Home » উপন্যাস

Showing all 6 results

Product Categories

ধরণির পথে পথে

In stock

59 kr

পুরো পৃথিবীটাই একটা উপন্যাস। আমরা প্রত্যেকেই সেই উপন্যাসের একটা করে চরিত্র। আবার আমাদের প্রত্যেকেরই একটা করে পৃথিবী রয়েছে। নিজস্ব পৃথিবী। সেই পৃথিবী বড়ো রহস্যময়, বড়োই রোমাঞ্চকর! সেখানে হাসি-কান্নার পেছনে লুকিয়ে আছে নানান জানা-অজানা কাহিনি। তার রয়েছে কত বিচিত্রসব ভঙ্গিমা, কত উত্থান-পতন আর রহস্য! এসব দেখতে আর উপলব্ধি করতে কেবল চোখ-কান খুলে রাখাই যথেষ্ঠ নয়; সাথে খুলে রাখতে হয় তৃতীয় নয়নও। আসুন, সেই তৃতীয় নয়ন দিয়ে দেখি আমাদের আশেপাশের পৃথিবীটাকে।

Ordered:0
Items available:5
Add to cart

মেঘেদের দিন

In stock

45 kr

সাদাত হোসাইন (Author)
আজ রাতে হঠাৎ করেই প্রচন্ড গরম পড়েছে। চারপাশটা কেমন স্থির, নিস্পন্দন। কোথাও গাছের পাতা অব্দিও নড়ছে না। যেন প্রলয়ঙ্করী কোনো ঝড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রকৃতি। মারুফ খানিকটা সরে এলো তানিয়ার কাছে। তানিয়া প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বলল, ‘আমার খুব ভয় করছে মারুফ’।
মারুফ অবাক গলায় বলল, ‘ভয়!’
‘হুম’।
‘কিসের ভয়?’
‘আমি জানি না মারুফ। কিন্তু আমার প্রচণ্ড ভয় করছে। আমি তোমাকে বোঝাতে পারব না’।
‘ধুর বোকা। এখানে ভয় কিসের?’
তানিয়ার মুখ শুকিয়ে গেছে। সে শুকনো গলায় বলল, ‘আমি জানি না। কিন্তু আমি টের পাচ্ছি, কোনো একটা ভয়াবহ বিপদ ঘটতে যাচ্ছে’।
‘কিসের বিপদ?’
‘আমি জানি না। কিন্তু সত্যি বলছি। ভয়াবহ কোনো বিপদ’।
মারুফের আচমকা মনে হলো তানিয়া যা বলছে তা সত্য। তানিয়ার ভয়টাকে আর অমূলক বা হেসে উড়িয়ে দেয়ার মতো কোনো বিষয় মনে হচ্ছে না তার কাছে। বরং মনে হচ্ছে অমোঘ কোনো সত্য। সে ঘাড় ঘুরিয়ে চারপাশে তাকালো। মাথার ওপর দুটো আমগাছের ডাল কেমন অশরীরী উপস্থিতির মতো ছড়িয়ে আছে। একটা বাঁদুর বা অন্য কোনো নিশাচর পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দে আচমকা কেঁপে উঠল চারপাশ। ভেঙে খানখান হয়ে গেল রাতের নৈঃশব্দ্য। সেই শব্দে কেঁপে উঠল তানিয়াও। সে দুহাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল মারুফকে। তারপর মারুফের কানের কাছে মুখ নিয়ে ভয়ার্ত কণ্ঠে বলল, ‘আমি আর এখানে থাকব না মারুফ। এক মুহূর্তও না’।

Add to cart

দেয়াল

In stock

45 kr

ফ্ল্যাপে লিখা কথা ‘ভাদ্র মাসের সন্ধা। আকাশে মেঘ আছে। লালচে রঙের মেঘ। যে মেঘে বৃষ্টি হয় না, তবে দেকায় অপূর্ব। এই গাঢ় লাল, এই হালকা হলুদ, আবার চোখের নিমিষে লালের সঙ্গে খয়েরি মিশে সম্পূর্ণ অন্য রঙ। রঙের খেলা যিনি খেলছেন মনে হয় তিনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন।’ এভাবেই সূচনা ঘটেছে হুমাযূন আহমেদের চার দশকের বর্ণময় লেখকজীবনের শেষ উপন্যাস ‘দেয়াল’- এর। ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে ‘দেয়াল’ রচনা শুরু করেছিলেন তিনি। সে-সময় উপন্যাসের পাঁচটি পর্ব ধারাবাহিকভাবে ‘অন্যদিন’-এর প্রকাশিত হয়। এরপর বেশ কিছুদিন বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর ক্যানসার চিকিৎসা চলাকালে নতুন করে ‘দেয়াল’ রচনায় মনোনিবেশ করেন তিনি, যদিও শেষ পর্যন্ত উপন্যাসটির চূড়ান্ত রূপ দেয়ার সুযোগ পান নি।

Add to cart

শেষ অধ্যায় নেই

In stock

40 kr

সাদাত হোসাইন (Author)

Add to cart

শেষ বিকেলের মেয়ে

In stock

40 kr
Author
Add to cart

তোমাকে দেখার অসুখ

In stock

35 kr

সাদাত হোসাইন (Author)

বইয়ের ভূমিকা

পাঠকের একটি প্রশ্ন আমি অসংখ্যবার শুনেছি। প্রশ্নটা হলো, আমি কখন লেখি?

দিনের কোন ভাগে? রাতের কোন ভাগে? এই প্রশ্নের উত্তর অনেক খুঁজেছি। খুঁজে উত্তর যা পেলাম, তা হলো- আমি আসলে দিনরাতের কোনো ভাগেই আলাদা সময় নির্দিষ্ট করে লেখিনা আমি লেখি মূলত প্রবল মন খারাপ বা মন ভালো থাকলে। অর্থাৎ আমার চারপাশের কোনো ঘটনা যখন আমাকে প্রবলভাবে আন্দোলিত করে, উদ্দীপ্ত করে, তখন। আমি যেহেতু প্রচুর লেখি, তার মানে কী এই যে সারাক্সণই আামার মন প্রবল খারাপ কিংবা বালো থাকে! আর এ কারণেই আমি যখন তখন লিখতেই থাকি?

কথা সত্য। মানুষ হিসেবে আমি প্রচন্ড সংবেদনশীল।ফলে আপাতদৃষ্টিতে উপেক্ষা-যোগ্য এমন অনেক ছোটখাট বিষয়েও আমি বিচলিত হই উপেক্সা করতে পারি না। হয়তো এ কারণেই সারাক্ষণই আমার মন প্রবল খারাপ কিংবা ভালো থাকে আর এ কারণেই আমি যখন তখন লিখতেই থাকি?
কথা সত্য। মানুষ হিসেবে আমি প্রচন্ড সংবেদনশীল। ফলে আপাতদৃষ্টিতে ‘উপেক্ষা-যোগ্য’, এমন অনেক ছোটখাট বিষয়েও আমি বিচলিত হই। উপেক্ষা করতে পারি না। হয়তো এ কারণেই সারাক্ষণ সেই অনুভবগুলোকে আমি প্রকাশ করতে চাই।
আজকাল মোবাইল ফোনের কল্যাণে সুবিধা হয়েছে। যেখানে সেখানে যখন তখন লিখে ফেলা যায়। সেই লেখা ফেসবুকের পাতায় রোজ রোজ প্রকাশও করা যায়। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, আমার এমন অনেক লেখাই পাঠক তুমুল আগ্রহ নিয়ে পড়েন। তারা তাদের নিজেদের মতো সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন। ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ কারণে যেটি হয়, লেখাগুলো কোথাও একত্রে সংরক্ষিত থাকে না। বিচ্ছিন্নভাবে নানা নামে, নানা পরিচয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। হঠাৎ করেই একদিন আমার মনে হলো, সেই লেখাগুলোকে একত্রে সংরক্ষিত করে রাখা দরকার।
সেই ইচ্ছে থেকেই ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে লেখা আমার পংক্তিমালার এই চতুর্থ সংকলন। বিচ্ছিন্নভাবে লেখা পংক্তিগুলোকে মলাটবদ্ধ করতে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য অসুবিধা হয়েছে। ফলে কোথাও কোথাও দুয়েকটি লেখার পুনরাবৃত্তিও থাকতে পারে। আশা করি সেটি পাঠককে ভালো লাগার অনুভ‚তিই দিবে। কারণ এই পংক্তিগুলোকে আমি বলি অনুভ‚তির আঁখরে লেখা শব্দ ও নৈঃশব্দ্যের গল্প।

 

Add to cart