Author | ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর |
---|---|
Publisher | আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স |
HEY YOU, JOIN US & CONNECT TO BOIPUSTOK!
Learn and gain knowledge about the life stories of sages and celebrities
23 kr
জিজ্ঞাসা ও জবাব বইটির ভূমিকাঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর জন্যই সকল হামদ। তিনি মানুষকে ইলম দান করেছেন, মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন তা যা সে জানতো না। তিনিই মানুষকে ইলমের মাধ্যমে উন্নত করেছেন। যারা জানে ও যারা জানে না তাদেরকে সমান বলেন নি। যুগে যুগে আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে তারাই ভালো যারা নবী ও রাসূল। তাদের অবর্তমানে তাদের ওয়ারিস আলেমগণ সবচেয়ে ভালো মানুষ। সে মানুষদের জন্যই যতো দুনিয়ার মর্যাদা ও আখরাতের মর্তবা। এদের জন্যই দো’আ করে প্রতিটি প্রাণী এমনকি আকাশের পাখি ও পানির নিচের মাছ। তাদের জন্যই ডানা বিছিয়ে দেয় আল্লাহর মালাইকা। সারা দুনিয়াতে যত ভালো কাজ হয় তা তাদের আলোতে আলোকিত হওয়ার কারণেই হয়ে থাকে। তারাই দুনিয়াকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আখেরাত বিনির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাদেরকেই আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজের পাশে সাক্ষ্য হিসেবে স্থান দিয়েছেন। তাদেরকেই আল্লাহ তাআলা তার দীন জানার জন্য মাধ্যম হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেন, “যদি তোমরা না জানো তবে যারা যিকর (কুরআন ও সুন্নাহ) এর জ্ঞান রাখে তাদের জিজ্ঞাসা কর।”(সূরা আন-নাহল: ৪৩) কোনো এক যুদ্ধে এক সাহাবী আহত হলেন, তিনি পানি ব্যবহারে অসমর্থ হলেন, সাথে থাকা লোকদের কাছে তিনি এর প্রতিকার কী হতে পারে জানতে চাইলেন, কিন্তু তারা তাকে সঠিক পরামর্শ দিতে অসমর্থ হলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যারা জানে না, তাদের জানার ঔষধ হচ্ছে জেনে নেওয়া।”(সুনান আবী দাউদঃ ৩৩৬,৩৩৭) কোনো মানুষের পক্ষেই সর্ববিষয়ে জ্ঞানী হওয়া সম্ভব হয় না। তাদের কতেকের ওপর অপর কতেককে আল্লাহ জ্ঞানী করেছেন। আল্লাহ বলেন, “আর প্রত্যেক জ্ঞানীর ওপরেই জ্ঞানী রয়েছে।”(সূরা ইউসুফ: ৭৫) জ্ঞানীরা তাদের জ্ঞান দিয়ে ইজতিহাদ করে থাকেন, ইজতিহাদ তাদের জ্ঞানকে শানিত করে, ইজতিহাদের কারণে তারা আল্লাহর কাছে পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “বিচারক যদি বিধান জানার জন্য কুরআন ও হাদীসে ইজতিহাদ করে আর সে তাতে ভুল করে তবুও সে এক সাওয়াব পাবে, আর যদি সঠিক মতে পৌঁছতে পারে তো তার দু’ সাওয়াব।”(বুখারী: ৭৩৫২; মুসলিম: ১৭১৬)।
প্রতিটি মাসআলায় কুরআন ও সুন্নাহর দলীল খুঁজে বের করা অনেক কঠিন কাজ। তা আরও কঠিন হয় যখন তা তাৎক্ষনিক কোথাও উপস্থাপন করতে হয়। এ কাজ সবার দ্বারা হয়ে উঠে না। একাজ কেবল ফকীহগণের। যাদেরকে আল্লাহ তাঁর বিশেষ নেয়ামত দিয়ে সিক্ত করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে তিনি ফিকহের জ্ঞান দান করেন।”(বুখারী: ৭১; মুসলিম: ১০৩৭) এ ফকীহগণকে এ জন্যই ক্ষণজন্মা পুরুষ বলা হয়ে থাকে। ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদ রাহিমাহুমুল্লাহসহ উম্মতের সে সব ব্যক্তিবর্গকে আল্লাহ তা’আলা তাঁর বিশেষ নেআমত হিসেবে আমাদের জন্য প্রদান করেছেন। তাদের মর্যাদা যারা বুঝে তারা নিজেরাই অজ্ঞ, জ্ঞানীদের কাতারে তাদের কোনো স্থান নেই।
প্রত্যেক যুগে ও এলাকায় এক বা একাধিক মুজতাহিদ থাকা বাঞ্ছনীয়। না থাকলে উম্মতের সমূহ ক্ষতি হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তাআলা ইলমে একেবারে উঠিয়ে নিবেন না, তিনি আলেমগণকে নিয়ে যাবার মাধ্যমে ইলমকে উঠিয়ে নিবেন। অতঃপর যখন কোনো আলেম থাকবে না তখন লোকেরা তাদের মধ্যকার জাহিল লোকদেরকে তাদের নেতা বানাবে, তখন তাদের প্রশ্ন করা হবে আর তারা ইলম ব্যতীত উত্তর দিবে, এতে করে তারা নিজেরা পথভ্রষ্ট হবে অপরকেও পথভ্রষ্ট করবে।”(বুখারী: ১০০; মুসলিম: ২৬৭৩) বস্তুত: ইলমুল ফিকহ হচ্ছে প্রশ্নোত্তরের সমষ্টি। এজন্যই ইমাম আবু হানীফাকে ফিকহের জনক বলা হয়। কারণ তিনি প্রায় সকল প্রশ্নেরই অবতারণা করেছেন। আর তার অর্ধেক উত্তর তিনি দিয়ে গেছেন। বাকী উত্তরগুলোতে অন্য ফকীহগণ শেয়ার করেছেন। সুতরাং উম্মতের মধ্যে যারাই ফকীহ হবেন তারাই ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ্র পরিবারভুক্ত হবেন এটাই ইমাম শাফেঈর বক্তব্য। আর তা-ই যথার্থ ।
ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ছিলেন তেমনি এক ক্ষণজন্মা মানুষ। যাকে আমরা সত্যিকারের একজন ভাষাবিদ, দাঈ ইলাল্লাহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকীহ বলে বিশ্বাস করি। তিনি ইসলামিক টিভিতে নিয়মিত প্রশ্নোত্তর দিতেন। বিভিন্ন সভা-মাহফিলে জীবন জিজ্ঞাসার জবাব দিতেন। তাঁর উত্তরের বৈশিষ্ট্য ছিল এই যে, তিনি সর্বদা কুরআনে কারীমের আয়াত ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস দিয়ে তার উত্তরকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতেন। তিনি কাউকে আক্রমন করতেন না। ইমামগণকে সম্মানের সাথে উল্লেখ করতেন। কোনো বিষয়ে কেউ তার বিরোধী মত পোষণ করলে সেটাকে দলীলের মাধ্যমে খণ্ডনের চেষ্টা করতেন। প্রচলিত দাওয়ার কাজে কর্মরত মানুষদের ভুল ধরার চেয়ে তাদের সংশোধনের চেষ্টা বেশি করতেন।
জিজ্ঞাসা ও জবাব ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ্র রেখে যাওয়া এ অমূল্য সম্পদের সংরক্ষণ ও যথাযথ প্রচার ইলম প্রচারেরই নামান্তর। আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য যে আমরা জীবিত অবস্থায় মনীষীদের কদর করতে শিখিনি। যদি তিনি আরব বিশ্বের কেউ হতেন তাহলে হয়তো তার জীবনী ভিন্নভাবে লিখা হতো, আর তার জীবনকে ঘিরে থাকতো হাজারো ছাত্রের আনাগোনা! আমার আনন্দ লাগছে যে, তাঁর প্রশ্নোত্তর পর্ব সম্মন্ধ এ কাজটিতে আমি শরীক হতে পেরেছি। আল্লাহর কাছে দু’আ করি তিনি যেন এ মহতিকর্ম কবুল করেন এবং এগুলোকে তাঁর জন্য ও আমাদের মত তাঁর মুহিব্বীনদের জন্যও নাজাতের উসীলা হিসেবে গ্রহণ করেন। আমীন, সুম্মা আমীন।
10 in stock
Author | ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর |
---|---|
Publisher | আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স |
This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.
Learn and gain knowledge about the life stories of sages and celebrities
No account yet?
Create an AccountLearn and gain knowledge about the life stories of sages and celebrities
Will be used in accordance with our Privacy Policy
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.