Home » ইসলামি বই » সালাত / নামায

Showing all 6 results

Product Categories

In stock

15 kr

“সালাতের মধ্যে হাত বাঁধার বিধান : একটি হাদীসতাত্ত্বিক পর্যালোচনা” বইয়ের ভূমিকার লেখা:
গ্রন্থটিকে তিনটি পর্বে বিভক্ত করেছি। প্রথম পর্বে এ বিষয়ক হাদীসগুলাে ইলমুল হাদীসের মানদ-ে অধ্যয়নের চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয় পর্বে উম্মাতের প্রথম প্রজন্মগুলাের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও হাদীসপন্থী ফকীহগণের বক্তব্যের আলােকে সহীহ ও হাসান হাদীসগুলাের নির্দেশনা নির্ধারণের চেষ্টা করেছি। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের আলােচনা থেকে প্রতিভাত হয়েছে যে, সহীহ হাদীস পালনের বিষয়ে ঐকমত্য সত্ত্বেও সহীহ হাদীস নির্ধারণ, হাদীসের নির্দেশনা নির্ধারণ, একাধিক সহীহ হাদীসের সমন্বয় ও হাদীসের ফিকহী নির্দেশনা নির্ধারণের ক্ষেত্রে উম্মাতের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও ফকীহগণ ব্যাপক মতভেদ করেছেন। এরই আলােকে তৃতীয় পর্বে উম্মাতের মতভেদ, প্রান্তিকতা, কারণ, প্রতিকার ও এ বিষয়ে সালাফ সালিহীনের কর্মধারা আলােচনা করেছি।

Ordered:0
Items available:30
Add to cart

ফজর আর করব না কাজা

In stock

49 kr

সুন্দর পৃথিবীর জন্য প্রয়োজন পরিবর্তনের।
পরিবর্তন কর্ম ও বিশ্বাসের, চিন্তা ও চিন্তাধারার।
ইসলামী সমাজ ও মুসলিম উম্মাহর জীবন ও জীবনধারার।
প্রত্যাশিত পরিবর্তনে প্রয়োজন একটি ‘ফজর-প্রজন্ম’ ও ‘প্রভাতী কাফেলা’র!কারণ ফজর স্রষ্টা-নির্ধারিত পরিবর্তন-ক্ষণ।
যুগে যুগে ফজরকালেই ঘটেছে আসমানী পরিবর্তন।
প্রভাতী কাফেলাই রচনা করেছে প্রতিটি বদলে দেওয়ার দাস্তান।
প্রভাত ও ফজর-প্রজন্মতেই জড়িয়ে আছে আগামী-পৃথিবীর চূড়ান্ত আয়োজন!যে পরিবর্তনের প্রতীক্ষায় প্রতিটি মুসলমান,
দাজ্জাল ও দাজ্জালী শক্তির পতনে ঈসা মাসীহের আগমন,
গৌরবের আলকুদস হতে সূচিত বিজয়ের কাক্সিক্ষত সেই মাহেন্দ্রক্ষণ,
তাও তো ফজর-প্রজন্মের মাধ্যমেই! প্রভাত ও ফজর-কালেই তার বাস্তবায়ন!ফজর নামায মুমিনের এক ঈমানী পরীক্ষা।
বিজয়-প্রজন্মের জন্য রাব্বে কারীমের অমূল্য তোহফা।
প্রভাতকাল ও ফজর নামাযেই আগামীর বিজয়ের বার্তা লেখা।
ফজর নামাযে শিথিলতা করে বিজয়ের স্বপ্ন দেখা এক দিবাস্বপ্ন! ধূসর মরীচিকা!আসুন, সুন্দর পৃথিবীর জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই―
আগামীর জীবনে আর কোনদিন ফজর নামায করব না কাযা।
ফজরকে জানতে এবং ফজর নামাযের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য উপলব্ধি করতে আপনার জন্য মাকতাবাতুল হাসানের অনন্য উপহার― ফযর আর করব না কাযা

Ordered:0
Items available:10
Add to cart

মুনাজাত ও নামাজ

Out of stock

10 kr

মুমিনের জীবনের অন্যতম ইবাদত দু’আ বা মুনাজাত। আমরা সকলেই কোনো না কোনোভাবে মুনাজাত করি। মুনাজাতের কয়েকটি পর্যায় রয়েছে:
প্রথমত, দুআ-মুনাজাত’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। অন্য কোনো দলিল দ্বারা নিষিদ্ধ নয় এমন যে কোনো ভাষায়, যে কোনো সময়ে এবং যে কোনো অবস্থায় মুমিন আল্লাহর নিকট মুনাজাত করতে পারেন । এতে দু’আর মূল ইবাদত পালিত হবে এবং বান্দা সাওয়াব ও পুরস্কারের আশা করবেন।
দ্বিতীয়ত, রাসূলুল্লাহ (আঃ)-এর শেখানো কথা দ্বারা মুনাজাত করলে মুমিন মাসনূন বাক্য ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত সাওয়াব লাভ করবেন। এ ছাড়া মাসনূন বাক্য ব্যবহারের মাধ্যমে মুমিন অতিরিক্ত বরকত ও মহব্বত লাভ করবেন এবং দোয়া কবুল হওয়ার বেশি আশা করতে পারবেন।
তৃতীয়ত, মাসনূন মুনাজাতগুলির বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। কিছু মুনাজাত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন বা পালন করেছেন নির্ধারিত সময়ে বা নির্ধারিত পদ্ধতিতে। আবার কিছু মুনাজাত তিনি সাধারণভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। মুমিন যে কোনো মাসনূন মুনাজাত যে কোনো সময়ে আদায় করতে পারেন। এতে মাসনুন মুনাজাত ব্যবহারের সাওয়াব ও বরকত লাভ করবেন। আর নির্ধারিত সময়ের নির্ধরিত মুনাজাত ব্যবহার করলে অতিরিক্ত সুন্নাত পালনের মর্যাদা লাভ করবেন।
চতুর্থত, মুনাজাতের পদ্ধতির ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (আঃ)-এর অনুসরণ করতে পারলে মুমিন মাসনূন পদ্ধতি পালনের অতিরিক্ত সাওয়াব, বরকত ও কবুলিয়্যাত লাভ করবেন।
পঞ্চমত, দুআ-মুনাজাত করার বিশেষ বিশেষ সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন। সেগুলির অন্যতম হলো নামায। তিনি নামাযের মধ্যে ও পরে বিশেষভাবে দুআ-মুনাজাত করেছেন এবং করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাতে বা অন্যান্য সময়ে দুআ-মুনাজাত করার সুযোগ অনেকেরই হয় না। পক্ষান্তরে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আমরা সকলেই আদায় করি। এ সময়ের মাসনূন মুনাজাতগুলি আদায় করা আমাদের জন্য সহজ এবং এভাবে আমরা বিশেষ সাওয়াব, ফযীলত ও কবুলিয়ত লাভ করতে পারব, ইনশা আল্লাহ…..

রাসুলুল্লাহ (স) এর নামায (১ম ও ২য় খণ্ড একত্রে)

In stock

39 kr

আমলের মাধ্যমে ব্যক্তি পরিচয় ফুটে উঠে ও আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। সৎ আমল করা একজন মুসলিম ব্যক্তির প্রধান দায়িত্ব। আর সেজন্যই তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ আমলের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের প্রয়োজন মনে করে না। যে আমল সমাজে চালু আছে সেটাই করে থাকে। এমনকি আল্লাহর নৈকট্য লাভের সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম ছালাতের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অথচ সমাজে প্রচলিত ছালাতের হুকুম-আহকাম অধিকাংশই ত্রুটিপূর্ণ। ওযূ, তায়াম্মুম, ছালাতের ওয়াক্ত, আযান, ইক্বামত, ফরয, নফল, বিতর, তাহাজ্জুদ, তারাবীহ, জুম‘আ, জানাযা ও ঈদের ছালাত সবই বিদ‘আত মিশ্রিত এবং যঈফ ও জাল হাদীছে আক্রান্ত। ফলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাতের সাথে আমাদের ছালাতের কোন মিল নেই। বিশেষ করে জাল ও যঈফ হাদীছের করালগ্রাসে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাত সমাজ থেকে প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। ফলে সমাজ জীবনে প্রচলিত ছালাতের কোন প্রভাব নেই। নিয়মিত মুছল্লী হওয়া সত্ত্বেও অনেকে নানা অবৈধ কর্মকান্ড ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। সমাজে মসজিদ ও মুছল্লীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও দুর্নীতি, সন্ত্রাস, সূদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, যুলুম-নির্যাতন, রাহাজানি কমছে না। অথচ আল্লাহ তা‘আলার দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা হল, ‘নিশ্চয়ই ছালাত অন্যায় ও অশ্লীল কর্ম থেকে বিরত রাখে’ (সূরা আনকাবূত ৪৫)। অতএব মুছল্লীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে যাবতীয় অন্যায়-অপকর্ম বন্ধ হবে, নিঃসন্দেহে কমে যাবে এটাই আল্লাহর দাবী। কিন্তু সমাজে প্রচলিত ছালাতের কোন কার্যকারিতা নেই কেন? এ জন্য মৌলিক তিনটি কারণ চিহ্নিত করা যায়। (এক) খুলূছিয়াতে ত্রুটি রয়েছে। অর্থাৎ ছালাত আদায় করি কিন্তু একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে তা পেশ করি না। অধিকাংশ মুছল্লী মসজিদেও সিজদা করে মাযারেও সিজদা করে, রাসূল (ছাঃ)-কেও সম্মান করে পীরেরও পূজা করে, ইসলামকেও মানে অন্যান্য তরীক্বা ও বিজাতীয় মতবাদেরও অনুসরণ করে। এই আক্বীদায় ছালাত আদায় করলে ছালাত হবে না। একনিষ্ঠচিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই সবকিছু করতে হবে, তাঁরই আইন ও বিধান মানতে হবে।[1] (দুই) রাসূল (ছাঃ)-এর পদ্ধতিতে ছালাত আদায় না করা। অধিকাংশ মুছল্লীই তার ছালাত সম্পর্কে উদাসীন। তিনি যত জ্ঞানী ও বুদ্ধিমানই হোন লক্ষ্য করেন না, তার ছালাত রাসূল (ছাঃ)-এর তরীক্বায় হচ্ছে কি-না। অথচ ছালাতের প্রধান শর্তই হল, রাসূল (ছাঃ) যেভাবে ছালাত আদায় করেছেন ঠিক সেভাবেই আদায় করা।[2] এ ব্যাপারে শরী‘আতের নির্দেশ অত্যন্ত কঠোর। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সুতরাং দুর্ভোগ ঐ সমস্ত মুছল্লীদের জন্য, যারা ছালাতের ব্যাপারে উদাসীন, যারা লোক দেখানোর জন্য আদায় করে’ (মাঊন ৪-৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের মাঠে বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে ছালাতের। ছালাতের হিসাব শুদ্ধ হলে তার সমস্ত আমলই সঠিক হবে আর ছালাতের হিসাব ঠিক না হলে, তার সমস্ত আমল বরবাদ হবে’।[3] জনৈক ছাহাবী রাসূল (ছাঃ)-এর উপস্থিতিতে তিনবার ছালাত আদায় করেন। কিন্তু রাসূল (ছাঃ) তিনবারই তাকে বলেন, তুমি ফিরে যাও এবং ছালাত আদায় কর, তুমি ছালাত আদায় করোনি।[4] ঐ ব্যক্তি তিন তিনবার অতি সাবধানে ছালাত আদায় করেও রাসূল (ছাঃ)-এর পদ্ধতি মোতাবেক না হওয়ায় তা ছালাত বলে গণ্য হয়নি। উক্ত হাদীছ থেকে বুঝা যায় যে, রাসূল (ছাঃ)-এর তরীক্বায় ছালাত আদায় না করলে কা‘বা ঘরে ছালাত আদায় করেও কোন লাভ নেই। তাঁর ছাহাবী হলেও ছালাত হবে না। অন্য হাদীছে এসেছে, হুযায়ফাহ (রাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে ছালাতে রুকূ-সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করতে না দেখে ছালাত শেষে তাকে ডেকে বললেন, তুমি ছালাত আদায় করনি। যদি তুমি এই অবস্থায় মারা যাও, তাহলে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে যে ফিতরাতের উপর আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন সেই ফিতরাতের বাইরে মারা যাবে।[5] অন্য বর্ণনায় রয়েছে, হুযায়ফা (রাঃ) তাকে প্রশ্ন করলে বলে, সে প্রায় ৪০ বছর যাবৎ ছালাত আদায় করছে। তখন তিনি উক্ত মন্তব্য করেন।[6] অতএব বছরের পর বছর ছালাত আদায় করেও কোন লাভ হবে না, যদি তা রাসূল (ছাঃ)-এর পদ্ধতি মোতাবেক না হয়। (তিন) হারাম উপার্জন। ‘হালাল রূযী ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত’ কথাটি সমাজে প্রচলিত থাকলেও এর প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। প্রত্যেককে লক্ষ্য করা উচিৎ তার খাদ্য, পানীয়, পোশাক, আসবাবপত্র হালাল না হারাম। কারণ হারাম মিশ্রিত কোন ইবাদত আল্লাহ কবুল করেন না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র বস্ত্ত ছাড়া কবুল করেন না’।কারো খাদ্য, পানীয় ও পোশাক হারাম হলে তার প্রার্থনা গ্রহণযোগ্য হবে না।[7] তাই দুর্নীতি, আত্মসাৎ, প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ এবং সূদ-ঘুষ, জুয়া-লটারী ও অবৈধ পন্থায় প্রাপ্ত অর্থ ভক্ষণ করে ইবাদত করলে কোন লাভ হবে না। মুছল্লী উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন না হওয়ার কারণে ছালাত যেমন পরিশুদ্ধ হয় না, তেমনি মুছল্লীর মাঝে একাগ্রতা ও মনোযোগ আসে না। ফলে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে ছালাতের কার্যকর কোন প্রভাবও পড়ে না। অতএব আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে এমন ছালাত আদায় করতে চাইলে ছালাতকে অবশ্যই পরিশুদ্ধ করতে হবে এবং একমাত্র রাসূল (ছাঃ)-এর দেখানো পদ্ধতিতেই আদায় করতে হবে। অন্য সব পদ্ধতি বর্জন করতে হবে। কারণ অন্য কোন তরীক্বায় ছালাত আদায় করলে কখনোই একাগ্রতা ও খুশূ-খুযূ সৃষ্টি হবে না। আর আল্লাহভীতি ও একনিষ্ঠতা স্থান না পেলে মুছল্লী পাপাচার থেকে মুক্ত হতে পারবে না (সূরা বাক্বারাহ ২৩৮; মুমিনূন ২)। মনে রাখতে হবে যে, এই ছালাত যদি দুনিয়াবী জীবনে কোন প্রভাব না ফেলে, তাহলে পরকালীন জীবনে কখনোই প্রভাব ফেলতে পারবে না। তাই দলীয় গোঁড়ামী, মাযহাবী ভেদাভেদ, তরীক্বার বিভক্তিকে পিছনে ফেলে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাতের পদ্ধতি অাঁকড়ে ধরতে হবে। ফলে সকল মুছল্লী একই নীতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছালাত আদায়ের সুযোগ পাবে। পুনরায় মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে। ছালাতের মাধ্যমেই সমাজ দুর্নীতি মুক্ত হবে। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ জীবনে শান্তির ফল্গুধারা প্রবাহিত হবে। চরম দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, দেশে প্রচলিত ইসলামী দলগুলো সমাজের সংস্কার কামনা করে এবং এ জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে থাকে। কিন্তু তাদের মাঝে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাত নেই। মাযহাব ও তরীক্বার নামে যে ছালাত প্রচলিত আছে, সেই ছালাতই তারা আদায় করে যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসাবে তারা যদি নিজেদের ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে মাযহাবী গোঁড়ামীর উপর রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শকে প্রাধান্য দিতে না পারেন, তাহলে জাতীয় জীবনে তারা কিভাবে ইসলামের শাসন কায়েম করবেন? বিশেষ করে রাসূল (ছাঃ)-এর তরীক্বায় ছালাত আদায় করতে তো সামাজিক ও প্রশাসনিক কোন বাধা নেই। তাহলে মূল কারণ কী? মাযহাবী আক্বীদা ও মায়াবন্ধনই মূল কারণ। এক্ষণে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাত প্রতিষ্ঠার জন্য কিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, সে সম্পর্কে আলোচনা করা প্রয়োজন। আমাদের একান্ত বিশ্বাস নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করলে ইনশাআল্লাহ কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাওয়া যাবে।

Ordered:0
Items available:1
Add to cart

রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাত বনাম প্রচলিত ছালাত

In stock

49 kr

ছালাত ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। আর ছালাত হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং পুরোপুরি রাসুল (সঃ) এর তরীকা অনুযায়ী। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রাসুল (সঃ) এর পদ্ধতি অনুযায়ী ছালাত আদায় করা আমাদের সমাজ থেকে বিলুপ্তপ্রায়।সাধারণ মানুষের কাছে রাসুল (সঃ) এর সুন্নতি তরিকা অনুযায়ী ছালাত আদায়ের জ্ঞান না থাকার কারণে যে যার ইচ্ছেমত অথবা বাপ-দাদার আমল থেকে প্রচলিত ছালাতই আদায় করে যাচ্ছে। আর বাজারে আজকাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জাল-যইফ হাদিস ভিত্তিক পাঞ্জেগানা ছালাত শিক্ষার অগনিত বই।বিশুদ্ধ ছালাত আদায়ের পদ্ধতি শিক্ষার জন্য ❝রাসুল (সাঃ) এর ছালাত বনাম প্রচলিত ছালাত❞ বইটি অধিক প্রয়োজনীয়।

বইয়ের বিষয়সমূহঃ

বইটিতে পবিত্রতা থেকে শুরু করে ছালাতের যাবতীয় খুটিনাটি মাসায়েলের কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ ভিত্তিক আলোচনা রয়েছে।

বইটিতে ১১টি অধ্যায় আছে। প্রথম অধ্যায়ে রয়েছে “পবিত্রতা” এই অধ্যায়ে, পবিত্রতার গুরত্ব,গোসল, পেশাব-পায়খানা থেকে পবিত্রতা,ওযুর সকল পদ্ধতি, তায়াম্মুমের সকল বিষয়ে আলোচনা রয়েছে।

দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে, মসজিদ এর সকল বিষয়ে যেমন-মসজিদের ফযিলত, ইমামতি।

এরপরে রয়েছে ছালাত সংক্রান্ত সকল বিষয়ের যেটার নামকরন করা হয়েছে ছালাত অধ্যায়।

এরপরের অধ্যায়ে আছে পাঁচ ওয়াক্ত ছলাতের সুন্নাত ছালাতের বিবরণ।

৫ম অধ্যায়ে আছে অন্যান্য সুন্নত ছালাতের বিবরণ যেমন-ইশরাক্বের ছালাত,তাহ্যিয়াতুল মসজিদ এর সলাত।

৬ষ্ঠ অধ্যায়ে আছে তাহাজ্জুদ, তারাবী,ও বিতর সালাতের বিবরণ।

৭ম অধ্যায়ে আছে সফরের সালাত আদায় এর বিষয়।

৮ম অধ্যায়ে আছে,জুমআর ছালাতের যাবতীয় বর্ননা।

৯ম অধ্যায়ে রয়েছে সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের সালাত সম্পর্কে।

১০ম অধ্যায়ে রয়েছে ঈদায়নের সালাত সম্পর্কে।

১১শ অর্থাৎ সর্বশেষ অধ্যায়ে আছে জানাযায় ছালাত সংক্রান্ত সকল বিষয়সমূহ।

Ordered:0
Items available:3
Add to cart

সালাত, দু’আ ও যিকর

In stock

30 kr

পিতা মরহুম খোন্দকার আনোয়ারুজ্জামান। মাতা বেগম লুৎফন্নাহার।
ঝিনাইদহ আলিয়া মাদ্রাসায় ফাজিল পর্যন্ত অধ্যয়নের পর ১৯৭৯ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে প্রথম শ্রেণীতে অষ্টম স্থান অধিকার করে হাদীস বিষয়ে কামিল পাশ করেন। সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬, ১৯৯২ ও ১৯৯৮ সালে যথাক্রমে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পি-এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশ ও বিদেশে যে সকল প্রসিদ্ধ আলিমের কাছে তিনি পড়াশোনা ও সাহচর্য গ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খতীব মাওলানা ওবাইদুল হক (রাহ.), মাওলানা মিয়া মোহাম্মাদ কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আনোয়ারুল হক কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আব্দুল বারী সিলেটী (রাহ.), মাওলানা ড. আইউব আলী (রাহ.), মাওলানা আব্দুর রহীম (রাহ.), আল্লামা শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল আযীয ইবন বায (রাহ.), আল্লামা আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন (রাহ.), আল্লামা মুহাম্মাদ ইবন সালিহ ইবন মুহাম্মাদ আল-উসাইমীন (রাহ.), শাইখ সালিহ ইবন আব্দুল আযীয আল শাইখ, শাইখ সালিহ ইবন ফাওযান ইবন আব্দুল্লাহ আল ফাওযান।
কর্ম জীবনে তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদীস বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সালের ১১ই মে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করার আগ পর্যন্ত তিনি উক্ত বিভাগে অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন।
দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বাংলা ইংরেজী ও আরবি ভাষায়। তার প্রায় অর্ধশত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গবেষণামূলক গ্রন্থের সংখ্যা ত্রিশের অধিক।
গবেষণা কর্মের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ের লক্ষ্যে ১৯৯৮ খৃষ্টাব্দে তিনি ‘আল ফারুক একাডেমী’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞান ও মূল্যবোধ প্রচার ও মানব সেবার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে ‘আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট’ নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১২ TC Education and Charity Foundation Jhenaidah নামে একটি শিক্ষা ও সমাজ সেবাসংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ সকল প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রচার, ধর্ম প্রচার, দুস্থ নারী ও শিশুদের সেবা ও পুনর্বাসনে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।

Ordered:0
Items available:20
Add to cart