উম্মাহর হৃদয়জয় করে এক প্লাটফর্মে আনা যায়।জনাব আব্দুর রহমান সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ) স্যার রাহ.-এর জীবন চর্চার জানালাটা খুলে দিলেন। এখন অনেকেই হয়ত দরজা খুলে বাইরে আসবেন; তাঁর জীবন চর্চা ব্যাপক আকারেশুরু হবে। পথিকৃৎ হিসাবে এই গ্রন্থের লেখক উম্মাহর শুকরিয়া ও দুআর হকদার হয়ে গেলেন। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি, তিনি যেন লেখকের এ প্রচেষ্টাকে কবুল করেন এবং এ গ্রন্থের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য একে নাজাতের ওসিলা করেন
In stock
69 krতাতারীদের ইতিহাস গ্রন্থটি ষষ্ঠ শতাব্দির মুসলিম সম্রাজ্যের উপর ধেয়ে আসা তাতারী আগ্রাসনের ইতিহাস নিয়ে রচিত একটি অনবদ্য গ্রন্থ। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. রাগেব সারজানীর অনন্য সৃষ্টি এই বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটির আলোচ্য বিষয় বর্বর তাতারীদের ঘৃন্য ইতিহাস। লেখক প্রতিষ্ঠিত সত্যের পাটাতনে দাঁড়িয়ে বলে গেছেন ইতিহাসের দাস্তান। সেই সঙ্গে ইসলামের শাশ্বত বিশ্বাত চরিত্র এবং মুসলমানদের রক্তে নির্মিত ঐতিহ্য ও আদর্শের প্রতি যত্নবান থেকেছেন পূর্ণ সতর্কতায়। লেখকের গদ্য অদ্ভুত সুন্দর, সহজ এবং সুখপাঠ্য। শক্তিমান ও প্রাঞ্জল। আরবী আধুনিক এবং বর্ণনাভঙ্গি ঋজু। ইতিহাসের গ্রন্থ বলে শব্দ ব্যবহারে ভাষা প্রাচুর্যও লক্ষণীয়। সবমিলিয়ে ‘তাতারীদের ইতিহাস’ একটি বর্ণাঢ্য রচনা।
তাতার আমাদের মুসলমানদের জন্য সবসময়ই প্রাসঙ্গিক। বর্তমান সময়ে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক। দোয়া করি এটি আমাদের তরুণদের হাতে হাতে উঠে আসুক। ‘ওয়া ইসলা..মা….হ’ বলে আইনে জালুতের মাঠে কুতযের সেই পাষাণ নিনাদ আমাদের রক্তে কাঁপন ধরাক। মাওলানা আবদুল আলীম অনূদিত এই গ্রন্থ তার বিষয় তথ্যশক্তি টার্গেট এবং ভাষার সৌকর্যে আমাদের বাঙলা সাহিত্যে একটি উত্তম সংযোজন বলে বিবেচিত হবে। ইনশাআল্লাহ
In stock
5 krঅনেক দ্বীনদার মানুষ চান সংক্ষিপ্তাকারে কিছু মাসনূন যিকির ও দুআর একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ, যা সবসময় নিজের সাথে বহন করা যাবে। তাদের আগ্রহ ও চাহিদার দিক বিবেচনা করেই মূলত সংক্ষিপ্ত এ পুস্তিকাটি সঙ্কলন করা হয়েছে। এই পুস্তিকার সকল তথ্য ও ‘রাহে বেলায়াত’ এবং ‘সহীহ মাসনূন ওযীফা’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। উক্ত গ্রন্থগুলোর পাদটীকায় গ্রন্থকার বিস্তারিত তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছেন। সংক্ষেপণের উদ্দেশ্যে আমরা শুধু দুয়েকটি কিতাবের নাম ও শামিলায় প্রদত্ত হাদীস নাম্বার উল্লেখ করেছি। আগ্রহী পাঠককে লেখকের মূলগ্রন্থ থেকে বিস্তারিত তথ্য দেখে নেবার অনুরোধ করছি।
সংক্ষিপ্ত এ পুস্তিকায় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পরবর্তী এবং সকাল-সন্ধ্যার মাসনূন যিকরসহ একজন মুমিনের ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত দৈনন্দিন পালনীয় কিছু মাসনূন যিকর ও দুআ সঙ্কলন করা হয়েছে। এছাড়া পুস্তিকার শুরুতে সংক্ষেপে যিকরের পরিচয়, গুরুত্ব ও ফযীলত তুলে ধরা হয়েছে।
Out of stock
49 krনবীজি! আমাদের নবীজি! আমাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় নবীজি! কখনো কী ভেবেছি নবীজি স. এর সংসার জীবন কেমন ছিলো?
স্ত্রীদের সাথে কেমন ছিলেন তিনি? তিনিও যে স্ত্রীদের সাথে মান-অভিমান করতেন আমরা কি তা জানি? আবার স্ত্রীরাও অভিমান করলে কী করে তা ভাঙতেন? কেমন করে স্ত্রীদের নিয়ে বিনোদন করতেন? পারিবারিক কোন বিপর্যয় আসলে কী করে সেটার সমাধান করতেন?
নিজ ছেলে মেয়েদের সাথে কেমন ছিলেন তিনি? হযরত ফাতিমা থেকে শুরু করে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের সাথে তাঁর সম্পর্ক কেমন ছিলো? মেয়ে জামাইদের সাথে কেমন সম্পর্ক ছিলো? শ্বশুর হিসেবে কেমন ছিলেন তিনি?
নিজ নাতিনাতনিদের সাথে কেমন ছিলেন তিনি? কেমন করে তাদের আদর-যত্ন করতেন? কীভাবে তাদের বিভিন্ন আবদার পূরন করতেন?
নবীজির ঘরে কোন মেহমান আসলে কীভাবে তাদের আপ্যায়ন করতেন? কেমন আচরণ করতেন তাদের সাথে?
এভাবে প্রিয় নবীজির পুরো সংসারজীবনের নানানদিক এই বই থেকে হাদীসের আলোকে জানা যাবে ইন শা আল্লাহ।
In stock
79 krকুরআন ও সুন্নাহতে অনেক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে আমাদের শিক্ষাগ্রহণের জন্য। যেমন: নবীগণের ঘটনা, পূর্বেকার উম্মতের ঘটনা কিংবা হাদীসে বর্ণিত সাহাবীদের কোনো শিক্ষণীয় ঘটনা।
আচ্ছা… কেমন হয়, যদি এসব ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এর শিক্ষণীয় বিষয়গুলো একত্রিত করা হয়? কোন ঘটনা থেকে আমরা কী শিখতে পারি, কীভাবে তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারি তা একেবারে সহজ ভাষায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে বুঝিয়ে দেয়া হয়?
জি, এমনটিই করা হয়েছে ‘নবীজির পাঠশালা ﷺ’ বইটিতে। এতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুবারক হাদিসভাণ্ডার হতে ৩১টি বিশুদ্ধ হাদিস একত্রিত করা হয়েছে। ঘটনা বর্ণনার পর তা থেকে গ্রহণীয় শিক্ষাগুলো দারস আকারে প্রতি ঘটনার সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিটি দারসে রয়েছে জীবনঘনিষ্ট উপদেশমালা, আছে জীবন পথে চলার পাথেয়। প্রতিটি লাইনই যেন এক-একটি নাসীহাহ!
কিছু ঘটনা হয়ত আপনি জানেন। বারবার শুনেছেন, পড়েছেন। কিন্তু হলফ করে বলতে পারি, এভাবে কখনো ভেবে দেখেন নি। একই ঘটনা হয়ত পড়বেন আবার। কিন্তু এবার তা হৃদয়কে নাড়া দিবে। জীবন পরিবর্তন করে দিবে ইন শা আল্লাহ।
তাহলে দেরি কীসের? চলুন ঘুরে আসি, নবীজি ﷺ এর পাঠশালায়। মুগ্ধ হয়ে হাদিসের গল্প-ঘটনা শুনবো, সাথে এর মাঝে ছড়িয়ে থাকা মনিমুক্তোও সেচে আনবো। নবীজির পাঠশালায় ﷺ আপনাকে স্বাগতম।
In stock
35 kr‘ড. আব্দুর রহমান রাফাত পাশা ‘। আরব্বিশ্বতো বটেই দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলেও অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। তার লেখা আরবি গদ্য মধুর মতো মিষ্ট, অশ্রুর মতো আদ্র, পর্বতের মতো সুদৃঢ় আর প্রেমের মতো আকর্ষণীয়…. নামে যেমন খ্যাতিমান কাজে তিনি তারচেয়ে বেশি শক্তিমান। তার লেখা সুওয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবা, সুওয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবিয়্যাত এবং সুওয়ারুম মিন হায়াতিত তাবেঈন আরববিশ্বে যেমন জনপ্রিয় এই বাংলাদেশের আরবি সাহিত্যপ্রিয় পাঠকমহলেও তেমনি লোভনীয়। উঁচু মানের এ আরবি সাহিত্যিকের সুওয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবিয়্যাত গ্রন্থটি ‘নারী সাহাবিগণ রা. ঈমানদীপ্ত জীবনকথা ‘ নামে মাকতাবাতুল ইসলাম থেকে বাংলায় অনুদিত হয়ে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল জুন ২০১২ সনে। ড. রাফাত পাশা সাহেবের এ গ্রন্থে আটজন মহান নারী সাহাবির জীবনগল্প আলোচিত হয়েছে। যার পরতে পরতে আমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষা…. বিশেষত নারীদের জন্যে রয়েছে ঈমানদীপ্ত উন্নত জীবন গঠনের অজস্র উপাদান। প্রথম প্রকাশের পর বইটির অনেকগুলো মুদ্রণ বের হয়। পাঠক চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে মাকতাবাতুল ইসলাম এবার বইটির নতুন সংস্করণ প্রকাশ করলো। নতুন প্রচ্ছদে উন্নত অফসেট কাগজ ও ঝকঝকে মুদ্রণের এ সংস্করণটি পাঠকমহলে নতুন করে সারা ফেলবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
In stock
80 krপ্রশংসা মহান আল্লাহর নিমিত্ত। সালাত ও সালাম তাঁর বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ (২) এর জন্য, তাঁর বান্দা আদম, নূহ, ইবরাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব, মূসা, ঈসা ও অন্যান্য সকল নবীরাসূলের জন্য, তাদের পরিজন ও সহচরদের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব অনুষদে অধ্যাপনার কারণে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব আমাদের পড়তে ও পড়াতে হয়। ছাত্র ও গবেষকবৃন্দ এ বিষয়ে কিছু লেখা আশা করেন। পাশাপাশি সংযুক্ত হয়েছে ধর্মপ্রচার বিষয়ক বিশেষ প্রেক্ষাপট। বিশ্বায়নের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল সভ্যতা, ভাষা ও সংস্কৃতির মত সকল ধর্মও কাছাকাছি হয়ে গিয়েছে। বেড়েছে আন্তঃধর্মীয় আলােচনা, সংলাপ, বিতর্ক ও দ্বন্দ্ব। বিভিন্ন ধর্মের প্রচার বেড়েছে। বিভিন্ন ধর্ম অধ্যয়নে মানুষের আগ্রহও বেড়েছে। বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা নিজ ধর্মের প্রচারের পাশাপাশি নিজ ধর্মের বিরুদ্ধে অন্যান্য ধর্মের প্রচারকদের প্রচারণা খণ্ডনের চেষ্টাও বাড়িয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটেই এ পুস্তকটার রচনা। বিগত শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকেই খ্রিষ্টধর্মীয় প্রচারকরা বাংলাদেশে খ্রিষ্টধর্মের প্রচার জোরদার করেছেন। স্বভাবতই তারা বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ বা মুসলিমকে খ্রিষ্টধর্মের গুরুত্ব বােঝাতে কমবেশি হিন্দু, বৌদ্ধ বা ইসলাম ধর্ম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বা নবীর উপর আক্রমণ করেন। বিশেষ করে মুসলিমরা যেহেতু তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীদের (সকলের প্রতি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি বর্ষিত হােক) প্রতি ভক্তিপ্রবণ, সেহেতু মুসলিম সমাজে খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে তারা এ সকল ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করেন। এ ছাড়া মুহাম্মাদ (y)-এর অনুসরণের মাধ্যমে মুক্তি সম্ভব নয় বলে প্রমাণ করার জন্য তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর কথা প্রচার করেন। তাদের বক্তব্য অনেক মুসলিমকে আহত করে। কখনাে বা সংঘাত সৃষ্টি করে। মুসলিম প্রচারকরা এ বিষয়ে তথ্য নির্ভর গ্রন্থাদি আশা করেন। বাংলা ভাষায় এ জাতীয় বইয়ের অভাব। এ অভাব পূরণ করে পবিত্র বাইবেল পর্যালােচনা ও সমালােচনায় বাঙালি পাঠকের সামনে সামগ্রিক তথ্যাদি তুলে ধরাই এ পুস্তকের উদ্দেশ্য। ধর্মতত্তের পাঠক ও পাঠদাতা হিসেবে আমরা মনে করি, ধর্ম আলােচনায় কেউ কখনােই নিরপেক্ষ হতে পারেন না, তবে বস্তুনিষ্ঠ হতে পারেন এবং হওয়াই উচিত। প্রতিটা মানুষই তার বিশ্বাসের পক্ষে এবং বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত। নাস্তিক, ধর্মবিহীন আস্তিক এবং ধর্মানুসারী আস্তিক প্রত্যেকেই তার বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত হন। আমিও আমার বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত। তবে আমি আমার সাধ্যমত তথ্য উপস্থাপনায় ও পর্যালােচনায় বস্তুনিষ্ঠ থাকার চেষ্টা করেছি। বিশেষত অন্য ধর্মের আলােচনায় কুরআন ও সুন্নাহ যে নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ আরােপ করেছে তা মেনে চলার চেষ্টা করেছি। কুরআন বলছেঃ “তােমরা ধর্মগ্রন্থ-অনুসারীদের (অন্য ধর্মের অনুসারীদের) সাথে সর্বোত্তম পদ্ধতিতে ছাড়া বিতর্ক করবে না” (সূরা-২৯ আনকাবুত: আয়াত ৪৬)। কুরআন অন্যত্র বলেছে: “আল্লাহ ছাড়া যাদের তারা ডাকে তােমরা তাদের বিষয়ে কটুক্তি করবে না।” (সূরা-৬ আনআম: আয়াত ১০৮)। গবেষণার বস্তুনিষ্ঠতা ও ধর্মীয় নির্দেশনার আলােকে আলােচনা, পর্যালােচনা ও সমালােচনার ক্ষেত্রে আমরা কয়েকটা মূলনীতি রক্ষার চেষ্টা করেছি…..
In stock
50 krনাস্তিক আর সংশয়বাদীদের দিক থেকে ইসলাম নিয়ে তোলা মৌলিক প্রশ্ন হাতে গোনা। বেশিরভাগ প্রশ্নই ইসলাম-বিদ্বেষী, ঘৃণা আর প্রান্তিকতার চাদরে মোড়ানো। হাল জামানায় উত্থিত এসব প্রশ্ন নতুন নয়, ১৪শ বছর আগেও ছিল; জিইয়ে আছে আজতক। এসব নিয়ে অতীতেও প্রচুর কাজ হয়েছে কিন্তু কোথাও যেন একটা শূনতা ছিল! গিয়ে এলেন নতুন প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল কথাসৈনিক আরিফ আজাদ। পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করলেন এক বিশ্বাসী চরিত্র ‘সাজিদ’।
আরিফ আজাদ একান্ত নিজের মতো করে অবিশ্বাসীদের জবাব দিয়েছেন। সাহিত্যের প্রচলিত গাম্ভীর্যতা পরিহার করে গল্পোচ্ছলে মিথ্যার ফানুস উড়িয়ে দিয়েছেন।প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ পাঠক-মানসে সত্যের বীজ বুনছে যুক্তির আকরে; কিছুটা আকর্ষণীয় ঢঙে, খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায়। লাখো পাঠক প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ নিয়ে কথা বলছে, কিন্তু কেন? চলুন, পড়ে দেখি…
In stock
75 kr‘প্রশ্ন’ হলো কৌতূহলের বহিঃপ্রকাশ। আর ‘উত্তর’ হলো উদ্ভূত কৌতূহলের নিবৃত্তি। প্রশ্ন ও তার উত্তর খুঁজে বের করার মাধ্যমে মূলত টেকসই জ্ঞান অর্জিত হয়। নবিজির পুরো জীবনকে এই গ্রন্থে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থাপন করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক, ‘উসওয়ায়ে হাসানাহ’, সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ ﷺ-এর পবিত্র সিরাত নিয়ে বাংলা ভাষায় প্রচুর কাজ হয়েছে। আমাদের সম্মানিত ওলামায়ে কিরাম ও শাইখবৃন্দ তাদের মেধা ও যোগ্যতার সর্বোচ্চাটুকু ঢেলে দিয়ে সিরাতুন্নবি ﷺ লিখেছেন। ‘প্রশ্নোত্তরে সিরাতুন্নবি ﷺ’ সেই ধারাবাহিকতায় এক নতুন সংযোজন। প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে রাসূল ﷺ-এর জীবনী সম্পর্কে জানার এই নতুন ধারা বিদগ্ধ সিরাতপ্রেমী পাঠকদের জ্ঞানের পালে নতুন হাওয়া নিয়ে আসবে, ইনশাআল্লাহ।
In stock
39 krরাসূল সা.-এর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট্যকে নান্দনিক রচনাশৈলীর মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই বৈশিষ্ট্যাবলিকে নিজের মাঝে ধারণ করার প্রেরণা সৃষ্টিই এ বইয়ের লক্ষ্য।
No account yet?
Create an Account