HEY YOU, JOIN US & CONNECT TO BOIPUSTOK!
Learn and gain knowledge about the life stories of sages and celebrities
In stock
29 krইসলামের প্রথম মুয়াজজিন বিলাল ইবনে রাবাহ রা.-এর জীবন নিয়ে বায়োনভেলা। গল্পের গঠনে এগিয়েছে হাবশি ক্রীতদাস বিলাল থেকে ইসলামের প্রথম মুয়াজজিন সাইয়িদ বিলালের গল্প।
In stock
25 kr“মুসলমানী নেসাব : আরাকানে ইসলাম ও ওযীফায়ে রাসূল (সা.)” বইয়ের ভিতর থেকে লেখা:
একদিকে ইসলামের অগণিত অতিপ্রয়ােজনীয় বিষয় আলােচনা করা, অপরদিকে ইসলামের নামে অগণিত কুসংস্কার বা ভুলেভরা প্রাণহীন আনুষ্ঠানিকতার অসারতা আলােচনা করা এত সংক্ষিপ্ত পরিসরে কখনােই সম্ভব নয়। সংক্ষেপ করার অর্থ অনেক কিছু বাদ দিয়ে অল্প কিছু লেখা। এজন্য অনেক জরুরি বিষয় বাদ দিতে হলাে।
পুস্তিকাটিতে শুধুমাত্র সহীহ ও নির্ভরযােগ্য হাদীসের উপর নির্ভর করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। হাদীস থেকে ফিকহী মাসআলাহ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ইমামগণের কিছু মতভেদ আছে। এগুলি এড়িয়ে শুধুমাত্র হানাফী ফিকহের আলােকে পুস্তিকাটি রচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ইমাম আবু হানীফা, মুহাম্মাদ, আবু ইউসূফ, সারাখসী, সামারকান্দী, কাসানী, রাহিমাহুমুল্লাহ প্রমুখ প্রাচীন ইমামগণের প্রসিদ্ধ গ্রন্থসমূহের উপর নির্ভর করা হয়েছে। যেন পাঠক নিশ্চিত মনে এগুলি পালন করতে পারেন। সমাজে মযহাবের নামে প্রচলিত অনেক ভুল, কুসংস্কার ও অনির্ভরযােগ্য বিষয়, যা মযহাবের ইমামগণ উল্লেখ করেননি বা পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে নেই, সেগুলাে পরিহার বা প্রতিবাদ করা হয়েছে।
In stock
30 krমুসলিম উম্মাহ র দায়িত্ব ও কর্তব্য
লেখকঃ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী
প্রকাশনীঃ আধুনিক প্রকাশনী
In stock
90 krএই মহামূল্যবান বইটি লেখা হয়েছিল আরবীতে ‘মা যা খাসিরুল আলাম বি ইনহিত্বাতিল মুসলিমীন’ নামে। এটি ১৯৫০ সালে মিশরের কায়রো একাডেমী অফ রিসার্চ এর জন্যে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের সাথে সাথেই বইটি আরব বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এক বছরের মধ্যেই বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপাতে হয়েছিল যেটিতে শহীদ সাইয়িদ কুতুব (রহঃ) সুন্দর একটি ভূমিকা লিখে দেন। এ বইটি এ পর্যন্ত পারস্য, ইংরেজী, তুর্কি, উর্দু, হিন্দী, বাংলাসহ অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বাংলা ভাষায় মাওলানা আবু তাঁহের মিছবাহ (দা.বা.) হুজুরের অনুবাদটি পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে যা দারুল কলম থেকে প্রকাশিত হয়আপনি কেন বইটি পড়বেন কিংবা কেন প্রত্যেক সচেতন মুসলিমের বইটি পড়া উচিত সেটা বোঝাতে আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইসলামী চিন্তাবিদ ড. মুহম্মদ ইউসুফ মূসা রহ. এর একটা কথা না বললেই নয়। তিনি বলেন, “বইটি হাতে পেয়ে একদিনেরও কম সময়ে তা পাঠ করেছি। এমনকি পড়া শেষ করে আমার কপিটির শেষ পৃষ্ঠায় এ বাক্যটি লিখে রেখেছি-“ইসলামের মর্যাদা ও গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে, এমন প্রত্যেকের অপরিহার্য কর্তব্য হলো, এ বইটি পড়া (এবং মনে রাখা)।ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে বিশ্বের অবস্থা কেমন ছিল? ইসলামের আগে বিশ্বের জাতিগুলোর মানবিক আচার-ব্যবহার, সামাজিক শ্রেণীবিভাগ, অর্থনীতি, ধর্মীয় আকীদা এবং জীবনযাপনের রীতিই বা কেমন ছিল? সমাজের উচু আর নিচু শ্রেণীর বৈষম্য কী পরিমাণে ছিল? সে সময়ের জালিম শাসকদের স্বরুপ কেমন ছিল? নবী (সা) বিশ্বমানবতায় কী পরিবর্তন আনলেন? নবী (সা) এর শিক্ষকতায় তার সাহাবা (রা) গণ যে ধর্মীয় প্রশিক্ষণ আর মানবিকতার উন্নয়ন সাধনের শিক্ষা লাভ করেছিলেন তা কীরুপ ছিল? মুসলিমরা বিশ্বের নতুন পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পরিণতি কী ছিল? মুসলিম দেশগুলোতে মানবতার অবস্থা কীরুপ ছিল আর শাসকগন কতটুকু ন্যায়পরায়ণ ছিলেন? তারপর মুসলিমদের পতন হওয়া কেন শুরু হয়েছিল? কোন জিনিসগুলো বদলে যাওয়ায় মুসলিমদের পতন হল? মুসলিমদের পতন আর ইউরোপের উত্থানে ক্ষমতার এ পালাবদলে বিশ্ব কোন ক্ষতিগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে? —– এ প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার জন্যেই বইটি পড়বেন।
In stock
80 krম্যাসেজ
মিজানুর রহমান আজহারি
প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স
ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত আঁধার বিলীন হয়ে যায়, ঘোর অমানিশাও তাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে আলোকোজ্জ্বল হয়। ইসলাম তো এমন এক জ্যোতিষ্ক, যা উৎসারিত হয়েছে আরশে আজিমের মহিমান্বিত রওশন থেকে। জাহেলিয়াত পরাজয় কবুল করেছিল ইসলামের বুকে আশ্রয় পেয়ে। এই পবিত্র দ্বীন আত্মাকে করেছে প্রশান্ত, চরিত্রকে করেছে নিষ্কলুষ, জীবনকে করেছে সার্থক, মানবতাকে দিয়েছে মুক্তি। এর আলোকচ্ছটা যে জমিনে পড়েছে, সেখানে অঙ্কুরিত হয়েছে শান্তির সবুজ তরু। এই রওশনের ঝলক যে হৃদয় ধারণ করেছে, সে হৃদয় হয়েছে দারাজ দিল। যে যুগ ধারণ করেছে, তা হয়েছে খইরুল কুরুন বা সর্বোত্তম যুগ।
কিন্তু হায়! অজ্ঞতা ও অবহেলার কালো মেঘে সেই সূর্য আজ মেঘ লুপ্ত। আলোহীন এ ধরায় উঠে না প্রাণের জোয়ার। তোলে না কেউ আর মানবতার জয়োধ্বনি। অধিকার হারিয়ে মুমূর্ষুপ্রায় মানবতা। নব্য জাহেলিয়াতের এই গাঢ়-কালো মেঘপুঞ্জ চুর্ণ করতে দরকার একটি নির্ভেজাল ঈমানি দমকা হাওয়া; যে হাওয়ায় জ্ঞানের সৌরভ মিশে মোহিত করবে প্রতিটি হৃদয়। সেই মোহনীয় দক্ষিণা হাওয়ার গুঞ্জন তুলতেই আমাদের আয়োজন-‘ম্যাসেজ’।
Out of stock
রমজানের ত্রিশ শিক্ষা
লেখক : এ এন এম সিরাজুল ইসলাম
প্রকাশনী : আহসান পাবলিকেশন
বিষয় : সিয়াম, রমযান, তারাবীহ ও ঈদ, ইবাদত ও আমল
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমনিভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পারো।” [সূরা বাকারাঃ ১৮৩]
বলা হয়ে থাকে রমজান মাস হল বাকি এগারো মাসের জন্য প্রশিক্ষণের মাস। কেননা রমজান মাসে রোযাদার রোযা রাখার মাধ্যমে নিজের কাম, ঋপু, ক্রোধ, হিংসা, অহংকার থেকে বাঁচার শিক্ষা নিয়ে থাকে, যা তার কর্মকে পরিশীলিত ও পরিমার্জিত করে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে সাহায্য করে৷ তাই রমজানের শিক্ষাসমূহের অপূর্ব সন্নিবেশ ঘটেছে “রমজানের তিরিশ শিক্ষা” বইটিতে৷ রমজানের প্রকৃত শিক্ষা অর্জনে গ্রন্থটি সহায়তা দেবে ইনশাআল্লাহ।
In stock
75 krরমাদান পরিবর্তনের মাস। রমাদান গাফিলতি ঝেড়ে নিজেকে শুধরে নেওয়ার মাস। রমাদান আত্মশুদ্ধির সুবর্ণ সময়। রমাদান তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময়। রমাদান নেক আমলের বসন্ত। রমাদান কুরআন নাজিলের মাস। রমাদান বিজয়ের মাস। রমাদান আল্লাহর নৈকট্যলাভের শ্রেষ্ঠ সময়।
প্রিয় ভাই, আমাদের জীবনে প্রতি বছরই রমাদান আসে। সময়ের আবর্তনে আবার তা বিদায় নেয়। কিন্তু আমরা কি এ রমাদানের যথাযথ কদর করি? রমাদানের প্রভাব কি এর পরবর্তী সময়গুলোতে আমাদের মাঝে থাকে? রমাদান থেকে তাকওয়ার সবক নিয়ে সারা বছর কি আমরা তাকওয়ার পথে চলি? হায়, কত রমাদানই তো আমরা পার করেছি; কিন্তু আমাদের মাঝে পরিবর্তন কোথায়?! আছে কি আমাদের জীবনে তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ?! আসুন, আর গুনাহের সাগরে ডুবে থাকা নয়; আর নয় গাফিলতির মাঝে বিভোর থাকা। নিজেকে শুধরে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে জেগে উঠি। সামনের প্রতিটি রমাদানকে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগানোর ফিকির করি। প্রতিটি রমাদানকে জীবনের শেষ রমাদান ভেবে এর সর্বোচ্চ কদর করি। রমাদান থেকে তাকওয়ার শিক্ষা নিয়ে জীবনের প্রতিটি পদে পদে এর বাস্তবায়ন ঘটাই। রমাদান হোক আমাদের জন্য আত্মশুদ্ধির বিপ্লব
In stock
7 kr“রামাদানের সওগাত” বইয়ের ভূমিকার লেখা:
“খুতবাতুল ইসলাম” বইটির মাঝে লেখক জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদী সম্মন্ধে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন। কিন্তু বইটির মূল্যের কারণে অনেক আগ্রহী মানুষ শুধুমাত্র রমদ্বান ও রােযা সম্মন্ধে একটি বই চায়। তাই অগণিত পাঠকের চাহিদা মেটাতে শুধুমাত্র রােজার বই হিসেবে “খুতবাতুল ইসলাম” বইটি থেকে রমদ্বান সংশ্লিষ্ট ৫টি খুতবার আলােচনা আলাদা করে একটি বই আকারে শাহরু রমাদ্বান নামে প্রকাশ করা হলাে।
In stock
39 krআমলের মাধ্যমে ব্যক্তি পরিচয় ফুটে উঠে ও আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। সৎ আমল করা একজন মুসলিম ব্যক্তির প্রধান দায়িত্ব। আর সেজন্যই তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ আমলের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের প্রয়োজন মনে করে না। যে আমল সমাজে চালু আছে সেটাই করে থাকে। এমনকি আল্লাহর নৈকট্য লাভের সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম ছালাতের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অথচ সমাজে প্রচলিত ছালাতের হুকুম-আহকাম অধিকাংশই ত্রুটিপূর্ণ। ওযূ, তায়াম্মুম, ছালাতের ওয়াক্ত, আযান, ইক্বামত, ফরয, নফল, বিতর, তাহাজ্জুদ, তারাবীহ, জুম‘আ, জানাযা ও ঈদের ছালাত সবই বিদ‘আত মিশ্রিত এবং যঈফ ও জাল হাদীছে আক্রান্ত। ফলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাতের সাথে আমাদের ছালাতের কোন মিল নেই। বিশেষ করে জাল ও যঈফ হাদীছের করালগ্রাসে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাত সমাজ থেকে প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। ফলে সমাজ জীবনে প্রচলিত ছালাতের কোন প্রভাব নেই। নিয়মিত মুছল্লী হওয়া সত্ত্বেও অনেকে নানা অবৈধ কর্মকান্ড ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। সমাজে মসজিদ ও মুছল্লীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও দুর্নীতি, সন্ত্রাস, সূদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, যুলুম-নির্যাতন, রাহাজানি কমছে না। অথচ আল্লাহ তা‘আলার দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা হল, ‘নিশ্চয়ই ছালাত অন্যায় ও অশ্লীল কর্ম থেকে বিরত রাখে’ (সূরা আনকাবূত ৪৫)। অতএব মুছল্লীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে যাবতীয় অন্যায়-অপকর্ম বন্ধ হবে, নিঃসন্দেহে কমে যাবে এটাই আল্লাহর দাবী। কিন্তু সমাজে প্রচলিত ছালাতের কোন কার্যকারিতা নেই কেন? এ জন্য মৌলিক তিনটি কারণ চিহ্নিত করা যায়। (এক) খুলূছিয়াতে ত্রুটি রয়েছে। অর্থাৎ ছালাত আদায় করি কিন্তু একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে তা পেশ করি না। অধিকাংশ মুছল্লী মসজিদেও সিজদা করে মাযারেও সিজদা করে, রাসূল (ছাঃ)-কেও সম্মান করে পীরেরও পূজা করে, ইসলামকেও মানে অন্যান্য তরীক্বা ও বিজাতীয় মতবাদেরও অনুসরণ করে। এই আক্বীদায় ছালাত আদায় করলে ছালাত হবে না। একনিষ্ঠচিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই সবকিছু করতে হবে, তাঁরই আইন ও বিধান মানতে হবে।[1] (দুই) রাসূল (ছাঃ)-এর পদ্ধতিতে ছালাত আদায় না করা। অধিকাংশ মুছল্লীই তার ছালাত সম্পর্কে উদাসীন। তিনি যত জ্ঞানী ও বুদ্ধিমানই হোন লক্ষ্য করেন না, তার ছালাত রাসূল (ছাঃ)-এর তরীক্বায় হচ্ছে কি-না। অথচ ছালাতের প্রধান শর্তই হল, রাসূল (ছাঃ) যেভাবে ছালাত আদায় করেছেন ঠিক সেভাবেই আদায় করা।[2] এ ব্যাপারে শরী‘আতের নির্দেশ অত্যন্ত কঠোর। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সুতরাং দুর্ভোগ ঐ সমস্ত মুছল্লীদের জন্য, যারা ছালাতের ব্যাপারে উদাসীন, যারা লোক দেখানোর জন্য আদায় করে’ (মাঊন ৪-৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের মাঠে বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে ছালাতের। ছালাতের হিসাব শুদ্ধ হলে তার সমস্ত আমলই সঠিক হবে আর ছালাতের হিসাব ঠিক না হলে, তার সমস্ত আমল বরবাদ হবে’।[3] জনৈক ছাহাবী রাসূল (ছাঃ)-এর উপস্থিতিতে তিনবার ছালাত আদায় করেন। কিন্তু রাসূল (ছাঃ) তিনবারই তাকে বলেন, তুমি ফিরে যাও এবং ছালাত আদায় কর, তুমি ছালাত আদায় করোনি।[4] ঐ ব্যক্তি তিন তিনবার অতি সাবধানে ছালাত আদায় করেও রাসূল (ছাঃ)-এর পদ্ধতি মোতাবেক না হওয়ায় তা ছালাত বলে গণ্য হয়নি। উক্ত হাদীছ থেকে বুঝা যায় যে, রাসূল (ছাঃ)-এর তরীক্বায় ছালাত আদায় না করলে কা‘বা ঘরে ছালাত আদায় করেও কোন লাভ নেই। তাঁর ছাহাবী হলেও ছালাত হবে না। অন্য হাদীছে এসেছে, হুযায়ফাহ (রাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে ছালাতে রুকূ-সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করতে না দেখে ছালাত শেষে তাকে ডেকে বললেন, তুমি ছালাত আদায় করনি। যদি তুমি এই অবস্থায় মারা যাও, তাহলে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে যে ফিতরাতের উপর আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন সেই ফিতরাতের বাইরে মারা যাবে।[5] অন্য বর্ণনায় রয়েছে, হুযায়ফা (রাঃ) তাকে প্রশ্ন করলে বলে, সে প্রায় ৪০ বছর যাবৎ ছালাত আদায় করছে। তখন তিনি উক্ত মন্তব্য করেন।[6] অতএব বছরের পর বছর ছালাত আদায় করেও কোন লাভ হবে না, যদি তা রাসূল (ছাঃ)-এর পদ্ধতি মোতাবেক না হয়। (তিন) হারাম উপার্জন। ‘হালাল রূযী ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত’ কথাটি সমাজে প্রচলিত থাকলেও এর প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। প্রত্যেককে লক্ষ্য করা উচিৎ তার খাদ্য, পানীয়, পোশাক, আসবাবপত্র হালাল না হারাম। কারণ হারাম মিশ্রিত কোন ইবাদত আল্লাহ কবুল করেন না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র বস্ত্ত ছাড়া কবুল করেন না’।কারো খাদ্য, পানীয় ও পোশাক হারাম হলে তার প্রার্থনা গ্রহণযোগ্য হবে না।[7] তাই দুর্নীতি, আত্মসাৎ, প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ এবং সূদ-ঘুষ, জুয়া-লটারী ও অবৈধ পন্থায় প্রাপ্ত অর্থ ভক্ষণ করে ইবাদত করলে কোন লাভ হবে না। মুছল্লী উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন না হওয়ার কারণে ছালাত যেমন পরিশুদ্ধ হয় না, তেমনি মুছল্লীর মাঝে একাগ্রতা ও মনোযোগ আসে না। ফলে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে ছালাতের কার্যকর কোন প্রভাবও পড়ে না। অতএব আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে এমন ছালাত আদায় করতে চাইলে ছালাতকে অবশ্যই পরিশুদ্ধ করতে হবে এবং একমাত্র রাসূল (ছাঃ)-এর দেখানো পদ্ধতিতেই আদায় করতে হবে। অন্য সব পদ্ধতি বর্জন করতে হবে। কারণ অন্য কোন তরীক্বায় ছালাত আদায় করলে কখনোই একাগ্রতা ও খুশূ-খুযূ সৃষ্টি হবে না। আর আল্লাহভীতি ও একনিষ্ঠতা স্থান না পেলে মুছল্লী পাপাচার থেকে মুক্ত হতে পারবে না (সূরা বাক্বারাহ ২৩৮; মুমিনূন ২)। মনে রাখতে হবে যে, এই ছালাত যদি দুনিয়াবী জীবনে কোন প্রভাব না ফেলে, তাহলে পরকালীন জীবনে কখনোই প্রভাব ফেলতে পারবে না। তাই দলীয় গোঁড়ামী, মাযহাবী ভেদাভেদ, তরীক্বার বিভক্তিকে পিছনে ফেলে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাতের পদ্ধতি অাঁকড়ে ধরতে হবে। ফলে সকল মুছল্লী একই নীতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছালাত আদায়ের সুযোগ পাবে। পুনরায় মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে। ছালাতের মাধ্যমেই সমাজ দুর্নীতি মুক্ত হবে। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ জীবনে শান্তির ফল্গুধারা প্রবাহিত হবে। চরম দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, দেশে প্রচলিত ইসলামী দলগুলো সমাজের সংস্কার কামনা করে এবং এ জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে থাকে। কিন্তু তাদের মাঝে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাত নেই। মাযহাব ও তরীক্বার নামে যে ছালাত প্রচলিত আছে, সেই ছালাতই তারা আদায় করে যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসাবে তারা যদি নিজেদের ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে মাযহাবী গোঁড়ামীর উপর রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শকে প্রাধান্য দিতে না পারেন, তাহলে জাতীয় জীবনে তারা কিভাবে ইসলামের শাসন কায়েম করবেন? বিশেষ করে রাসূল (ছাঃ)-এর তরীক্বায় ছালাত আদায় করতে তো সামাজিক ও প্রশাসনিক কোন বাধা নেই। তাহলে মূল কারণ কী? মাযহাবী আক্বীদা ও মায়াবন্ধনই মূল কারণ। এক্ষণে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাত প্রতিষ্ঠার জন্য কিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, সে সম্পর্কে আলোচনা করা প্রয়োজন। আমাদের একান্ত বিশ্বাস নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করলে ইনশাআল্লাহ কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাওয়া যাবে।
No account yet?
Create an Account