HEY YOU, JOIN US & CONNECT TO BOIPUSTOK!
Learn and gain knowledge about the life stories of sages and celebrities
In stock
13 krমানবজীবনের প্রয়ােজনীয় সকল বিষয়ের মৌলিক নীতিমালা যে কুরআনে পেশ করা হয়েছে, সেখানে অবশ্যই সব রকম সুস্থতারও নিশ্চয়তা রয়েছে। আল্লাহর নেক বান্দাগণ কুরআন থেকে যেসব রােগের চিকিৎসা খুঁজে বের করেছেন, এটি তার একটি সংকলন।
কুরআনের তাৎপর্য ও মাহাত্ম নিয়ে যুগে যুগে যেমনি গবেষণা চলছে, তেমনি কুরআন থেকে চিকিৎসা গ্রহণের প্রচেষ্টাও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ কুরআনকে “রােগের উপশমকারী ও রহমত” হিসেবে ঘােষণা দেওয়ার পর মানসিক ও শারীরিক এমন কোনাে রােগ থাকতেই পারে না, যার নিরাময় কুরআনে নেই। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর কর্তব্য হলাে, গভীর বিশ্বাস, নেক আমল ও পবিত্র জীবনযাপনের মাধ্যমে নিজের কল্যাণ, হেফাযত ও সুস্থতার প্রয়ােজনে কুরআন থেকে ফায়দা হাসিলের জন্য সচেষ্ট হওয়া।
আমেরিকার ফ্লোরিডা অঞ্চলে “ইসলামী চিকিৎসা বিজ্ঞান ফাউন্ডেশন” কুরআন তিলাওয়াতের প্রভাব জানতে কতিপয় অসুস্থ ব্যক্তির উপর এক ব্যাপক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। উক্ত গবেষণায় দেখা যায় যে, মানসিক প্রশান্তি সৃষ্টির ক্ষেত্রে ৯৭পার্সেন্ট পর্যন্ত কুরআন তিলাওয়াতের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসা বিষয়ক সুদীর্ঘ পরীক্ষা কর্মসূচি এমনভাবে চালানাে হয়েছিল যে, আরব-অনারব কতিপয় মুসলিম এবং অমুসলিমের ওপর কুরআন তিলাওয়াত শুনানাের পর তাদের মানসিক অবস্থার উপর এর প্রভাব পরিমাপ ও রেকর্ড করা হয়।
In stock
13 krবাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম ধর্মপ্রাণ । ধর্মীয় বিধি বিধান অনেকেই পুরােপুরি মানতে না পারলেও সকল বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ অটল। কমবেশি পালনের চেষ্টাও অনেকেই করেন। কিন্তু একটি ফরয ইবাদত যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি স্ত ম্ভের অংশ তা বাংলাদেশের ধার্মিক মুসলমানগণও পালন করেন না। ভাবতে বড়ই অবাক লাগে। যে ধার্মিক মুসলিম পাঁচ ওয়াক্ত নামায ছাড়াও সাধ্যমত সুন্নাত ও নফল নামায আদায় করছেন। ফরয রােযা পালন ছাড়াও সাধ্যমত নফল রােযা পালন করছেন। এছাড়া অনেক প্রকার সুন্নাত, নফল, যিকির, দান ও অন্যান্য কাজ করছেন। এমনকি পােশাক-পরিচ্ছদ, ওঠা-বসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আদবও ত্যাগ করতে চান না। এই মুসলিমই কুরআন করীমের স্পষ্ট নির্দেশ, অসংখ্য হাদীসের স্পষ্ট নির্দেশ, সকল মুসলিম উম্মাহর ঐকমত্যের মাধ্যমে ফরয ইবাদত ফসলের যাকাত বা উশর প্রদানের ইবাদত পালন করেন না। বাংলাদেশের প্রায় কোন মুসলিমই ফসলের যাকাত প্রদান করেন না। প্রশ্ন হলাে কেন এই অবাধ্যতা? কেন এই অবহেলা? প্রশ্ন করলে অনেক আলেম বলেন: বাংলাদেশের খারাজী জমিতে উশর প্রদান জরুরী নয়। “খারাজী জমিতে উশর প্রদান জরুরী নয়” কথাটি ইমাম আবু হানীফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মত, তা ঠিক। কিন্তু আমাদের কি দেখা উচিত নয় যে, বাংলাদেশের জমি কোন শ্ৰেণীর? খারাজী না উশরী? আমাদের কি দেখা উচিত নয় যে, আমরা খারাজী জমির খারাজ আদায় করছি কিনা? আমাদের কি একটু দেখা দরকার না, কাকে কি পরিমাণ খারাজ দিলে উশর মাফ হতে পারে? এগুলি কিছুই না দেখে আমাদের চুপ করে থাকাটা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল – এর নির্দেশের প্রতি আমাদের অবহেলারই নামান্তর। মুমিনের মন তাে ছটফট করবে তার উপর অর্পিত ফরয দায়িত্বগুলি পালিত হলাে কিনা তা দেখার জন্য । কেউ যদি তাকে বলে যে, অমুক অবস্থায় নামায না পড়লেও চলবে, তবুও সে ছটফট করবে সত্যিই বিষয়টি ঠিক কিনা? সত্যি হলেও সে চেষ্টা করবে কষ্ট করে হলেও তা আদায় করার। যদি কেউ তাকে বলে যে, অমুক পরিস্থিতিতে রােযা না রাখলেও চলবে, তাহলে তিনি প্রথমে বিষয়টি যাচাই করবেন। এরপরও কষ্ট করে হলেও সময় মত তা পালনের চেষ্টা করবেন। যাকাতের ক্ষেত্রেও কি আমাদের আকুতি একইরূপ হওয়া উচিত নয়? আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেছেন উশরের বিষয়ে, যা থেকে আমার মনে হয়েছে, বাংলাদেশের অনেক মুমিন মনেই যাকাতের ক্ষেত্রে একইরূপ আকুতি আছে। তাদের এই আকুতি সংক্রমিত হয়েছে আমার মধ্যে। সামান্য পড়াশুনার মাধ্যমে যে সত্যটি আমার কাছে ধরা পড়েছে তা হলাে, বাংলাদেশের সকল অথবা অধিকাংশ ভূমি উশরী ভূমি, যার উশর দেওয়া মুমিনের উপর ফরয । কিছু ভূমি খারাজী বলে গণ্য হবে, কিন্তু ফিকহের বিধান অনুসারে তা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। আর যেক্ষেত্রে ভূমির খারাজী হওয়ার বিষয়ে সামান্যতম সন্দেহ থাকবে সেক্ষেত্রেও সেই জমির উশর প্রদান করা ফরয। সর্বোপরি আমরা দেখতে পেয়েছি, বাংলাদেশের কোন জমিরই ইসলামী খারাজ প্রদান করা হয় না। আমরা যারা “খারাজী জমির উশর দিতে হবে ” বলে বাংলাদেশে উশর প্রদান করছি না তাদের অবস্থা হলাে ঐ ব্যক্তির মত যে, “গ্রামে জুমআর নামায হবে না” বলে জুমআর নামায পড়ল না। এরপর আর যােহরও পড়ল না। যদিও উশর বা ফসলের যাকাতই আমাদের মূল আলােচ্য বিষয় তবুও যেহেতু তা যাকাত ব্যবস্থারই অংশ তাই বইটিতে আমি ইসলামে যাকাত ব্যবস্থার গুরুত্ব, যাকাত প্রদানের ফযীলত, যাকাত প্রদান না করার ভয়াবহ পরিণতি ও যাকাত ব্যবস্থার কতিপয় মূলনীতি আলােচনা করেছি। এ বিষয়ক কিছু বাড়াবাড়িও আলােচনা করেছি। বাড়াবাড়ি বুঝাতে পণ্ডিতগণ একটি তুলনামুলক বাক্য ব্যবহার করেন, যেমন “মার্কসের চেয়েও বেশী মার্কসবাদী”। আমরা দেখেছি, আমাদের দেশে বর্তমানে কিছু মুসলিম ইসলাম ধর্ম হৃদয়ঙ্গম করা ও পালনের ক্ষেত্রে “ইসলামের নবীর () চেয়েও বেশী মুসলিম” হতে চান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সার্বিক আদর্শ, শিক্ষা, কর্ম, তাঁর সাহাবীগণের কর্ম ও জীবনপদ্ধতি না জেনে শুধুমাত্র কুরআন করীমের দুই একটি আয়াত বা দুই চারটি হাদীসের সাথে নিজের মনের আবেগ, ব্যক্তিগত বুদ্ধি বা নির্বুদ্ধিতা মিশিয়ে নতুন ইসলাম তৈরী করেন। যাকাতের ক্ষেত্রে এ ধরনের বাড়াবাড়ির মধ্যে রয়েছে দৈনিক যাকাত প্রদান, যাকাতের ক্ষেত্রে নিসাব বা বর্ষপূর্তির শর্ত না মানা, নামাযের মত বাংলাদেশে উশর বা ফসলের যাকাত পুরস্কার, নেক কর্মময় দীর্ঘ জীবন, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বোত্তম সফলতা দান করুন। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ মুস্তাফিজুর রহমান তার মহামূল্যবান সময় ব্যয় করে বইটি পড়ে আমাকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও পরামর্শ প্রদান করেছেন। মহান রাব্বল আলামীন তাকে সর্বোত্তম পুরস্কার ও বরকতম দীর্ঘ জীবন প্রদান করুন ।
In stock
10 krলেখক : ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
প্রকাশক : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
বিষয় : হজ্জ-উমরাহ ও কোরবানি
Out of stock
10 krIn stock
10 krকিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা
একটি হাদীসতাত্ত্বিক পর্যালােচনা
প্রারম্ভিকা: রাতের আঁধারে সালাতের মাধ্যমে আপন রবের নির্জন সান্নিধ্যে সময় কাটানাে মুমিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তির ওয়াসিলা। কুরআন ও সুন্নাহ মুমিনকে রাতের নির্জনতায় সালাত ও কিয়ামে উৎসাহিত করেছে। কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদের জন্য সাধারণভাবে উৎসাহিত করেছে বছরের সকল রাতেই আর বিশেষভাবে রমাযানের রাতে । কিতাব ও সুন্নাহ রাতের সালাতকে মুমিনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্বপূর্ণ সিফাত বলে উল্লেখ করেছে।
ইশার পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত সময়ে আমাদের আদায় করা সকল নফল সালাতকেই ‘কিয়ামুল লাইল’ বা ‘সালাতুল লাইল’ বলে। তাহাজ্জুদ’ শব্দটির উদ্দেশ্য ঘুম থেকে উঠে যে সালাত আদায় করা হয়। আর রমাযান মাসের রাতের সালাতকে ‘তারাবীহ’ বা বিশ্রামের সালাত’ বলা হয়। কেননা এ সালাতে প্রত্যেক চার রাকআত পরপর বিশ্রাম করা হয়।
কিয়ামুল লাইল, বিশেষ করে রমাযান মাসের তারাবীহর সালাতের রাকআত সংখ্যা নির্ধারণে বর্ণনাসমূহে ভিন্নতা রয়েছে। এ পর্যায়ে সাধারণভাবে রাতের সালাত, বিশেষকরে রমাযানের রাতের সালাতের রাকআত সংখ্যার ব্যাপারে বর্ণিত মার’, মাওকুফ ও মাকতূ হাদীসসমহ পর্যালােচনার প্রয়াস পাব। মহান আল্লাহ তাওফীক দাতা।
Out of stock
10 krমুমিনের জীবনের অন্যতম ইবাদত দু’আ বা মুনাজাত। আমরা সকলেই কোনো না কোনোভাবে মুনাজাত করি। মুনাজাতের কয়েকটি পর্যায় রয়েছে:
প্রথমত, দুআ-মুনাজাত’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। অন্য কোনো দলিল দ্বারা নিষিদ্ধ নয় এমন যে কোনো ভাষায়, যে কোনো সময়ে এবং যে কোনো অবস্থায় মুমিন আল্লাহর নিকট মুনাজাত করতে পারেন । এতে দু’আর মূল ইবাদত পালিত হবে এবং বান্দা সাওয়াব ও পুরস্কারের আশা করবেন।
দ্বিতীয়ত, রাসূলুল্লাহ (আঃ)-এর শেখানো কথা দ্বারা মুনাজাত করলে মুমিন মাসনূন বাক্য ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত সাওয়াব লাভ করবেন। এ ছাড়া মাসনূন বাক্য ব্যবহারের মাধ্যমে মুমিন অতিরিক্ত বরকত ও মহব্বত লাভ করবেন এবং দোয়া কবুল হওয়ার বেশি আশা করতে পারবেন।
তৃতীয়ত, মাসনূন মুনাজাতগুলির বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। কিছু মুনাজাত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন বা পালন করেছেন নির্ধারিত সময়ে বা নির্ধারিত পদ্ধতিতে। আবার কিছু মুনাজাত তিনি সাধারণভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। মুমিন যে কোনো মাসনূন মুনাজাত যে কোনো সময়ে আদায় করতে পারেন। এতে মাসনুন মুনাজাত ব্যবহারের সাওয়াব ও বরকত লাভ করবেন। আর নির্ধারিত সময়ের নির্ধরিত মুনাজাত ব্যবহার করলে অতিরিক্ত সুন্নাত পালনের মর্যাদা লাভ করবেন।
চতুর্থত, মুনাজাতের পদ্ধতির ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (আঃ)-এর অনুসরণ করতে পারলে মুমিন মাসনূন পদ্ধতি পালনের অতিরিক্ত সাওয়াব, বরকত ও কবুলিয়্যাত লাভ করবেন।
পঞ্চমত, দুআ-মুনাজাত করার বিশেষ বিশেষ সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন। সেগুলির অন্যতম হলো নামায। তিনি নামাযের মধ্যে ও পরে বিশেষভাবে দুআ-মুনাজাত করেছেন এবং করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাতে বা অন্যান্য সময়ে দুআ-মুনাজাত করার সুযোগ অনেকেরই হয় না। পক্ষান্তরে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আমরা সকলেই আদায় করি। এ সময়ের মাসনূন মুনাজাতগুলি আদায় করা আমাদের জন্য সহজ এবং এভাবে আমরা বিশেষ সাওয়াব, ফযীলত ও কবুলিয়ত লাভ করতে পারব, ইনশা আল্লাহ…..
In stock
10 krবলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ)। ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ; সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ। প্রতিটি নফল ইবাদতের জন্য তাজা অজু বা নতুন অজু করা মোস্তাহাব।
In stock
10 kr‘‘আল্লাহর পথে দাওয়াত’’বই এর ভূমিকা:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আল-হামদু লিল্লাহ। ওয়া সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ। ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন।
আল্লাহর পথে আহ্বান করতেই নবী-রাসূলগণের (আ) আগমন। মুমিনের জীবনের অন্যতম দায়িত্ব এই দা’ওয়াত। কুরআন কারীমে এ দায়িত্বকে কখনো দা’ওয়াত, কখনো সঙ্কার্যে আদেশ ও অসৎকার্যে নিষেধ, কখনো প্রচার, কখনো নসীহত ও কখনো দীন প্রতিষ্ঠা বলে অভিহিত করা হয়েছে।
করআন ও হাদীসের আলোকে এ কাজের গুরুত, এর বিধান, পুরস্কার, এ দায়িত্ব পালনে অবহেলার শাস্তি, এ কর্মে অংশগ্রহণের শর্তাবলী ও এর জন্য আবশ্যকীয় গুণাবলী আলোচনা করেছি এই পুস্তিকাটিতে। এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তি, যেমন বিভিন্ন অজুহাতে এ দায়িত্বে অবহেলা, ফলাফলের ব্যস্ততা বা জাগতিক ফলাফল ভিত্তিক সফলতা বিচার, এ দায়িত্ব পালনে কঠোরতা ও উগ্রতা, আদেশ, নিষেধ বা দা’ওয়াত এবং বিচার ও শাস্তির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়, আদেশ, নিষেধ বা দা’ওয়াত এবং গীবত ও দোষ অনুসন্ধানের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করেছি। সবশেষে এ ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে সুন্নাতে নববী এবং এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তির কথা আলোচনা করেছি। হাদীসের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সহীহ বা নির্ভরযোগ্য হাদীসের উপর নির্ভর করার চেষ্টা করেছি। মুহাদ্দিসগণ অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষার মাধ্যমে হাদীসের বিশুদ্ধতা ও দুর্বলতা নির্ধারণ করেছেন, যে নিরীক্ষা-পদ্ধতি বিশ্বের যে কোনো বিচারালয়ের সাক্ষ্য-প্রমাণের নিরীক্ষার চেয়েও বেশি সুক্ষ্ম ও চুলচেরা । এর ভিত্তিতে যে সকল হাদীস সহীহ বা হাসান অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছে আমি আমার আলোচনায় শুধুমাত্র সে হাদীসগুলিই উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। অতি নগন্য এ প্রচেষ্টাটুকু যদি কোনো আগ্রহী মুমিনকে উপকৃত করে তবে তা আমরা বড় পাওয়া। কোনো সহৃদয় পাঠক দয়া করে পুস্তিকাটির বিষয়ে সমালোচনা, মতামত, সংশোধনী বা পরামর্শ প্রদান করলে তা লেখকের প্রতি তাঁর এহসান ও অনুগ্রহ বলে গণ্য হবে।
In stock
10 krআমাদের সমাজের সকল মানুষ এবং ইসলাম সম্পর্কে যাদের সামান্য জ্ঞানও আছে তারা সকলেই জানেন যে, জাতি, ধর্ম , বর্ণ , গোত্র নির্বিশেষে সমাজের সকল মানুষের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা ইসলামী ধর্মবিশ্বাসের অন্যতম প্রেরণা । তাত্ত্বিক , প্রায়োগিক ও ঐতিহাসিকভাবে তা সর্বজনবিদিত । বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সকল মানুষই ধর্মীয়ভাবে শান্তিপ্রিয় । সবাই আমরা শান্তি চাই । এখন সমস্যা হলো, তাহলে ইসলামের নামে বোমাবাজি , অশান্তি , নিরিহ নিরপরাধ মানুষ হত্যা, আত্মহত্যা ইত্যাদি কেন ঘটছে ? এ সকল ঘটনার কারন জানা শুধু কৌতূহল নিবারণের বিষয় নয়, বরং সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায় । সন্ত্রাস একটি ভয়ঙ্কর সামাজিক ব্যাধি । এর নিরাময়ের জন্য এর সঠিক কারন নির্ণয় করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ । সঠিক কারন নির্ণয় এই ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ের পথ সুগম করে । পক্ষান্তরে এর কারন নির্ণয়ে বিভ্রান্তি সমস্যাকে আরো ভয়ঙ্কর করে তুলতে পারে ।
In stock
8 kr“কোরআন ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পর্দা” বইটির কিছু কথাঃ
পর্দা শব্দটি মূলতঃ ফার্সী। যার অর্থ আবরণ বা ঢাকনা। আরবী ভাষায় বলে হিজাব। পবিত্র কালামে একাধিক সূরাও রয়েছে তাতে পর্দা সংক্রান্ত | বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে। আমরা অনেকে পদা বলতে অবরােধ প্রথা বা নারীকে চার দেয়ালের ভিতর গৃহবন্দী করে রাখা বুঝি। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে পর্দা হচ্ছে পােষাক ও আচরণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ জীবন গঠন করা। | বর্তমান যুগে পদা একটি সামাজিক ভদ্রতার প্রতীক ও আভিজাত্যের পরিচায়ক। সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি বহুল আলােচিত বিষয়, যা এক শ্রেণীর লােকের নিকট অত্যন্ত মর্যাদার বিষয় বস্তু। তারা চান মানুষ পর্দার মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান মেনে পশুত্বকে বাদ দিয়ে সৃষ্টর সেরা হিসাবে বেচে থাক। অবহমানকালের এ চিররীতি বজায় রেখে সমাজ জীবনের ভীতকে মজবুত করুক। পারিবারিক বন্ধনকে করুক আরও সু-দৃঢ়।
আরেক শ্রেণীর লােকের নিকট এটি একটি সমালােচনার বিষয়। তাদের ভাষায়, সেকেলের গােড়ামী চিরতরে বন্ধ হােক। এটি সকল প্রকার প্রগতি ও উন্নতির অন্তরায়, তাই একে সমাজের সর্বস্তর থেকে বাদ দিতে হবে। পর্দার দ্বারা মানুষের স্বহজাত ধর্মে আঘাত করা হয়, তাই তারা প্রকৃতির সন্তান হিসাবে বেঁচে থাকতে চান । যথেচ্ছা যৌনাচার, বিজ্ঞাপনে নারীর মাংসল দেহ প্রদর্শনী, সর্বত্র নারীকে ভােগের সামগ্রী বানিয়ে তাদের দ্বারা ফায়দা লুটতে চায়।
পর্দার মূল কথা হচ্ছে, পর পুরুষের সামনে নারীদের রূপ লাবণ্য প্রকাশ না করা । এমনিভাবে পুরুষদের জন্যও পর্দা সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। পর্দার বহু অর্থ হতে পারে, কেবল বাহ্যিক পর্দাই যে সীমাবদ্ধ তা নয় বরং মনের পর্দাও একটি বিরাট স্থান দখল করে আছে। এমনিভাবে কথা, কাজ, বাচন ভঙ্গি, দৃষ্টি, আচার। আচরণ, মােটকথা সব কিছুতেই ক্ষেত্র বিশেষ পর্দার বিধান প্রযােজ্য। এমনিভাবে মুহরিমদের সাথে এক রকম পর্দা ও গায়রে মুহরিমদের সাথে আরেক রকম পদার বিধান রয়েছে। নিজের মাতা, স্ত্রী, বােন, ভাই, বন্ধু, পিতা, পরিচিত, অপরিচিত সর্ব ক্ষেত্রে পর্দা করার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। আরবীতে পদাকে হিজাব বলে আখ্যায়িত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে হিজাব গ্রহণ করার পরও মা-বােনেরা বেপর্দা থেকে যায়।
In stock
7 kr“রামাদানের সওগাত” বইয়ের ভূমিকার লেখা:
“খুতবাতুল ইসলাম” বইটির মাঝে লেখক জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদী সম্মন্ধে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন। কিন্তু বইটির মূল্যের কারণে অনেক আগ্রহী মানুষ শুধুমাত্র রমদ্বান ও রােযা সম্মন্ধে একটি বই চায়। তাই অগণিত পাঠকের চাহিদা মেটাতে শুধুমাত্র রােজার বই হিসেবে “খুতবাতুল ইসলাম” বইটি থেকে রমদ্বান সংশ্লিষ্ট ৫টি খুতবার আলােচনা আলাদা করে একটি বই আকারে শাহরু রমাদ্বান নামে প্রকাশ করা হলাে।
In stock
6 krআমরা ইসমাঈল (আ), ইবরাহীম (আ) বা অন্য কারো স্মৃতির প্রতি সম্মানার্থে, স্মৃতি বা রীতি পালনে “কুরবানি” করি না। হজ্জ ও কুরবানির ঘটনার সাথে ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) এর স্মৃতি বিজড়িত। কিন্তু আমরা তাঁদের স্মৃতির জন্য এ সকল ইবাদত পালন করি না। আমরা মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য কুরবানি করি। মহান আল্লাহ বলেছেন: “অতএব তুমি তোমার রবের জন্য সালাত আদায় কর এবং কুরবানি কর।” (সূরা (১০২) কাউসার: ২ আয়াত) আমরা রাসূলুল্লাহ (স.) এর সুন্নাত অনুসরণে এগুলি পালন করি। তিনি এগুলি পালন, অনুমোদন ও বিধিবদ্ধ করেছেন বলেই আমরা তা পালন করি। ইবরাহীম (আ) এর সবচেয়ে প্রসিদ্ধ স্মৃতি-বিজড়িত বস্তু “মাকাম ইবরাহীম”। কুরআনে মাকামে ইবরাহীমকে সুস্পষ্ট আয়াত বা মুজিযা ও নিদর্শন বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা কেউ মাকামে ইবরাহীম চুম্বন করি না, বরং “হাজারে আসওয়াদ” চুম্বন করি। কারণ রাসূলুল্লাহ (স.) এরূপই করেছেন। কুরবানী সম্পর্কি তথ্যবহুল আলোচনা রয়েছে এই বইটিতে…
No account yet?
Create an Account