HEY YOU, JOIN US & CONNECT TO BOIPUSTOK!
Learn and gain knowledge about the life stories of sages and celebrities
In stock
15 kr“সালাতের মধ্যে হাত বাঁধার বিধান : একটি হাদীসতাত্ত্বিক পর্যালোচনা” বইয়ের ভূমিকার লেখা:
গ্রন্থটিকে তিনটি পর্বে বিভক্ত করেছি। প্রথম পর্বে এ বিষয়ক হাদীসগুলাে ইলমুল হাদীসের মানদ-ে অধ্যয়নের চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয় পর্বে উম্মাতের প্রথম প্রজন্মগুলাের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও হাদীসপন্থী ফকীহগণের বক্তব্যের আলােকে সহীহ ও হাসান হাদীসগুলাের নির্দেশনা নির্ধারণের চেষ্টা করেছি। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের আলােচনা থেকে প্রতিভাত হয়েছে যে, সহীহ হাদীস পালনের বিষয়ে ঐকমত্য সত্ত্বেও সহীহ হাদীস নির্ধারণ, হাদীসের নির্দেশনা নির্ধারণ, একাধিক সহীহ হাদীসের সমন্বয় ও হাদীসের ফিকহী নির্দেশনা নির্ধারণের ক্ষেত্রে উম্মাতের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও ফকীহগণ ব্যাপক মতভেদ করেছেন। এরই আলােকে তৃতীয় পর্বে উম্মাতের মতভেদ, প্রান্তিকতা, কারণ, প্রতিকার ও এ বিষয়ে সালাফ সালিহীনের কর্মধারা আলােচনা করেছি।
In stock
20 krযারা হেদায়াতের পথে চলতে চায় তাদেরকে এই বইটি অনুপ্রাণিত এবং উদ্বুদ্ধ করতে পারে, বিশেষ করে নারীদের। এই বইটিতে অত্যন্ত বলিষ্ঠ্যভাবে উম্মু সুলাইম রাদিয়াল্লাহু আনহার দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা, ধৈর্য
এবং সাহস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
In stock
10 kr‘‘আল্লাহর পথে দাওয়াত’’বই এর ভূমিকা:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আল-হামদু লিল্লাহ। ওয়া সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ। ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন।
আল্লাহর পথে আহ্বান করতেই নবী-রাসূলগণের (আ) আগমন। মুমিনের জীবনের অন্যতম দায়িত্ব এই দা’ওয়াত। কুরআন কারীমে এ দায়িত্বকে কখনো দা’ওয়াত, কখনো সঙ্কার্যে আদেশ ও অসৎকার্যে নিষেধ, কখনো প্রচার, কখনো নসীহত ও কখনো দীন প্রতিষ্ঠা বলে অভিহিত করা হয়েছে।
করআন ও হাদীসের আলোকে এ কাজের গুরুত, এর বিধান, পুরস্কার, এ দায়িত্ব পালনে অবহেলার শাস্তি, এ কর্মে অংশগ্রহণের শর্তাবলী ও এর জন্য আবশ্যকীয় গুণাবলী আলোচনা করেছি এই পুস্তিকাটিতে। এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তি, যেমন বিভিন্ন অজুহাতে এ দায়িত্বে অবহেলা, ফলাফলের ব্যস্ততা বা জাগতিক ফলাফল ভিত্তিক সফলতা বিচার, এ দায়িত্ব পালনে কঠোরতা ও উগ্রতা, আদেশ, নিষেধ বা দা’ওয়াত এবং বিচার ও শাস্তির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়, আদেশ, নিষেধ বা দা’ওয়াত এবং গীবত ও দোষ অনুসন্ধানের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করেছি। সবশেষে এ ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে সুন্নাতে নববী এবং এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তির কথা আলোচনা করেছি। হাদীসের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সহীহ বা নির্ভরযোগ্য হাদীসের উপর নির্ভর করার চেষ্টা করেছি। মুহাদ্দিসগণ অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষার মাধ্যমে হাদীসের বিশুদ্ধতা ও দুর্বলতা নির্ধারণ করেছেন, যে নিরীক্ষা-পদ্ধতি বিশ্বের যে কোনো বিচারালয়ের সাক্ষ্য-প্রমাণের নিরীক্ষার চেয়েও বেশি সুক্ষ্ম ও চুলচেরা । এর ভিত্তিতে যে সকল হাদীস সহীহ বা হাসান অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছে আমি আমার আলোচনায় শুধুমাত্র সে হাদীসগুলিই উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। অতি নগন্য এ প্রচেষ্টাটুকু যদি কোনো আগ্রহী মুমিনকে উপকৃত করে তবে তা আমরা বড় পাওয়া। কোনো সহৃদয় পাঠক দয়া করে পুস্তিকাটির বিষয়ে সমালোচনা, মতামত, সংশোধনী বা পরামর্শ প্রদান করলে তা লেখকের প্রতি তাঁর এহসান ও অনুগ্রহ বলে গণ্য হবে।
In stock
22 kr“ইসলামী আকীদা” বইটির ভূমিকাঃ
إن الحمد و تخمه وسنه ونستغفره ونعود بالله من شرور آتنا وسيئات أعمالنا من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له وأشهد أن لا إله إلا الله وأشهد أن محمدا عبده ورسوله، اللهم صل على محمد وأزواجه وره ما صليت على آل إبراهيم وبارك على محمد وأزواجه ويه كما باركت على آل
মানুষের প্রকৃতি ও মানবজাতির ইতিহাস পর্যালােচনা করলে আমরা দেখতে পাই যে, সঠিক বিশ্বাসই মানুষের সকল সফলতা ও সৌভাগ্যের ভিত্তি। বিশ্বাসই মানুষের পরিচালিকা শক্তি। সঠিক বিশ্বাস মানুষকে মানবতার শিখরে তুলে দেয় এবং তার জীবনে বয়ে আনে অফুরন্ত শান্তি ও আনন্দ। আমরা জানি বিশ্বাস ও কর্মের সমন্বয়ে ইসলাম। সঠিক বিশ্বাস বা ঈমানই ইসলামের মূল ভিত্তি। আমরা যত ইবাদত ও সঙ্কর্ম করি সবকিছু আল্লাহর নিকট কবুল বা গ্রহণযােগ্য হওয়ার শর্ত ঈমান। বিভিন্ন মুসলিম জনগােষ্ঠীর সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশের মুসলিমদের বিশেষ তিনটি বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে:
প্রথমত, বাংলার মুসলিমগণ ভক্তিপ্রবণ। তাঁরা তাঁদের ধর্ম ইসলামকে খুবই ভালবাসেন। আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসূল প্রতি তাঁদের ভক্তি খুবই বেশী। তাঁরা সাধারণত ইসলামী আচরণকে মেনে চলতে আগ্রহী।
দ্বিতীয়ত, তাঁরা সরলপ্রাণ। সাধারণত ইসলামের নামে বা ধর্মের নামে যা বলা হয় তারা সহজেই তা মেনে নেন।
তৃতীয়ত, তারা ভদ্র ও বিনয়ী। কোন বিষয়ে সত্য অবগত হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা তা মেনে নেন এবং নিজের ভুল স্বীকার করেন। অন্যান্য অনেক মুসলিম জনগােষ্ঠীর সদস্যদের মতে নিজের ভুল বুঝার পরেও তা আকড়ে ধরার বা তার পক্ষে ওকালতি করার চেষ্টা করেন না। বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের মধ্যে দাও’আতী কর্মে লিপ্ত বিদেশী সমাজকর্মীরা বাংলার মুসলমানদের এসকল বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
In stock
10 krআমাদের সমাজের সকল মানুষ এবং ইসলাম সম্পর্কে যাদের সামান্য জ্ঞানও আছে তারা সকলেই জানেন যে, জাতি, ধর্ম , বর্ণ , গোত্র নির্বিশেষে সমাজের সকল মানুষের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা ইসলামী ধর্মবিশ্বাসের অন্যতম প্রেরণা । তাত্ত্বিক , প্রায়োগিক ও ঐতিহাসিকভাবে তা সর্বজনবিদিত । বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সকল মানুষই ধর্মীয়ভাবে শান্তিপ্রিয় । সবাই আমরা শান্তি চাই । এখন সমস্যা হলো, তাহলে ইসলামের নামে বোমাবাজি , অশান্তি , নিরিহ নিরপরাধ মানুষ হত্যা, আত্মহত্যা ইত্যাদি কেন ঘটছে ? এ সকল ঘটনার কারন জানা শুধু কৌতূহল নিবারণের বিষয় নয়, বরং সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায় । সন্ত্রাস একটি ভয়ঙ্কর সামাজিক ব্যাধি । এর নিরাময়ের জন্য এর সঠিক কারন নির্ণয় করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ । সঠিক কারন নির্ণয় এই ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ের পথ সুগম করে । পক্ষান্তরে এর কারন নির্ণয়ে বিভ্রান্তি সমস্যাকে আরো ভয়ঙ্কর করে তুলতে পারে ।
In stock
6 krবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, নাহমাদুহু ওয়া সাল্লী আলা রাসূলিহীল কারীম। আম্মা বাদ, রাসূলুল্লাহ এমন নবী, মানব জাতির সৃষ্টির শুরুতেই যার মর্যাদার কথা লিপিবদ্ধ হয়েছিল মহান রবের দরবারে। ইবরাহীম (আ) এর দোয়ার বাস্তবায়নে ইসমাঈল (আ) এর বংশে আরবে শ্রেষ্ঠতম কুরাইশ বংশে রাসূলুল্লাহ 4 জন্মগ্রহণ করেন। সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, তিনি সােমবার জন্মগ্রহণ করেন। আবু কাতাদা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ কে সােমবার দিন রােযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন “এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমি নবুয়্যত পেয়েছি।” রাসূলুল্লাহ সঃ এর জন্ম নিঃসন্দেহে উম্মাতের জন্য মহা আনন্দের বিষয়। তবে এ আনন্দ প্রকাশ যদি রাসূলুল্লাহ : ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে হয় তাহলে তাতে সাওয়াব হবে। রাসূলুল্লাহ * এর মীলাদ বা জন্মে আমাদের আনন্দ রাসূলুল্লাহ ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে করতে পারলে আমরা এতে অফুরন্ত সাওয়াব ও বরকত লাভ করতে পারব। মীলাদ পালনের সুন্নাত পদ্ধতি হলাে প্রতি সােমবার সিয়াম পালনের মাধ্যমে। আল্লাহর দবরারে শুকরিয়া জানানাে । রাসূলুল্লাহ ঃ নিজে আমাদের এ পদ্ধতি শিখিয়েছেন। এ ছাড়া আমরা দেখেছি যে, মূসা (আ) ও পরবর্তীকালে রাসূলুল্লাহ আশূরার দিন সিয়াম পালন করেছেন। রাসূলুল্লাহ এর মীলাদ বা জন্মে আনন্দ প্রকাশের দ্বিতীয় সুন্নাত পদ্ধতি হলাে সর্বদা তাঁর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা । তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন আমরা জীবন বিলিয়ে দিলেও তার সামান্যতম প্রতিদান দিতে পারব না, কারণ আমরা হয়ত আমাদের পার্থিব সংক্ষিপ্ত জীবনটা বিলিয়ে দিলাম, কিন্তু তিনি তাে আমাদের পার্থিব ও পারলৌকিক অনন্ত জীবনের সফলতার পথ দেখাতে তাঁর মহান জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাই রাসূলুল্লাহ , এর প্রতি আমাদের নূন্যতম দায়িত্ব যে আমরা সর্বদা তাঁর জন্য সালাত ও সালাম পাঠ করব। আল্লাহর যি ও সালাত সালামের জন্য ওযু করা শর্ত নয়, তবে তা উত্তম। বসে, শুয়ে, দাঁড়িয়ে, হাঁটতে হাঁটতে, ওযুসহ বা ওযুছাড়া সর্বাবস্থায় সালাতসালাম পাঠ করতে হবে। বিভিন্ন সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, একবার সালাত পাঠ করলে বান্দা নিম্নের সাত প্রকার পুরস্কার লাভ করে: একবার দরুদ পাঠ করলে
(১) মহান আল্লাহ দরুদ পাঠকারীর দশটি গােনাহ ক্ষমা করেন।
(২) দশটি সাওয়াব দান করেন
(৩) দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন
(৪) দশটি রহমত দান করেন
(৫) ফিরিশতাগণ তার জন্য দুআ করতে থাকেন।
(৬) ফিরিশতাগণ পাঠকারীর নাম ও তার পিতার নামসহ তার সালাত রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পবিত্র রাওয়ায় পৌছে দেন।
(৭) তিনি নিজে এবার সালাত পাঠকারীর জন্য ১০ বার দুআ করেন। বেশি বেশি সালাত পাঠকারীর জন্য রয়েছে অতিরিক্ত দুটি পুরস্কার: প্রথমত আল্লাহ তার সমস্যা ও দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দিবেন এবং দ্বিতীয়ত: রাসূলুল্লাহ সাঃ এর শাফায়াত তাঁর পাওনা হবে।সালাতের সাথে সাথে সালাম পাঠ করতে হবে। তাঁর উপর সালাম পাঠ করলে, স্বয়ং আল্লাহ সালাম পাঠকারীকে সালাম প্রদান করেন, সালাম রাসূলুল্লাহ এর রাওযা মুবারাকায় ফিরিশতাগণ পৌছে দেন এবং তিনি সালামের উত্তর প্রদান করেন। রাসূলুল্লাহ ও এর আগমনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্যতম দিক হলাে তাঁর মহান শিক্ষা ও পবিত্রতম চরিত্রের কথা বিশ্ববাসীকে জানানাে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর প্রতি ঈমান এনে, তাঁর শরীয়ত মােতাবেক জীবন গঠন করে, তার সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করে, সদা সর্বদা তাঁর উপর দরুদ সালাম পাঠ করে, সাধ্যমত বেশি বেশি তার জীবনী ও হাদীস পাঠ করে ও শ্রবণ করে নিজেদের জন্য নতুন জীবনের নতুন জন্ম লাভ করা। এই তাে হলাে সর্বোচ্চ সফলতা। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফীক প্রদান করুন। আমীন।
In stock
10 krকিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা
একটি হাদীসতাত্ত্বিক পর্যালােচনা
প্রারম্ভিকা: রাতের আঁধারে সালাতের মাধ্যমে আপন রবের নির্জন সান্নিধ্যে সময় কাটানাে মুমিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তির ওয়াসিলা। কুরআন ও সুন্নাহ মুমিনকে রাতের নির্জনতায় সালাত ও কিয়ামে উৎসাহিত করেছে। কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদের জন্য সাধারণভাবে উৎসাহিত করেছে বছরের সকল রাতেই আর বিশেষভাবে রমাযানের রাতে । কিতাব ও সুন্নাহ রাতের সালাতকে মুমিনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্বপূর্ণ সিফাত বলে উল্লেখ করেছে।
ইশার পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত সময়ে আমাদের আদায় করা সকল নফল সালাতকেই ‘কিয়ামুল লাইল’ বা ‘সালাতুল লাইল’ বলে। তাহাজ্জুদ’ শব্দটির উদ্দেশ্য ঘুম থেকে উঠে যে সালাত আদায় করা হয়। আর রমাযান মাসের রাতের সালাতকে ‘তারাবীহ’ বা বিশ্রামের সালাত’ বলা হয়। কেননা এ সালাতে প্রত্যেক চার রাকআত পরপর বিশ্রাম করা হয়।
কিয়ামুল লাইল, বিশেষ করে রমাযান মাসের তারাবীহর সালাতের রাকআত সংখ্যা নির্ধারণে বর্ণনাসমূহে ভিন্নতা রয়েছে। এ পর্যায়ে সাধারণভাবে রাতের সালাত, বিশেষকরে রমাযানের রাতের সালাতের রাকআত সংখ্যার ব্যাপারে বর্ণিত মার’, মাওকুফ ও মাকতূ হাদীসসমহ পর্যালােচনার প্রয়াস পাব। মহান আল্লাহ তাওফীক দাতা।
In stock
14 krআধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতা মানুষের জৈবিক বা পাশবিক জীবনকেই একমাত্র উদ্দেশ্য হিসাবে গ্রহণ করেছে। এজন্য পাশ্চাত্য সভ্যতার দৃষ্টিতে ‘স্মার্টনেস’ বা ‘ব্যক্তিত্বে’-র অন্যতম বৈশিষ্ট্য ‘অহঙ্কার’। যাকে দেখলে যত ‘অহঙ্কারী’ বা ‘কঠিন’ মনে হবে সে তত বেশি ‘ব্যক্তিত্বসম্পন্ন’ বা ‘স্মার্ট’। পাশ্চাত্য পোশাক পরিচ্ছদে এই বৈশিষ্ট্য রক্ষার জন্য সদা চেষ্টা করা হয়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নির্দেশ মত টাখনু পর্যন্ত পোশাক পরিধান করলে দেখতে খারাপ দেখায়, সেকেলে মনে হয় বা স্মার্টনেস পরিপূর্ণ হয় না সেজন্য টাখনুর নিচে নামিয়ে পোশাক পরতে হয়। আর এই অনুভুতিটির নামই অহমিকা, অহংকার, গর্ব ও গৌরব। স্মার্ট দেখানোর উদ্দেশ্যে পোশাক ভূলুণ্ঠিত করাকেই হাদীসের ভাষায় গৌরব বা গর্বভরে পোশাক ভূলুণ্ঠিত করা বলা হয়েছে। মনের গভীরে এই অহমিকা, “স্মার্ট দেখানোর” আগ্রহ ছাড়া কেউই ইচ্ছাকৃতভাবে পায়ের গিরা আবৃত করে পোশাক তৈরি করেন না বা পরেন না। সর্বোপরি উপরের হাদীসগুলি জানার পরে কেউ ভাবতে পারেন না যে ইচ্ছাকৃতভাবে পোশাক নামিয়ে পরা কোনোভাবে জায়েয হতে পারে।… বিস্তারিত জানতে “কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা” বইটি পড়ুন
In stock
6 krআমরা ইসমাঈল (আ), ইবরাহীম (আ) বা অন্য কারো স্মৃতির প্রতি সম্মানার্থে, স্মৃতি বা রীতি পালনে “কুরবানি” করি না। হজ্জ ও কুরবানির ঘটনার সাথে ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) এর স্মৃতি বিজড়িত। কিন্তু আমরা তাঁদের স্মৃতির জন্য এ সকল ইবাদত পালন করি না। আমরা মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য কুরবানি করি। মহান আল্লাহ বলেছেন: “অতএব তুমি তোমার রবের জন্য সালাত আদায় কর এবং কুরবানি কর।” (সূরা (১০২) কাউসার: ২ আয়াত) আমরা রাসূলুল্লাহ (স.) এর সুন্নাত অনুসরণে এগুলি পালন করি। তিনি এগুলি পালন, অনুমোদন ও বিধিবদ্ধ করেছেন বলেই আমরা তা পালন করি। ইবরাহীম (আ) এর সবচেয়ে প্রসিদ্ধ স্মৃতি-বিজড়িত বস্তু “মাকাম ইবরাহীম”। কুরআনে মাকামে ইবরাহীমকে সুস্পষ্ট আয়াত বা মুজিযা ও নিদর্শন বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা কেউ মাকামে ইবরাহীম চুম্বন করি না, বরং “হাজারে আসওয়াদ” চুম্বন করি। কারণ রাসূলুল্লাহ (স.) এরূপই করেছেন। কুরবানী সম্পর্কি তথ্যবহুল আলোচনা রয়েছে এই বইটিতে…
In stock
20 krআমাদের সমাজের অধিকাংশ মসজিদ অবহেলিত। যােগ্য ও উচ্চ শিক্ষিত ইমামের চেয়ে সস্তা ও অনুগত ইমাম খোঁজা হয়। তদুপরি মসজিদ কমিটির খগড়ের নিচে বসে ইমাম সাহেব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পান না। তারপরও সমাজের দুর্নীতি, যৌতুক, এসিড, সহিংসতা, মাদকতা, অশ্লীলতা ইত্যাদি রােধে এ সকল অবহেলিত মসজিদগুলির সস্তা ইমামগণ “বিলিয়ন ডলার” প্রকল্পের চেয়ে অনেক বেশি অবদান রাখছেন। মসজিদের মিম্বারগুলিকে সমাজগঠনে সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য আমাদের প্রয়ােজন হলাে: (১) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও জুমুআর সালাতের গুরুত্ব সম্পর্কে জাতীয় সকল প্রচার মাধ্যমে প্রচার চালানাে এবং সকল মুসলিমকে মসজিদমুখি করার চেষ্টা করা। (২) মসজিদের জন্য যােগ্য আলিম ইমাম নিয়ােগের ব্যবস্থা করা। (৩) ইমাগণের চাকুরী স্থানীয় মসজিদ কমিটির উপর ষােলআনা ন্যস্ত না করে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনা। (৪) ইমামগণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। (৫) কুরআন ও সুন্নাহের আলােকে জীবন ও সমাজমুখী খুতবা প্রদানের জন্য প্রয়ােজনীয় তথ্যাদি তাদের সামনে উপস্থাপন করা।
In stock
5 krআলহামদুলিল্লাহ, প্রফেসর ড. খােন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ রচিত, কুরআন ও সুন্নাহর আলােকে জামাআত ও ঐক্য লেখাটি পড়লাম। বাস্তবে উম্মতের ঐক্যের জন্য যে মানুষটি তাঁর সারাটি জীবন ব্যয় করেছেন, জীবনের সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা যার এ কেন্দ্রিক নিবদ্ধ থাকতাে, ঐক্যের প্রতীক হিসেবে যাকে সকল নিষ্ঠাবান মানুষই স্বীকার করে, তার পক্ষেই এরকম একটি গ্রন্থ লেখা সম্ভব। তিনি কুরআন ও সুন্নাহর আলােকে উম্মতের ঐক্যের গুরুত্ব, প্রয়ােজনীয়তা, অনৈক্যের বিধান ও এর বিবিধ অপকারিতা তুলে ধরেছেন। ইখতিলাফ ও ইফতেরাকের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার মাধ্যমে উম্মতের ঐক্যের সূত্র দেখিয়ে দিয়েছেন। তার কথা অনুযায়ীই বলতে হয়, ইখতিলাফের ভিত্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইলম বা জ্ঞান ও দলিল। আর ইফতিরাকের ভিত্তি সর্বদাই ব্যক্তিগত পছন্দ বা প্রবৃত্তির অনুসরণ, জিদ এবং ইখলাসের অনুপস্থিতি। আরও বলেছেন, ইলম, ইখলাস, ইসলামী ভ্রাতৃত্ববােধ ও ভালােবাসার সাথে ইখতিলাফ থাকতে পারে কিন্তু এগুলাের সাথে ইফতিরাক থাকতে পারে না। এগুলাের অনুপস্থিতিতেই ইফতিরাক জন্ম নেয়। তার এ কথা অনুযায়ী আমরা বলতে পারি, উম্মতের ইমামগণের মাঝে অনুষ্ঠিত মাসআলা-মাসায়েলজনিত মতভেদের কারণে আমাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকতে হবে সেটা কখনাে ঠিক নয়। সাহাবায়ে কিরামের মাঝে আমলী মাসআলাগুলােতে প্রচুর মতভেদ ছিল, যারা সালাফে সালেহীনের ফিকহ অধ্যয়ন করবে তাদের কাছে সেটা দিবালােকের মত স্পষ্ট হয়ে দেখা দিবে। ইমামগণের মধ্যে প্রচুর আমলী মাসআলায় মতান্তর ছিল কিন্তু তাদের মনে পরস্পরের প্রতি কোনাে বিদ্বেষ ছিল বলে কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। তাঁরা ইলমী মতভেদ করেছেন কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই একে অপরকে খারাপ বলেছেন কেউ দেখাতে পারবে না। ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ ও তাঁর ছাত্রদের মাঝে এক তৃতীয়াংশের অধিক মাসআলায় মতভেদ হওয়া সত্বেও তাদের কেউ অপরের বিরুদ্ধে বিষােদগার তাে দূরের কথা পরস্পরকে সারা জীবন ভালােবেসেই চলে গেছেন। ইমাম মালেককে তার ছাত্র শাফেঈ সম্মান করতেন, ইমাম শাফেঈকে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল কদর করে কথা বলতেন। কিন্তু তাদের মাঝে মতভেদপূর্ণ অসংখ্য মাসআলা ছিল। তাই তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও আমাদের সমাজে ইলমী মতভেদ থাকার পরেও আমরা মৌলিক আকীদা ও মানহাজের ক্ষেত্রে এক হতে পারি। ইফতিক তথা অনৈক্যের কারণগুলাে খুজে সেগুলাে থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারে। বর্তমান কালে আমাদের ঐক্যের পথপ্রদর্শক আমাদের জন্য এ গ্রন্থটি লিখে যেন আমাদেরকে সে পথেরই দিশা দিলেন। আল্লাহ তা’আলার কাছে দো’আ করি তিনি যেন তাঁর এ আমলকে কবুল করেন এবং তাঁর নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দেন আর উম্মতে মুসলিমাহ বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষি মুসলিমদের মাঝে সঠিক পথে ঐক্য তৈরী করে দিন। আমীন।
In stock
23 krজিজ্ঞাসা ও জবাব বইটির ভূমিকাঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর জন্যই সকল হামদ। তিনি মানুষকে ইলম দান করেছেন, মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন তা যা সে জানতো না। তিনিই মানুষকে ইলমের মাধ্যমে উন্নত করেছেন। যারা জানে ও যারা জানে না তাদেরকে সমান বলেন নি। যুগে যুগে আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে তারাই ভালো যারা নবী ও রাসূল। তাদের অবর্তমানে তাদের ওয়ারিস আলেমগণ সবচেয়ে ভালো মানুষ। সে মানুষদের জন্যই যতো দুনিয়ার মর্যাদা ও আখরাতের মর্তবা। এদের জন্যই দো’আ করে প্রতিটি প্রাণী এমনকি আকাশের পাখি ও পানির নিচের মাছ। তাদের জন্যই ডানা বিছিয়ে দেয় আল্লাহর মালাইকা। সারা দুনিয়াতে যত ভালো কাজ হয় তা তাদের আলোতে আলোকিত হওয়ার কারণেই হয়ে থাকে। তারাই দুনিয়াকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আখেরাত বিনির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাদেরকেই আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজের পাশে সাক্ষ্য হিসেবে স্থান দিয়েছেন। তাদেরকেই আল্লাহ তাআলা তার দীন জানার জন্য মাধ্যম হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেন, “যদি তোমরা না জানো তবে যারা যিকর (কুরআন ও সুন্নাহ) এর জ্ঞান রাখে তাদের জিজ্ঞাসা কর।”(সূরা আন-নাহল: ৪৩) কোনো এক যুদ্ধে এক সাহাবী আহত হলেন, তিনি পানি ব্যবহারে অসমর্থ হলেন, সাথে থাকা লোকদের কাছে তিনি এর প্রতিকার কী হতে পারে জানতে চাইলেন, কিন্তু তারা তাকে সঠিক পরামর্শ দিতে অসমর্থ হলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যারা জানে না, তাদের জানার ঔষধ হচ্ছে জেনে নেওয়া।”(সুনান আবী দাউদঃ ৩৩৬,৩৩৭) কোনো মানুষের পক্ষেই সর্ববিষয়ে জ্ঞানী হওয়া সম্ভব হয় না। তাদের কতেকের ওপর অপর কতেককে আল্লাহ জ্ঞানী করেছেন। আল্লাহ বলেন, “আর প্রত্যেক জ্ঞানীর ওপরেই জ্ঞানী রয়েছে।”(সূরা ইউসুফ: ৭৫) জ্ঞানীরা তাদের জ্ঞান দিয়ে ইজতিহাদ করে থাকেন, ইজতিহাদ তাদের জ্ঞানকে শানিত করে, ইজতিহাদের কারণে তারা আল্লাহর কাছে পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “বিচারক যদি বিধান জানার জন্য কুরআন ও হাদীসে ইজতিহাদ করে আর সে তাতে ভুল করে তবুও সে এক সাওয়াব পাবে, আর যদি সঠিক মতে পৌঁছতে পারে তো তার দু’ সাওয়াব।”(বুখারী: ৭৩৫২; মুসলিম: ১৭১৬)।
প্রতিটি মাসআলায় কুরআন ও সুন্নাহর দলীল খুঁজে বের করা অনেক কঠিন কাজ। তা আরও কঠিন হয় যখন তা তাৎক্ষনিক কোথাও উপস্থাপন করতে হয়। এ কাজ সবার দ্বারা হয়ে উঠে না। একাজ কেবল ফকীহগণের। যাদেরকে আল্লাহ তাঁর বিশেষ নেয়ামত দিয়ে সিক্ত করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে তিনি ফিকহের জ্ঞান দান করেন।”(বুখারী: ৭১; মুসলিম: ১০৩৭) এ ফকীহগণকে এ জন্যই ক্ষণজন্মা পুরুষ বলা হয়ে থাকে। ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদ রাহিমাহুমুল্লাহসহ উম্মতের সে সব ব্যক্তিবর্গকে আল্লাহ তা’আলা তাঁর বিশেষ নেআমত হিসেবে আমাদের জন্য প্রদান করেছেন। তাদের মর্যাদা যারা বুঝে তারা নিজেরাই অজ্ঞ, জ্ঞানীদের কাতারে তাদের কোনো স্থান নেই।
প্রত্যেক যুগে ও এলাকায় এক বা একাধিক মুজতাহিদ থাকা বাঞ্ছনীয়। না থাকলে উম্মতের সমূহ ক্ষতি হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তাআলা ইলমে একেবারে উঠিয়ে নিবেন না, তিনি আলেমগণকে নিয়ে যাবার মাধ্যমে ইলমকে উঠিয়ে নিবেন। অতঃপর যখন কোনো আলেম থাকবে না তখন লোকেরা তাদের মধ্যকার জাহিল লোকদেরকে তাদের নেতা বানাবে, তখন তাদের প্রশ্ন করা হবে আর তারা ইলম ব্যতীত উত্তর দিবে, এতে করে তারা নিজেরা পথভ্রষ্ট হবে অপরকেও পথভ্রষ্ট করবে।”(বুখারী: ১০০; মুসলিম: ২৬৭৩) বস্তুত: ইলমুল ফিকহ হচ্ছে প্রশ্নোত্তরের সমষ্টি। এজন্যই ইমাম আবু হানীফাকে ফিকহের জনক বলা হয়। কারণ তিনি প্রায় সকল প্রশ্নেরই অবতারণা করেছেন। আর তার অর্ধেক উত্তর তিনি দিয়ে গেছেন। বাকী উত্তরগুলোতে অন্য ফকীহগণ শেয়ার করেছেন। সুতরাং উম্মতের মধ্যে যারাই ফকীহ হবেন তারাই ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ্র পরিবারভুক্ত হবেন এটাই ইমাম শাফেঈর বক্তব্য। আর তা-ই যথার্থ ।
ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ছিলেন তেমনি এক ক্ষণজন্মা মানুষ। যাকে আমরা সত্যিকারের একজন ভাষাবিদ, দাঈ ইলাল্লাহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকীহ বলে বিশ্বাস করি। তিনি ইসলামিক টিভিতে নিয়মিত প্রশ্নোত্তর দিতেন। বিভিন্ন সভা-মাহফিলে জীবন জিজ্ঞাসার জবাব দিতেন। তাঁর উত্তরের বৈশিষ্ট্য ছিল এই যে, তিনি সর্বদা কুরআনে কারীমের আয়াত ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস দিয়ে তার উত্তরকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতেন। তিনি কাউকে আক্রমন করতেন না। ইমামগণকে সম্মানের সাথে উল্লেখ করতেন। কোনো বিষয়ে কেউ তার বিরোধী মত পোষণ করলে সেটাকে দলীলের মাধ্যমে খণ্ডনের চেষ্টা করতেন। প্রচলিত দাওয়ার কাজে কর্মরত মানুষদের ভুল ধরার চেয়ে তাদের সংশোধনের চেষ্টা বেশি করতেন।
জিজ্ঞাসা ও জবাব ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ্র রেখে যাওয়া এ অমূল্য সম্পদের সংরক্ষণ ও যথাযথ প্রচার ইলম প্রচারেরই নামান্তর। আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য যে আমরা জীবিত অবস্থায় মনীষীদের কদর করতে শিখিনি। যদি তিনি আরব বিশ্বের কেউ হতেন তাহলে হয়তো তার জীবনী ভিন্নভাবে লিখা হতো, আর তার জীবনকে ঘিরে থাকতো হাজারো ছাত্রের আনাগোনা! আমার আনন্দ লাগছে যে, তাঁর প্রশ্নোত্তর পর্ব সম্মন্ধ এ কাজটিতে আমি শরীক হতে পেরেছি। আল্লাহর কাছে দু’আ করি তিনি যেন এ মহতিকর্ম কবুল করেন এবং এগুলোকে তাঁর জন্য ও আমাদের মত তাঁর মুহিব্বীনদের জন্যও নাজাতের উসীলা হিসেবে গ্রহণ করেন। আমীন, সুম্মা আমীন।
ইসলামি বই
No account yet?
Create an Account