HEY YOU, JOIN US & CONNECT TO BOIPUSTOK!
Learn and gain knowledge about the life stories of sages and celebrities
In stock
35 krমানবজীবন নিতান্ত নিরস ও নিরানন্দ নয়। বিনোদন ও আনন্দ জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। মানুষ বিভিন্নভাবে বিনোদন উপভোগ করে- যার কিছু স্বভাবজাত, সরল ও নিষ্কলুষ; আর কিছু বিকৃত, রুচিহীন ও অমার্জিত। ইসলাম মানবস্বভাবের সাথে সংগতিশীল ও পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। বলা হয়ে থাকে- ইসলাম ফিতরাতের দ্বীন। সুতরাং বিনোদন ও আনন্দ উপভোগের ক্ষেত্রেও ইসলামের নির্দেশনা থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। শিল্প, সাহিত্য, গান, খেলাধুলা ইত্যাদি বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি তুলনামূলক কম আলোচিত বিষয়। সময়ের পরিক্রমায় সতর্কতার নামে ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠেছে এ বিষয়ক আলাপের ভঙ্গি। ইমামুল ওসাতিয়্যাহ উসতায ইউসুফ আল কারযাভী এ বিষয়ে কলম ধরে সময়ের প্রয়োজন পূরণ করেছেন। তিনি কুরআন-সুন্নাহর নির্যাস, পূর্ববর্তী আলিমদের আমল ও মন্তব্য উদ্ধৃত করে এ বিষয়ের একটি সামগ্রিক ধারণা উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টি ফিকহি; সুতরাং অন্যান্য ফিকহি বিষয়ের মতোই এ বিষয়েও বেশ কিছু বিতর্ক ও মতভিন্নতা আছে। পাশাপাশি আছে দীর্ঘ সময়ের ধূলির আস্তরণ। সুতরাং উসতায কারযাভীর আলোচনার প্রতিটি বর্ণে একমত হতে হবে এমন আবশ্যকতা নেই এবং তা বাস্তবও নয়। যথাযথ তথ্য-উপাথ্যের ভিত্তিতে দ্বিমত করার সুযোগ অবশ্যই খোলা। তবে উসতাযের এ বইটি শিল্পকলা ও বিনোদনকে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলাপের বদ্ধ দোর খুলে দেবে।
In stock
22 kr“ইসলামী আকীদা” বইটির ভূমিকাঃ
إن الحمد و تخمه وسنه ونستغفره ونعود بالله من شرور آتنا وسيئات أعمالنا من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له وأشهد أن لا إله إلا الله وأشهد أن محمدا عبده ورسوله، اللهم صل على محمد وأزواجه وره ما صليت على آل إبراهيم وبارك على محمد وأزواجه ويه كما باركت على آل
মানুষের প্রকৃতি ও মানবজাতির ইতিহাস পর্যালােচনা করলে আমরা দেখতে পাই যে, সঠিক বিশ্বাসই মানুষের সকল সফলতা ও সৌভাগ্যের ভিত্তি। বিশ্বাসই মানুষের পরিচালিকা শক্তি। সঠিক বিশ্বাস মানুষকে মানবতার শিখরে তুলে দেয় এবং তার জীবনে বয়ে আনে অফুরন্ত শান্তি ও আনন্দ। আমরা জানি বিশ্বাস ও কর্মের সমন্বয়ে ইসলাম। সঠিক বিশ্বাস বা ঈমানই ইসলামের মূল ভিত্তি। আমরা যত ইবাদত ও সঙ্কর্ম করি সবকিছু আল্লাহর নিকট কবুল বা গ্রহণযােগ্য হওয়ার শর্ত ঈমান। বিভিন্ন মুসলিম জনগােষ্ঠীর সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশের মুসলিমদের বিশেষ তিনটি বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে:
প্রথমত, বাংলার মুসলিমগণ ভক্তিপ্রবণ। তাঁরা তাঁদের ধর্ম ইসলামকে খুবই ভালবাসেন। আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসূল প্রতি তাঁদের ভক্তি খুবই বেশী। তাঁরা সাধারণত ইসলামী আচরণকে মেনে চলতে আগ্রহী।
দ্বিতীয়ত, তাঁরা সরলপ্রাণ। সাধারণত ইসলামের নামে বা ধর্মের নামে যা বলা হয় তারা সহজেই তা মেনে নেন।
তৃতীয়ত, তারা ভদ্র ও বিনয়ী। কোন বিষয়ে সত্য অবগত হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা তা মেনে নেন এবং নিজের ভুল স্বীকার করেন। অন্যান্য অনেক মুসলিম জনগােষ্ঠীর সদস্যদের মতে নিজের ভুল বুঝার পরেও তা আকড়ে ধরার বা তার পক্ষে ওকালতি করার চেষ্টা করেন না। বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের মধ্যে দাও’আতী কর্মে লিপ্ত বিদেশী সমাজকর্মীরা বাংলার মুসলমানদের এসকল বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
In stock
20 krইসলামী আন্দোলনঃ সাফল্যের শর্তাবলী
লেখকঃ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদী
প্রকাশনীঃ আই সি এস পাবলিকেশন
In stock
30 krইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
লেখকঃ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদী
প্রকাশনীঃ আধুনিক প্রকাশনী
In stock
89 krআচ্ছা কেমন হয় যদি নবীজি ﷺ এর যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত পুরো ইসলামের ইতিহাসের সারনির্যাস এক মলাটে ৩৫০-৩৬০ পৃষ্ঠার বইতে পেয়ে যান?
মুসলিম উম্মাহর একজন সদস্য হয়ে আপনার কি উচিত না রাসূলের যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ইতিহাসের পুরো সিকুয়েন্সটা মাথায় রাখা? প্রত্যেকের ইতিহাসবেত্তা হওয়া জরুরি না, কিন্তু পুরো ইসলামি ইতিহাসের ঘটনা পরিক্রমাগুলোত অন্তত জানা দরকার।
——
নবীজির যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান ইতিহাসের একদম মূল সারনির্যাস ধাপেধাপে এক মলাটে লিখেন আরবের বিখ্যাত শাইখ ডক্টর মুহাম্মাদ ইবরাহীম শারীকী। নাম দেয়া হয় ‘তারিখুল ইসলামিয়া’। এটিরই অনূদিত রূপ ‘ইসলামের ইতিহাস : নববী যুগ থেকে বর্তমান’।
In stock
99 krযুদ্ধ। বিশ্ব ভূখণ্ডের এক অনিবার্য বাস্তবতার নাম। যে ভিতে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীর সভ্যতা, শৃঙ্খলা ও তাবৎ ব্যবস্থাপনা। মানুষ যতই শান্তিকামী আর সহনশীলই হোক না কেন—এক সময় তাকে যুদ্ধের পতাকা হস্তে ধারণ করতেই হবে; এতে তার সামান্য আগ্রহ থাকুক, বা না-থাকুক। যদি প্রতিপক্ষ শত্রু তার ও তার দীনের সম্মান বিনষ্ট করে, তার বিশ্বাসের অনিষ্ট সাধনে সচেষ্ট হয় বা তার মর্যাদা হরণের অপচেষ্টায় রত হয়—তাহলে হাত গুটিয়ে বসে থাকা বা প্রতিপক্ষের এমন অযাচিত কর্মকাণ্ড এড়িয়ে চলা, কোনভাবেই কারো জন্য উত্তম ও উন্নত চরিত্রের নিদর্শন হতে পারে না।
পৃথিবীর আবহমানকালের ইতিহাসের ভেতর শির উঁচু করে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে মুসলমানদের গৌরবের অতীত; গর্বময় ঐতিহ্য। আমরা মুসলমানদের যুদ্ধের ইতিহাসে আলো ফেললে দেখতে পাই, রণক্ষেত্রে তাদের ইস্পাতকঠিন চিন্তা, নিপুণ কৌশল, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, নব্য আবিস্কৃত অস্ত্র ও যুদ্ধসরঞ্জাম কতোটা সর্বজনবিদিত। মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে, সকলের জন্য ইসলামের সুমহান অতীত ইতিহাস জানা প্রয়োজন।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, যুগের পালাবদলে বর্তমান মুসলমানরা ধর্মীয় অন্যান্য অনুষঙ্গের পাশাপাশি ইতিহাসের প্রতি ঔদাসীন্য দেখিয়েছে অনেক বেশি। যে উদাসীনতার সময়কাল নির্ধারণ করতে ‘কয়েক বছর’ বলেও ক্ষ্যান্ত দেয়া যায় না, বরং বলতে হয়—’কয়েক শতাব্দি’। হ্যাঁ, বিগত কয়েক শতাব্দিকাল ধরেই ইসলামি ইতিহাসের প্রতি আমাদের সীমাহীন অমনোযোগ পরিলক্ষিত হয়েছে।
অনিবার্য ফলাফল হিসেবে, আমাদের ঐতিহ্যের অলি-গলিতে ঢুকে গেছে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের বহু ‘ইতিহাস-চোর’। ইসলামের শাশ্বত সুন্দর ইতিহাসকে তারা খেলার বস্তু বানিয়ে ছেড়েছে। নিজেদের মনমতো মুসলমানদের চিরন্তন অতীতের বাস্তবতা বদলে চিরসুন্দর গোলপগুলোকে পাল্টে দিয়েছে কষ্টদায়ক কাঁটায়।
‘ইসলামের ইতিহাসে যুদ্ধ : নববী যুগ থেকে বর্তমান’ গ্রন্থটি, উম্মাহর এই প্রয়োজনীয়তা পূরণে একজন দুর্বল তবে সচেতন মুমিন পুরুষের প্রজন্মরক্ষার দরদী প্রয়াস। গ্রন্থটি মূল্যবান এ-জন্য যে, এটি ইসলামি ইতিহাসের অনন্য জ্বলজ্বলে কর্মময় অধ্যায়গুলোর মলাটবদ্ধ অনিন্দ্য সমন্বিত রূপ।
In stock
10 krআমাদের সমাজের সকল মানুষ এবং ইসলাম সম্পর্কে যাদের সামান্য জ্ঞানও আছে তারা সকলেই জানেন যে, জাতি, ধর্ম , বর্ণ , গোত্র নির্বিশেষে সমাজের সকল মানুষের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা ইসলামী ধর্মবিশ্বাসের অন্যতম প্রেরণা । তাত্ত্বিক , প্রায়োগিক ও ঐতিহাসিকভাবে তা সর্বজনবিদিত । বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সকল মানুষই ধর্মীয়ভাবে শান্তিপ্রিয় । সবাই আমরা শান্তি চাই । এখন সমস্যা হলো, তাহলে ইসলামের নামে বোমাবাজি , অশান্তি , নিরিহ নিরপরাধ মানুষ হত্যা, আত্মহত্যা ইত্যাদি কেন ঘটছে ? এ সকল ঘটনার কারন জানা শুধু কৌতূহল নিবারণের বিষয় নয়, বরং সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায় । সন্ত্রাস একটি ভয়ঙ্কর সামাজিক ব্যাধি । এর নিরাময়ের জন্য এর সঠিক কারন নির্ণয় করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ । সঠিক কারন নির্ণয় এই ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ের পথ সুগম করে । পক্ষান্তরে এর কারন নির্ণয়ে বিভ্রান্তি সমস্যাকে আরো ভয়ঙ্কর করে তুলতে পারে ।
In stock
6 krবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, নাহমাদুহু ওয়া সাল্লী আলা রাসূলিহীল কারীম। আম্মা বাদ, রাসূলুল্লাহ এমন নবী, মানব জাতির সৃষ্টির শুরুতেই যার মর্যাদার কথা লিপিবদ্ধ হয়েছিল মহান রবের দরবারে। ইবরাহীম (আ) এর দোয়ার বাস্তবায়নে ইসমাঈল (আ) এর বংশে আরবে শ্রেষ্ঠতম কুরাইশ বংশে রাসূলুল্লাহ 4 জন্মগ্রহণ করেন। সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, তিনি সােমবার জন্মগ্রহণ করেন। আবু কাতাদা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ কে সােমবার দিন রােযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন “এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমি নবুয়্যত পেয়েছি।” রাসূলুল্লাহ সঃ এর জন্ম নিঃসন্দেহে উম্মাতের জন্য মহা আনন্দের বিষয়। তবে এ আনন্দ প্রকাশ যদি রাসূলুল্লাহ : ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে হয় তাহলে তাতে সাওয়াব হবে। রাসূলুল্লাহ * এর মীলাদ বা জন্মে আমাদের আনন্দ রাসূলুল্লাহ ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে করতে পারলে আমরা এতে অফুরন্ত সাওয়াব ও বরকত লাভ করতে পারব। মীলাদ পালনের সুন্নাত পদ্ধতি হলাে প্রতি সােমবার সিয়াম পালনের মাধ্যমে। আল্লাহর দবরারে শুকরিয়া জানানাে । রাসূলুল্লাহ ঃ নিজে আমাদের এ পদ্ধতি শিখিয়েছেন। এ ছাড়া আমরা দেখেছি যে, মূসা (আ) ও পরবর্তীকালে রাসূলুল্লাহ আশূরার দিন সিয়াম পালন করেছেন। রাসূলুল্লাহ এর মীলাদ বা জন্মে আনন্দ প্রকাশের দ্বিতীয় সুন্নাত পদ্ধতি হলাে সর্বদা তাঁর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা । তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন আমরা জীবন বিলিয়ে দিলেও তার সামান্যতম প্রতিদান দিতে পারব না, কারণ আমরা হয়ত আমাদের পার্থিব সংক্ষিপ্ত জীবনটা বিলিয়ে দিলাম, কিন্তু তিনি তাে আমাদের পার্থিব ও পারলৌকিক অনন্ত জীবনের সফলতার পথ দেখাতে তাঁর মহান জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাই রাসূলুল্লাহ , এর প্রতি আমাদের নূন্যতম দায়িত্ব যে আমরা সর্বদা তাঁর জন্য সালাত ও সালাম পাঠ করব। আল্লাহর যি ও সালাত সালামের জন্য ওযু করা শর্ত নয়, তবে তা উত্তম। বসে, শুয়ে, দাঁড়িয়ে, হাঁটতে হাঁটতে, ওযুসহ বা ওযুছাড়া সর্বাবস্থায় সালাতসালাম পাঠ করতে হবে। বিভিন্ন সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, একবার সালাত পাঠ করলে বান্দা নিম্নের সাত প্রকার পুরস্কার লাভ করে: একবার দরুদ পাঠ করলে
(১) মহান আল্লাহ দরুদ পাঠকারীর দশটি গােনাহ ক্ষমা করেন।
(২) দশটি সাওয়াব দান করেন
(৩) দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন
(৪) দশটি রহমত দান করেন
(৫) ফিরিশতাগণ তার জন্য দুআ করতে থাকেন।
(৬) ফিরিশতাগণ পাঠকারীর নাম ও তার পিতার নামসহ তার সালাত রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পবিত্র রাওয়ায় পৌছে দেন।
(৭) তিনি নিজে এবার সালাত পাঠকারীর জন্য ১০ বার দুআ করেন। বেশি বেশি সালাত পাঠকারীর জন্য রয়েছে অতিরিক্ত দুটি পুরস্কার: প্রথমত আল্লাহ তার সমস্যা ও দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দিবেন এবং দ্বিতীয়ত: রাসূলুল্লাহ সাঃ এর শাফায়াত তাঁর পাওনা হবে।সালাতের সাথে সাথে সালাম পাঠ করতে হবে। তাঁর উপর সালাম পাঠ করলে, স্বয়ং আল্লাহ সালাম পাঠকারীকে সালাম প্রদান করেন, সালাম রাসূলুল্লাহ এর রাওযা মুবারাকায় ফিরিশতাগণ পৌছে দেন এবং তিনি সালামের উত্তর প্রদান করেন। রাসূলুল্লাহ ও এর আগমনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্যতম দিক হলাে তাঁর মহান শিক্ষা ও পবিত্রতম চরিত্রের কথা বিশ্ববাসীকে জানানাে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর প্রতি ঈমান এনে, তাঁর শরীয়ত মােতাবেক জীবন গঠন করে, তার সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করে, সদা সর্বদা তাঁর উপর দরুদ সালাম পাঠ করে, সাধ্যমত বেশি বেশি তার জীবনী ও হাদীস পাঠ করে ও শ্রবণ করে নিজেদের জন্য নতুন জীবনের নতুন জন্ম লাভ করা। এই তাে হলাে সর্বোচ্চ সফলতা। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফীক প্রদান করুন। আমীন।
In stock
149 krরাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আদর্শ। আল্লাহ্ তাআলাই তাঁকে আমাদের জন্য উসওয়া বানিয়েছেন। তিনিই আমাদের অনুসরনীয় এবং অনুকরনীয়,আদর্শ। আচ্ছা কখনো কি ভেবে দেখেছি যে কেন তিনি আদর্শ? কীভাবে তিনি আদর্শ?
রাসুলের আগমণের বার্তা ছিল পূর্বের সকল আসমানী কিতাবে, যার জীবন পরিপূর্ন ছিল উত্তম আচরণে। স্বয়ং আল্লাহ্ তাআলা তাঁর চরিত্রের সাক্ষ্যদিয়ে নাজিল করেছেন কুরআনের আয়াত। তাঁর নবুওয়াত, তাঁর মুজিজা, তাঁর জীবনাচরন, তাঁর রাষ্ট্রনীতি, তাঁর যুদ্ধনীতি সবকিছু দিয়েই তিনি ছিলেন উতকৃষ্টতার উচ্চ শিখরে। সকল ক্ষেত্রেই তিনিই আদর্শ। পৃথিবীতে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি আদর্শেরও আদর্শ। যার আদর্শকে স্বীকৃতি জানিয়েছেন তার ঘোরতম শত্রুরাও। এমনকি অবিশ্বাসীদের যারা নিরপেক্ষভাবে তাঁকে, তাঁর জীবনচরিতকে বিশ্লেষণ করেছে তারাও একথা স্বীকার করে নিয়েছে যে, তাঁর অবস্থানে তিনিই সয়ম্ভু।
আমাদের দৈনিক পাঠ্যসূচির একটা অংশে থাকা চাই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিরাত। থাকা চাই তাঁকে নতুন করে জানার আগ্রহ। সেই সাথে সিরাত পাঠে থাকা উচিত নতুনত্ব।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিরাত নিয়ে আমাদের ধারণা থাকলেও তিনি যে আদর্শ তা নিয়ে বাংলায় তেমন কিছু রচনা হয়নি বললেই চলে। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ড. রাগিব সারজানি এই শূন্যস্থান পূরণ করেছেন তার রচিত “উসওয়াতুল লিল আলামিন” গ্রন্থের মাধ্যমে। বইটি আর সব সিরাত কিংবা শামায়েল গ্রন্থের মতো নয়। আর নয় এ দুয়ের মাঝের কিছু। রাসুলের জীবনাদর্শ পাঠে বিমোহিত হতেই বইটির সৃষ্টি। লেখক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালামের শ্রেষ্ঠত্বের বর্ণনাগুলি ফুটিয়ে তুলেছেন কাগজের পাতায়। তুলে ধরেছেন তাঁর ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের পাশাপাশি তাঁর প্রতি আরোপিত অভিযোগের খণ্ডন, উল্লেখ করেছেন পশ্চিমা বিশ্বের নিরপেক্ষ বিশ্লেষকদের মতামত।সুপাঠ্য এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে মাকতাবাতুল হাসান থেকে।
In stock
25 krচলে গেছে জীবনের কতগুলো রমযান!
পুষ্পিত বসন্তের সুবাসিত ফল্গুধারা নিয়ে!
রহমত-মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে!
দরজায় কড়া নাড়ছে আরেকটি ‘মাহে রমযান‘!
অসামান্য অর্জন ও অত্যুচ্চ প্রাপ্তির অপার সম্ভাবনা নিয়ে!
কিন্তু ….।
কীভাবে যেন কেটে যায় দিনগুলো!
হেলায়-ফেলায়- অবহেলায়-উদাসীনতায়!
মাস শেষে আফসোস! বার দু’য়েক দীর্ঘশ্বাস!
রমযান এল, রমযান গেল, এগার মাসের মতই!
অথচ ….।
এই রমযানই হয়তো জীবনের শেষ রমযান!
শেষ সুযোগ ক্ষমা লাভের! শেষ সুযোগ প্রাপ্তি ও অর্জনের!
গতবার কতজন ছিলেন! সাহরীতে-ইফতারীতে! জীবনের পরতে-পরতে!
আজ তারা নির্জন কবরে! রমযান শেষেই হয়তো আমার পালা, ডাক আসার!
তাহলে ….।
কীভাবে কাটাবেন আপনার জীবনের শেষ রমযান?!
কীভাবে কাজে লাগাবেন প্রতিটি ক্ষণ, সেকেন্ডের প্রতিটি ভগ্নাংশ?!
কীভাবে ভাবতে শিখবেন- ‘এটাই আমার জীবনের সর্বশেষ রমযান’?!
তা জানতেই প্রিয় পাঠক আপনার জন্য ‘এটাই হয়তো জীবনের শেষ রমযান’!
In stock
49 krকারবালা, ইমাম মাহদি, দাজ্জাল, গজওয়ায়ে হিন্দ- প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা প্রসঙ্গ। ইমাম মাহদি আর দাজ্জাল বিষয় দুটি পরস্পর সংশ্লিষ্ট হলেও বাকিগুলো একেবারেই আলাদা। তবে এক জায়গায় এ বিষয়গুলোর খুব মিল আছে। আর তা হলো- এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রচুর মিথ চালু রয়েছে মুসলিম সমাজে। কারবালা, ইমাম মাহদি, দাজ্জাল ও গজওয়ায়ে হিন্দ প্রত্যেকটি বিষয়েই রয়েছে আল্লাহর রাসূলের হাদিস। আছে সেসব হাদিসের ওপর পূর্ববর্তী স্কলারদের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যাখ্যা ও বিভিন্ন মন্তব্য। কিন্তু সেসব হাদিস ও এর ব্যাখ্যা নিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ আলোচনা হয় প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম। কল্পনা আর ধারণার ওপর ডালপালা ছড়ানো চমকপ্রদ আলোচনাই চলে বেশি। অথচ সেসব প্রচলিত মিথ ও কিংবদন্তির তেমন কোনো তাত্ত্বিক ভিত্তি নেই। ড. ইয়াসির ক্বাদির প্রাসঙ্গিক চারটি আলোচনার সংকলন এ বইটি এসব বিষয়ে আপনাকে দেবে একটি সামগ্রিক ধারণা।
In stock
39 krকারাগারের রাতদিন
লেখক : জয়নাব আল গাজালী
প্রকাশনী : প্রফেসর’স বুক কর্ণার
বিষয় : মহীয়সী নারী জীবনী
পৃষ্ঠা : 256, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 9th Published, 2008
In stock
10 krকিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা
একটি হাদীসতাত্ত্বিক পর্যালােচনা
প্রারম্ভিকা: রাতের আঁধারে সালাতের মাধ্যমে আপন রবের নির্জন সান্নিধ্যে সময় কাটানাে মুমিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তির ওয়াসিলা। কুরআন ও সুন্নাহ মুমিনকে রাতের নির্জনতায় সালাত ও কিয়ামে উৎসাহিত করেছে। কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদের জন্য সাধারণভাবে উৎসাহিত করেছে বছরের সকল রাতেই আর বিশেষভাবে রমাযানের রাতে । কিতাব ও সুন্নাহ রাতের সালাতকে মুমিনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্বপূর্ণ সিফাত বলে উল্লেখ করেছে।
ইশার পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত সময়ে আমাদের আদায় করা সকল নফল সালাতকেই ‘কিয়ামুল লাইল’ বা ‘সালাতুল লাইল’ বলে। তাহাজ্জুদ’ শব্দটির উদ্দেশ্য ঘুম থেকে উঠে যে সালাত আদায় করা হয়। আর রমাযান মাসের রাতের সালাতকে ‘তারাবীহ’ বা বিশ্রামের সালাত’ বলা হয়। কেননা এ সালাতে প্রত্যেক চার রাকআত পরপর বিশ্রাম করা হয়।
কিয়ামুল লাইল, বিশেষ করে রমাযান মাসের তারাবীহর সালাতের রাকআত সংখ্যা নির্ধারণে বর্ণনাসমূহে ভিন্নতা রয়েছে। এ পর্যায়ে সাধারণভাবে রাতের সালাত, বিশেষকরে রমাযানের রাতের সালাতের রাকআত সংখ্যার ব্যাপারে বর্ণিত মার’, মাওকুফ ও মাকতূ হাদীসসমহ পর্যালােচনার প্রয়াস পাব। মহান আল্লাহ তাওফীক দাতা।
In stock
13 krমানবজীবনের প্রয়ােজনীয় সকল বিষয়ের মৌলিক নীতিমালা যে কুরআনে পেশ করা হয়েছে, সেখানে অবশ্যই সব রকম সুস্থতারও নিশ্চয়তা রয়েছে। আল্লাহর নেক বান্দাগণ কুরআন থেকে যেসব রােগের চিকিৎসা খুঁজে বের করেছেন, এটি তার একটি সংকলন।
কুরআনের তাৎপর্য ও মাহাত্ম নিয়ে যুগে যুগে যেমনি গবেষণা চলছে, তেমনি কুরআন থেকে চিকিৎসা গ্রহণের প্রচেষ্টাও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ কুরআনকে “রােগের উপশমকারী ও রহমত” হিসেবে ঘােষণা দেওয়ার পর মানসিক ও শারীরিক এমন কোনাে রােগ থাকতেই পারে না, যার নিরাময় কুরআনে নেই। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর কর্তব্য হলাে, গভীর বিশ্বাস, নেক আমল ও পবিত্র জীবনযাপনের মাধ্যমে নিজের কল্যাণ, হেফাযত ও সুস্থতার প্রয়ােজনে কুরআন থেকে ফায়দা হাসিলের জন্য সচেষ্ট হওয়া।
আমেরিকার ফ্লোরিডা অঞ্চলে “ইসলামী চিকিৎসা বিজ্ঞান ফাউন্ডেশন” কুরআন তিলাওয়াতের প্রভাব জানতে কতিপয় অসুস্থ ব্যক্তির উপর এক ব্যাপক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। উক্ত গবেষণায় দেখা যায় যে, মানসিক প্রশান্তি সৃষ্টির ক্ষেত্রে ৯৭পার্সেন্ট পর্যন্ত কুরআন তিলাওয়াতের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসা বিষয়ক সুদীর্ঘ পরীক্ষা কর্মসূচি এমনভাবে চালানাে হয়েছিল যে, আরব-অনারব কতিপয় মুসলিম এবং অমুসলিমের ওপর কুরআন তিলাওয়াত শুনানাের পর তাদের মানসিক অবস্থার উপর এর প্রভাব পরিমাপ ও রেকর্ড করা হয়।
In stock
14 krআধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতা মানুষের জৈবিক বা পাশবিক জীবনকেই একমাত্র উদ্দেশ্য হিসাবে গ্রহণ করেছে। এজন্য পাশ্চাত্য সভ্যতার দৃষ্টিতে ‘স্মার্টনেস’ বা ‘ব্যক্তিত্বে’-র অন্যতম বৈশিষ্ট্য ‘অহঙ্কার’। যাকে দেখলে যত ‘অহঙ্কারী’ বা ‘কঠিন’ মনে হবে সে তত বেশি ‘ব্যক্তিত্বসম্পন্ন’ বা ‘স্মার্ট’। পাশ্চাত্য পোশাক পরিচ্ছদে এই বৈশিষ্ট্য রক্ষার জন্য সদা চেষ্টা করা হয়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নির্দেশ মত টাখনু পর্যন্ত পোশাক পরিধান করলে দেখতে খারাপ দেখায়, সেকেলে মনে হয় বা স্মার্টনেস পরিপূর্ণ হয় না সেজন্য টাখনুর নিচে নামিয়ে পোশাক পরতে হয়। আর এই অনুভুতিটির নামই অহমিকা, অহংকার, গর্ব ও গৌরব। স্মার্ট দেখানোর উদ্দেশ্যে পোশাক ভূলুণ্ঠিত করাকেই হাদীসের ভাষায় গৌরব বা গর্বভরে পোশাক ভূলুণ্ঠিত করা বলা হয়েছে। মনের গভীরে এই অহমিকা, “স্মার্ট দেখানোর” আগ্রহ ছাড়া কেউই ইচ্ছাকৃতভাবে পায়ের গিরা আবৃত করে পোশাক তৈরি করেন না বা পরেন না। সর্বোপরি উপরের হাদীসগুলি জানার পরে কেউ ভাবতে পারেন না যে ইচ্ছাকৃতভাবে পোশাক নামিয়ে পরা কোনোভাবে জায়েয হতে পারে।… বিস্তারিত জানতে “কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা” বইটি পড়ুন
In stock
6 krআমরা ইসমাঈল (আ), ইবরাহীম (আ) বা অন্য কারো স্মৃতির প্রতি সম্মানার্থে, স্মৃতি বা রীতি পালনে “কুরবানি” করি না। হজ্জ ও কুরবানির ঘটনার সাথে ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) এর স্মৃতি বিজড়িত। কিন্তু আমরা তাঁদের স্মৃতির জন্য এ সকল ইবাদত পালন করি না। আমরা মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য কুরবানি করি। মহান আল্লাহ বলেছেন: “অতএব তুমি তোমার রবের জন্য সালাত আদায় কর এবং কুরবানি কর।” (সূরা (১০২) কাউসার: ২ আয়াত) আমরা রাসূলুল্লাহ (স.) এর সুন্নাত অনুসরণে এগুলি পালন করি। তিনি এগুলি পালন, অনুমোদন ও বিধিবদ্ধ করেছেন বলেই আমরা তা পালন করি। ইবরাহীম (আ) এর সবচেয়ে প্রসিদ্ধ স্মৃতি-বিজড়িত বস্তু “মাকাম ইবরাহীম”। কুরআনে মাকামে ইবরাহীমকে সুস্পষ্ট আয়াত বা মুজিযা ও নিদর্শন বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা কেউ মাকামে ইবরাহীম চুম্বন করি না, বরং “হাজারে আসওয়াদ” চুম্বন করি। কারণ রাসূলুল্লাহ (স.) এরূপই করেছেন। কুরবানী সম্পর্কি তথ্যবহুল আলোচনা রয়েছে এই বইটিতে…
In stock
10 krলেখক : ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
প্রকাশক : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
বিষয় : হজ্জ-উমরাহ ও কোরবানি
In stock
25 krপ্রশ্নটি আজকের নয়। প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে এসেছিল এ প্রশ্ন। উত্তরও এসেছিল মহান রবের পক্ষ থেকে। খুবই সরল সমীকরণ। আল্লাহ তাআলা দ্বীন দিয়ে তা আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নবি পাঠিয়েছেন। তাঁর সহযোগী ও সহচর হিসেবে নির্বাচন করেছেন উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। তাঁরা দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করেছেন। এতদ্সত্ত্বেও এ সহযোগিতা রাসুলের ওপর উম্মাহর কোনো ইহসান ছিল না; বরং তাঁর কাজে শরিক হতে পারাটাই তাঁদের জীবনের সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য বলে বিবেচনা করা হয়।
আল্লাহ তাআলা পরিষ্কার করে ঘোষণা দিয়েছেন যে, যদি তোমরা আমার রাসুলের কাজে সাহায্য-সহযোগিতা না করো, তাহলে মনে রেখো, আল্লাহ স্বয়ং নিজেই তাঁর সাহায্য করবেন; যেমনিভাবে পূর্বে করেছেন। এ সম্বোধন কেবল সাহাবিদের জন্যই নয়; বরং কিয়ামত পর্যন্ত আগত প্রতিটি মুমিনই এ সম্বোধনের পাত্র।
সাহাবায়ে কিরাম উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়ে রাসুলের সাহায্য করেও যদি এমন কঠিন সম্বোধনের শিকার হন, তাহলে আমাদের মতো অলস, উদাসীন ও নিষ্কর্মাদের ব্যাপারে এটা কত বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে, তা কি কেউ চিন্তা করে দেখেছে কখনও? কোন পদ্ধতিতে কাজ করলে বেশি সহযোগিতা হবে? কোন কোন বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে? এমন নানা বিষয় নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজনে থাকছে ড. রাগিব সারজানি বিরচিত ‘কে হবে রাসুলের সহযোগী’।
In stock
8 kr“কোরআন ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পর্দা” বইটির কিছু কথাঃ
পর্দা শব্দটি মূলতঃ ফার্সী। যার অর্থ আবরণ বা ঢাকনা। আরবী ভাষায় বলে হিজাব। পবিত্র কালামে একাধিক সূরাও রয়েছে তাতে পর্দা সংক্রান্ত | বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে। আমরা অনেকে পদা বলতে অবরােধ প্রথা বা নারীকে চার দেয়ালের ভিতর গৃহবন্দী করে রাখা বুঝি। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে পর্দা হচ্ছে পােষাক ও আচরণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ জীবন গঠন করা। | বর্তমান যুগে পদা একটি সামাজিক ভদ্রতার প্রতীক ও আভিজাত্যের পরিচায়ক। সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি বহুল আলােচিত বিষয়, যা এক শ্রেণীর লােকের নিকট অত্যন্ত মর্যাদার বিষয় বস্তু। তারা চান মানুষ পর্দার মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান মেনে পশুত্বকে বাদ দিয়ে সৃষ্টর সেরা হিসাবে বেচে থাক। অবহমানকালের এ চিররীতি বজায় রেখে সমাজ জীবনের ভীতকে মজবুত করুক। পারিবারিক বন্ধনকে করুক আরও সু-দৃঢ়।
আরেক শ্রেণীর লােকের নিকট এটি একটি সমালােচনার বিষয়। তাদের ভাষায়, সেকেলের গােড়ামী চিরতরে বন্ধ হােক। এটি সকল প্রকার প্রগতি ও উন্নতির অন্তরায়, তাই একে সমাজের সর্বস্তর থেকে বাদ দিতে হবে। পর্দার দ্বারা মানুষের স্বহজাত ধর্মে আঘাত করা হয়, তাই তারা প্রকৃতির সন্তান হিসাবে বেঁচে থাকতে চান । যথেচ্ছা যৌনাচার, বিজ্ঞাপনে নারীর মাংসল দেহ প্রদর্শনী, সর্বত্র নারীকে ভােগের সামগ্রী বানিয়ে তাদের দ্বারা ফায়দা লুটতে চায়।
পর্দার মূল কথা হচ্ছে, পর পুরুষের সামনে নারীদের রূপ লাবণ্য প্রকাশ না করা । এমনিভাবে পুরুষদের জন্যও পর্দা সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। পর্দার বহু অর্থ হতে পারে, কেবল বাহ্যিক পর্দাই যে সীমাবদ্ধ তা নয় বরং মনের পর্দাও একটি বিরাট স্থান দখল করে আছে। এমনিভাবে কথা, কাজ, বাচন ভঙ্গি, দৃষ্টি, আচার। আচরণ, মােটকথা সব কিছুতেই ক্ষেত্র বিশেষ পর্দার বিধান প্রযােজ্য। এমনিভাবে মুহরিমদের সাথে এক রকম পর্দা ও গায়রে মুহরিমদের সাথে আরেক রকম পদার বিধান রয়েছে। নিজের মাতা, স্ত্রী, বােন, ভাই, বন্ধু, পিতা, পরিচিত, অপরিচিত সর্ব ক্ষেত্রে পর্দা করার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। আরবীতে পদাকে হিজাব বলে আখ্যায়িত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে হিজাব গ্রহণ করার পরও মা-বােনেরা বেপর্দা থেকে যায়।
No account yet?
Create an Account