Home » হাদিস

Showing all 7 results

Product Categories

আল-মাউযূআত

In stock

16 kr

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) নামে জালিয়াতি ইসলামের বিরুদ্ধে কঠিনতম অপরাধ। কুরআন ও হাদীসের নির্দেশনার আলোকে সাহাবীগণের যুগ থেকে এ পর্যন্ত সকল যুগেই আলিমগণ জাল হাদীস প্রতিরোধে সচেতন ও সোচ্চার থেকেছেন। তাবিয়ীগণের যুগ থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত অগণিত গ্রন্থ এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আল্লামা আবু জাফর সিদ্দিকীর “আল-মাউযূআত” গ্রন্থ। তবে এ গ্রন্থটি বিভিন্ন দিক থেকে অসাধারণ এবং অনন্য বৈশিষ্টের অধিকারী।

Ordered:0
Items available:10

এহইয়াউস সুনান

In stock

19 kr

সুন্নাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলােচনার পূর্বে আমরা এর অর্থ ও ইসলামী শরীয়তে এর ব্যবহার বুঝতে চেষ্টা করবাে। সুন্নাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলাে ঃ মুখ, ছবি, প্রতিচ্ছবি, প্রকৃতি, জীবন পদ্ধতি, কর্মধারা ইত্যাদি। ইসলামী শরীয়তে ব্যবহারের দিক থেকে সুন্নাত’ শব্দের দুই ধরনের প্রয়ােগ রয়েছে ঃ ১. সুন্নাতের প্রথম ও পুরাতন প্রয়ােগ হলাে রাসূলে আকরাম এর সকল প্রকারের নির্দেশ, কথা, কর্ম, অনুমােদন বা এক কথায় তার সামগ্রিক জীবনাদর্শ। এছাড়া তাঁর সাহাবীদের কর্ম ও আদর্শও এ অর্থে ‘সুন্নাত’ বলে অভিহিত হয়। মূলত হাদীস শরীফে ও সাহাবী-তাবেয়ীদের যুগে ‘সুন্নাত’ বলতে এ অর্থই বুঝানাে হতাে। এছাড়া পরবর্তী যুগেও হাদীস চর্চার ক্ষেত্রে ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও সুন্নাত’ এ অর্থে ব্যবহৃত হয়। ২. সুন্নাতের দ্বিতীয় ও প্রচলিত অর্থ ইসলামী শরীয়তে অত্যাবশ্যকীয় নয়—এরূপ নেক কর্ম। অর্থাৎ, ফরয ও ওয়াজিব-এর পরবর্তী, আবশ্যকীয় নয় এরূপ কর্ম, যা করা প্রয়ােজন বা করা উত্তম। সাধারণত এ অর্থটিই আমাদের মধ্যে বহুল ব্যবহৃত। সাধারণত আমরা সুন্নাত’ শব্দটি শুনলে এই অর্থই বুঝে থাকি।

উপরােল্লেখিত দ্বিতীয় পরিভাষাটি দ্বিতীয় শতাব্দী ও তৎপরবর্তী ফিক্হ শাস্ত্রবিদদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়, যারা কুরআন ও হাদীসের আলােকে রাসূলুল্লাহ এর শিক্ষার আলােকে ইসলামের কর্মগুলাের গুরুত্ব বর্ণনা করেন এবং এ সকল পরিভাষার মাধ্যমে গুরুত্বের শ্রেণীবিভাগ করেন। এ দুই অর্থের মধ্যে মূলত কোনাে বৈপরিত্য নেই, প্রথম অর্থে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামগ্রিক সুন্নাত বুঝানাে হয়েছে, দ্বিতীয় অর্থে তার সামগ্রিক । সুন্নাতকে তাঁর সুন্নাতের আলােকে শ্ৰেণীভাগ করে গুরুত্বের পর্যায় নির্ধারণ করে একটি পর্যায়কে ‘সুন্নাত’ নাম দেয়া হয়েছে।

Ordered:1
Items available:19

ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার (১ম খণ্ড)

In stock

42 kr

মুফতি সাইয়িদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান বারাকাতি ছিলেন বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সর্বপ্রথম খতীব ও বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একাধারে মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকীহ ও মুফতি এবং বহু উচ্চ মানসম্পন্ন ইসলামী গ্রন্থের রচিয়তা ও সংকলক। লেখক ১৯৬৪ সালে জাতীয় বাইতুল মুকাররম প্রতিষ্ঠার পর মসজিদ কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে তিনি সেই মসজিদের খতীব হিসেবে নিযুক্ত হন ও মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সেই খেদমতে বহাল থাকেন। তার লেখনী থেকে জানা যায়, তিনি কমপক্ষে পঁচিশবার সহীহ বুখারি কিতাবটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠদান করেছেন।  ইসলামী সেবায় ও দাওয়াতি কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে তাকে মরণোত্তর স্বর্ণপদক ও সনদ দান করেন।

‘ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার’ মূলত তাঁরই রচিত গুরুত্বপূর্ণ হাদীস সংকলন। হাদীসভিত্তিক ফিকহি এই গ্রন্থে লেখক মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় কাজকর্মের ইসলামি বিধানসমূহ সংকলন ও উপস্থাপন করেছেন সহীহ হাদীসের দলীলসহ। ফলে ফিকহি মাসআলা সংক্রান্ত হাদীস খুঁজতে এ গ্রন্থটি খুবই সহায়ক। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ করেন।

Ordered:1
Items available:9
Add to cart

ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার (২য় খণ্ড)

In stock

42 kr

“ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার-২য় খণ্ড” বইটির সম্পর্কে কিছু কথাঃ
আল কুরআনের বর্ণনা মতে মানুষকে যেমন দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে তেমনি তাকে দেওয়া হয়েছে অল্প জ্ঞান। ইরশাদ হয়েছে, মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে দুর্বল করে এবং তােমাদেরকে দান করা হয়েছে খুবই সামান্য জ্ঞান। এই স্বল্পজ্ঞানী, হাজারাে সীমায় আবদ্ধ মানুষের জন্য সর্বজ্ঞানী অসীম আল্লাহর সকল বক্তব্য ব্যাখ্যা-ভাষ্য ছাড়া বােঝা সম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘এইসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য উপস্থাপন করেছি, অথচ জ্ঞানীগণ ছাড়া তা অনুধাবন করতে পারে না।
যেহেতু আল কুরআন মানব জাতির বিজয়, মুক্তি ও সফলতার সর্বশেষ আসমানি হেদায়াত সেহেতু কিয়ামত পর্যন্ত তা অবিকৃত সংরক্ষিত হওয়া অতীব জরুরি । কুরআন যখন নাযিল হত নবীজি (ঙ) খুবই মনােযােগ সহকারে শুনতেন এবং বারবার জিহ্বা সঞ্চালন করে তা আওড়াতেন, যেন যথাযথভাবে আত্মস্থ হয়ে যায় । তখন আল্লাহ বলেন, “আপনি একে দ্রুত মুখস্থ করার জন্য আপনার জিহ্বা সঞ্চালন করবেন না। নিশ্চয় (আপনার হৃদয়ে) এর সংরক্ষণ ও (আপনার মুখে) পাঠ করাবার দায়িত্ব আমার। সুতরাং আমি যখন (জিবরীলের মাধ্যমে) তা পাঠ করি আপনি সে পাঠের অনুসরণ করুন। তারপর এর বিশদ ব্যাখ্যা ও ভাষ্য আমারই দায়িত্ব।
| শেষ আয়াতটিতে মহান আল্লাহ জানিয়েছেন আল কুরআনের ব্যাখ্যার প্রয়ােজনীয়তার কথা এবং আরাে বলেছেন, সে ব্যাখ্যা তিনি নিজ দায়িত্বে তাঁর রাসূলকে শিক্ষা দিয়েছেন। আর নবী (স) কে আদেশ করেছেন মানব জাতিকে সে ব্যাখ্যা শিক্ষা দিতে। তিনি বলেন, আমি আপনার নিকট স্মারকগ্রন্থ নাযিল করেছি, যাতে আপনি মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করেন যা তাদের জন্য নাযিল করা হয়েছে। নবীজি (*) জীবনব্যাপী তাঁর কথা, কর্ম ও অনুমােদনের মাধ্যমে কুরআনের সে ব্যাখ্যা মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন। সে জন্য আয়িশা রা. বলেন, তাঁর আখলাক হল আল কুরআন।

Ordered:0
Items available:10
Add to cart

ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার (৩য় খণ্ড)

In stock

42 kr

আল কুরআনের বর্ণনা মতে মানুষকে যেমন দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে তেমনি তাকে দেওয়া হয়েছে অল্প জ্ঞান। ইরশাদ হয়েছে, মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে দুর্বল করে এবং তােমাদেরকে দান করা হয়েছে খুবই সামান্য জ্ঞান। এই স্বল্পজ্ঞানী, হাজারাে সীমায় আবদ্ধ মানুষের জন্য সর্বজ্ঞানী অসীম আল্লাহর সকল বক্তব্য ব্যাখ্যা-ভাষ্য ছাড়া বােঝা সম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘এইসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য উপস্থাপন করেছি, অথচ জ্ঞানীগণ ছাড়া তা অনুধাবন করতে পারে না।
যেহেতু আল কুরআন মানব জাতির বিজয়, মুক্তি ও সফলতার সর্বশেষ আসমানি হেদায়াত সেহেতু কিয়ামত পর্যন্ত তা অবিকৃত সংরক্ষিত হওয়া অতীব জরুরি। কুরআন যখন নাযিল হত নবীজি খুবই মনােযােগ সহকারে শুনতেন এবং বারবার জিহ্বা সঞ্চালন করে তা আওড়াতেন, যেন যথাযথভাবে আত্মস্থ হয়ে যায় । তখন আল্লাহ বলেন, আপনি একে দ্রুত মুখস্থ করার জন্য আপনার জিহ্বা সঞ্চালন করবেন না। নিশ্চয় (আপনার হৃদয়ে) এর সংরক্ষণ ও (আপনার মুখে) পাঠ করাবার দায়িত্ব আমার। সুতরাং আমি যখন (জিবরীলের মাধ্যমে) তা পাঠ করি আপনি সে পাঠের অনুসরণ করুন। তারপর এর বিশদ ব্যাখ্যা ও ভাষ্য আমারই দায়িত্ব।
শেষ আয়াতটিতে মহান আল্লাহ জানিয়েছেন আল কুরআনের ব্যাখ্যার প্রয়ােজনীয়তার কথা এবং আরাে বলেছেন, সে ব্যাখ্যা তিনি নিজ দায়িত্বে তাঁর রাসূলকে শিক্ষা দিয়েছেন। আর নবী কে আদেশ করেছেন মানব জাতিকে সে ব্যাখ্যা শিক্ষা দিতে। তিনি বলেন, আমি আপনার নিকট স্মারকগ্রন্থ নাযিল করেছি, যাতে আপনি। মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করেন যা তাদের জন্য নাযিল করা হয়েছে।’ নবীজি জীবনব্যাপী তাঁর কথা, কর্ম ও অনুমােদনের মাধ্যমে কুরআনের সে ব্যাখ্যা মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন। সে জন্য আয়িশা রা. বলেন, তাঁর আখলাক হল আল কুরআন।

Ordered:0
Items available:10
Add to cart

সালাতুল ঈদের অতিরিক্ত তাকবীর

In stock

20 kr

হাদীসের আলোকে কোনো বিষয় আলোচনার পূর্বে “হাদীসের সনদ বিচার” বা হাদীসের বিশুদ্ধতা নিরূপণে মুহাদ্দিসগণের পদ্ধতি ও মাপকাঠি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এজন্য প্রথম পর্বে হাদীসের সনদ বিচার বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের দেশে বাংলা ভাষায় হাদীসের সহীহ-যয়ীফ বিচার বিষয়ক কোনো তাত্ত্বিক আলোচনা পড়ার সুযোগ আমার হয় নি। ফলে এ বিষয়ক অগণিত আরবী পরিভাষার বাংলা প্রতিশব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কারো সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারি নি। এ সকল ক্ষেত্রে বাংলা পরিভাষা ব্যবহার করতে আমাকে বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে। যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি যে, শুধু আলিমগণই নন, সাধারণ শিক্ষিত পাঠকগণও যাতে বইটি পড়ে মোটামুটি উপকৃত হতে পারেন। আমার জানা মতে, বাংলা ভাষায় “ফিকহুস সুন্নাহ” বা হাদীস ভিত্তিক ফিকহ ও “আল-ফিকহুল মুকারান” বা “তুলনামূলক ফিকহ” বিষয়ক গ্রন্থাদি নেই বললেই চলে। এছাড়া “আল-জারহু ওয়াত তা’দীল” বা হাদীস বর্ণনাকারীগণের বিধান ও “দিরাসাতুল আসানীদ” বা ‘হাদীসের সনদ বিচার’ বিষয়ক গ্রন্থাদিও বাংলা ভাষায় দুষ্প্রাপ্য বা অনুপস্থিত। আশা করি এ পুস্তিকাটি দ্বারা সাধারণ পাঠক ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে “ইসলামী শিক্ষা” বিষয়ক বিভাগগুলোতে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীগণ উপকৃত হবেন।…..বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন

Ordered:0
Items available:20

হাদীসের নামে জালিয়াতি

In stock

21 kr

“হাদীসের নামে জালিয়াতি : প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:

বইয়ের কলেবর বৃদ্ধির একটি কারণ হলো, প্রায় সকল বিষয়ে বানোয়াট হাদীসগুলো আলোচনার সময় সে বিষয়ে বর্ণিত সহীহ হাদীসগুলোর বিষয়ে কিছু আলোকপাত করতে হয়েছে। দুটি কারণে তা করতে হয়েছে:

প্রথমত: অনেক সময় জালিয়াতগণ জাল হাদীস তৈরি করার সময় সহীহ হাদীসের কিছু শব্দ ও বাক্য তার সাথে জুড়ে দেয়। এছাড়া অনুবাদের কারণে অনেক সময় জাল ও সহীহ হাদীসের অর্থ কাছাকাছি মনে হয়। এজন্য শুধু জাল হাদীসটি উল্লেখ করলে সাধারণ পাঠকের মনে হতে পারে যে, এ বিষয়ে সকল হাদীসই বুঝি জাল। অথবা, এ অর্থের একটি হাদীস অমুক গ্রন্থে রয়েছে, কাজেই তা জাল হয় কিভাবে।

দ্বিতীয়ত: শুধু জাল হাদীস চিহ্নিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বিশ্বাসে ও কর্মে জাল হাদীস বর্জন করে সহীহ হাদীসের উপর আমল করে নিজেদের নাজাতের জন্য চেষ্টা করা। এজন্য জাল হাদীস উল্লেখের সময় সে বিষয়ক সহীহ হাদীসগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে হলেও কিছু বলেছি।

এ বই থেকে আমরা অনেক জাল হাদীসের কথা জানতে পারব। এ জ্ঞান আমাদেরকে সহজেই শয়তানের খপ্পরে ফেলে দিতে পারে। আমরা চায়ের দোকানে, মসজিদে, ওয়াযে, আলোচনায় বিভিন্ন ব্যক্তি বা দলকে সমালোচনা করে বলতে পারব যে, তারা অমুক জাল হাদীসটি বলেন বা পালন করেন। এ কর্মের দ্বারা আমরা সাওয়াবের পরিবর্তে গোনাহ অর্জন করব। এ বইটি লেখার উদ্দেশ্য তা নয়। এ বইটি লেখার উদ্দেশ্য হলো আমরা অনির্ভরযোগ্য, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট ‘হাদীসে’র পরিবর্তে সহীহ হাদীসগুলোর উপর নির্ভর করে নিজেদের কর্ম ও বিশ্বাসকে আরো উন্নত করব। যে সকল সহীহ হাদীস আমরা জানতে পারব সেগুলো ব্যক্তিগতভাবে পালন করব এবং অন্যদেরকে পালন করতে উৎসাহ দেব। যে সকল জাল হাদীসের বিষয়ে জানতে পারব সেগুলো কখনোই আর হাদীস হিসেবে বলব না বা পালন করব না। কেউ তা করলে সম্ভব হলে ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধের সাথে সংশোধনের চেষ্টা করব। সর্বাবস্থায় মহিমাময় করুণাময় আল্লাহর কাছে তার ও আমাদের নিজেদের ক্ষমা ও কবুলিয়তের জন্য দোয়া করব।

“হাদীসের নামে জালিয়াতি : প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা” বইটির প্রথম অংশের কিছু কথাঃ

মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় সৃষ্টি মানব জাতিকে অত্যন্ত ভালবাসেন। মানুষকে তিনি সৃষ্টি সেরা হিসাবে তৈরি করেছেন। তাকে দান করেছেন জ্ঞান, বিবেক ও যুক্তি যা তাকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। মানুষের এ জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে। মানুষ তার জ্ঞান, বিবেক ও বিবেচনা দিয়ে তার পার্থিব জগতের বিভিন্ন বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারে এবং নিজেকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে পারে, কিন্তু তার ইন্দ্রিয়ের বাইরের কিছু সে জানতে পারে না। এজন্য ইন্দ্রিয়ের অতীত কোন বিষয়ে মানুষ জ্ঞান, বিবেক বা যুক্তি দিয়ে সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে অনুরূপভাবে সক্ষম হয় না । আমরা ইতহাসের দিকে তাকালেই তা বুঝতে পারি।

জাগতিক বিষয়গুলো মানুষ অভিজ্ঞতা ও গবেষণার মাধ্যমে জানতে পারে। কিভাবে চাষ করলে বেশি ফল ফসল হবে, কিভাবে বড়ি বানালে বেশি টেকসই হবে, কিভাবে গাড়ি বানালে দ্রুত চলবে, কিভাবে রান্না করলে খাদ্যমানের বেশি সাশ্রয় হবে, কিভাবে ব্যবসা করলে লাভ বেশি হবে বা পুঁজির নিরাপত্তা বাড়বে, কিভাবে চিকিৎসা করলে আরোগ্যের সম্ভাবনা, নিশ্চয়তা বা হার বাড়বে ইত্যাদি বিষয় মানবীয় অভিজ্ঞত, গবেষণা, যুক্তি ও চিন্তার মাধ্যমে জানা যায়।

কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আচার আচরণ বিষয়ক জ্ঞান কখনো অভিজ্ঞতা বা ঐন্দ্রিক জ্ঞানের মাধ্যমে জানা যায় না। আল্লাহর সম্পর্কে বিশ্বাস কিরূপ হতে হবে, কিভাবে নবী-রাসূলগণের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, পরকালের সঠিক বিশ্বাস কী, কিভাবে আল্লাহাকে ডাকতে হবে, কোন কর্ম করলে তাঁর রহমত ও বরকত বেশি পাওয়া যাবে, কিভাবে চললে আখেরাতে মুক্তির সম্ভাবনা বাড়বে, কোন পদ্ধতিতে চললে দ্রুত আল্লাহর বন্ধুত্ব অর্জন করা যাবে, কোন কাজ করলে বেশি সাওয়াব অর্জন করা যাবে, কোন কর্মে পাপের……..

Ordered:0
Items available:20

হাদিস