HEY YOU, JOIN US & CONNECT TO BOIPUSTOK!
Learn and gain knowledge about the life stories of sages and celebrities
In stock
80 krপ্রশংসা মহান আল্লাহর নিমিত্ত। সালাত ও সালাম তাঁর বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ (২) এর জন্য, তাঁর বান্দা আদম, নূহ, ইবরাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব, মূসা, ঈসা ও অন্যান্য সকল নবীরাসূলের জন্য, তাদের পরিজন ও সহচরদের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব অনুষদে অধ্যাপনার কারণে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব আমাদের পড়তে ও পড়াতে হয়। ছাত্র ও গবেষকবৃন্দ এ বিষয়ে কিছু লেখা আশা করেন। পাশাপাশি সংযুক্ত হয়েছে ধর্মপ্রচার বিষয়ক বিশেষ প্রেক্ষাপট। বিশ্বায়নের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল সভ্যতা, ভাষা ও সংস্কৃতির মত সকল ধর্মও কাছাকাছি হয়ে গিয়েছে। বেড়েছে আন্তঃধর্মীয় আলােচনা, সংলাপ, বিতর্ক ও দ্বন্দ্ব। বিভিন্ন ধর্মের প্রচার বেড়েছে। বিভিন্ন ধর্ম অধ্যয়নে মানুষের আগ্রহও বেড়েছে। বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা নিজ ধর্মের প্রচারের পাশাপাশি নিজ ধর্মের বিরুদ্ধে অন্যান্য ধর্মের প্রচারকদের প্রচারণা খণ্ডনের চেষ্টাও বাড়িয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটেই এ পুস্তকটার রচনা। বিগত শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকেই খ্রিষ্টধর্মীয় প্রচারকরা বাংলাদেশে খ্রিষ্টধর্মের প্রচার জোরদার করেছেন। স্বভাবতই তারা বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ বা মুসলিমকে খ্রিষ্টধর্মের গুরুত্ব বােঝাতে কমবেশি হিন্দু, বৌদ্ধ বা ইসলাম ধর্ম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বা নবীর উপর আক্রমণ করেন। বিশেষ করে মুসলিমরা যেহেতু তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীদের (সকলের প্রতি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি বর্ষিত হােক) প্রতি ভক্তিপ্রবণ, সেহেতু মুসলিম সমাজে খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে তারা এ সকল ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করেন। এ ছাড়া মুহাম্মাদ (y)-এর অনুসরণের মাধ্যমে মুক্তি সম্ভব নয় বলে প্রমাণ করার জন্য তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর কথা প্রচার করেন। তাদের বক্তব্য অনেক মুসলিমকে আহত করে। কখনাে বা সংঘাত সৃষ্টি করে। মুসলিম প্রচারকরা এ বিষয়ে তথ্য নির্ভর গ্রন্থাদি আশা করেন। বাংলা ভাষায় এ জাতীয় বইয়ের অভাব। এ অভাব পূরণ করে পবিত্র বাইবেল পর্যালােচনা ও সমালােচনায় বাঙালি পাঠকের সামনে সামগ্রিক তথ্যাদি তুলে ধরাই এ পুস্তকের উদ্দেশ্য। ধর্মতত্তের পাঠক ও পাঠদাতা হিসেবে আমরা মনে করি, ধর্ম আলােচনায় কেউ কখনােই নিরপেক্ষ হতে পারেন না, তবে বস্তুনিষ্ঠ হতে পারেন এবং হওয়াই উচিত। প্রতিটা মানুষই তার বিশ্বাসের পক্ষে এবং বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত। নাস্তিক, ধর্মবিহীন আস্তিক এবং ধর্মানুসারী আস্তিক প্রত্যেকেই তার বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত হন। আমিও আমার বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত। তবে আমি আমার সাধ্যমত তথ্য উপস্থাপনায় ও পর্যালােচনায় বস্তুনিষ্ঠ থাকার চেষ্টা করেছি। বিশেষত অন্য ধর্মের আলােচনায় কুরআন ও সুন্নাহ যে নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ আরােপ করেছে তা মেনে চলার চেষ্টা করেছি। কুরআন বলছেঃ “তােমরা ধর্মগ্রন্থ-অনুসারীদের (অন্য ধর্মের অনুসারীদের) সাথে সর্বোত্তম পদ্ধতিতে ছাড়া বিতর্ক করবে না” (সূরা-২৯ আনকাবুত: আয়াত ৪৬)। কুরআন অন্যত্র বলেছে: “আল্লাহ ছাড়া যাদের তারা ডাকে তােমরা তাদের বিষয়ে কটুক্তি করবে না।” (সূরা-৬ আনআম: আয়াত ১০৮)। গবেষণার বস্তুনিষ্ঠতা ও ধর্মীয় নির্দেশনার আলােকে আলােচনা, পর্যালােচনা ও সমালােচনার ক্ষেত্রে আমরা কয়েকটা মূলনীতি রক্ষার চেষ্টা করেছি…..
In stock
5 krঅনেক দ্বীনদার মানুষ চান সংক্ষিপ্তাকারে কিছু মাসনূন যিকির ও দুআর একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ, যা সবসময় নিজের সাথে বহন করা যাবে। তাদের আগ্রহ ও চাহিদার দিক বিবেচনা করেই মূলত সংক্ষিপ্ত এ পুস্তিকাটি সঙ্কলন করা হয়েছে। এই পুস্তিকার সকল তথ্য ও ‘রাহে বেলায়াত’ এবং ‘সহীহ মাসনূন ওযীফা’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। উক্ত গ্রন্থগুলোর পাদটীকায় গ্রন্থকার বিস্তারিত তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছেন। সংক্ষেপণের উদ্দেশ্যে আমরা শুধু দুয়েকটি কিতাবের নাম ও শামিলায় প্রদত্ত হাদীস নাম্বার উল্লেখ করেছি। আগ্রহী পাঠককে লেখকের মূলগ্রন্থ থেকে বিস্তারিত তথ্য দেখে নেবার অনুরোধ করছি।
সংক্ষিপ্ত এ পুস্তিকায় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পরবর্তী এবং সকাল-সন্ধ্যার মাসনূন যিকরসহ একজন মুমিনের ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত দৈনন্দিন পালনীয় কিছু মাসনূন যিকর ও দুআ সঙ্কলন করা হয়েছে। এছাড়া পুস্তিকার শুরুতে সংক্ষেপে যিকরের পরিচয়, গুরুত্ব ও ফযীলত তুলে ধরা হয়েছে।
In stock
5 krপ্রথমত, বিশুদ্ধভাবে তাওহীদ ও রিসালতের উপর ঈমান আনুন। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগণের আকীদা বা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদা যা ইমাম আবু হানীফার (রহ) “ফিকহুল আকবার”, ইমাম তাহাবীর (রহ) “আকীদায়ে তাহাবীয়া” ও অন্যান্য প্রাচীন ইমামগণের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থসমূহে লিপিবদ্ধ রয়েছে সে অনুসারে নিজেদের আকীদা গঠন করুন। পরবর্তী যুগের বিদ‘আত ও বানোয়াট আকীদা বর্জন করুন। সাথে সাথে সকল প্রকার শিরক, কুফর, বিদ‘আত ও ইলহাদ থেকে আত্মরক্ষা করুন। দ্বিতীয়ত, সকল প্রকার হারাম উপার্জন পরিহার করুন। ফরয ইবাদত বিশুদ্ধভাবে পালন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। সকল কবীরা গোনাহ ও হারাম বর্জন করুন। কোনো মানুষ অথবা প্রাণীর হক বা অধিকার নষ্ট করা বা ক্ষতি করা বিষবৎ পরিত্যাগ করুন। তৃতীয়ত, মনকে হিংসা, ঘৃণা, বিদ্বেষ, অহংকার, আত্মতৃপ্তি, জাগতিক সম্মান, প্রতিপত্তি বা টাকা-পয়সার লোভ থেকে যথাসম্ভব পবিত্র রাখার জন্য সর্বদা সতর্কতার সাথে চেষ্টা করুন। এজন্য সর্বদা আল্লাহর দরবারে তাওফীক চেয়ে কাতরভাবে দু‘আ করুন। প্রয়োজন ছাড়া মানুষের সাথে হাসি তামাশা বা গল্পগুজব যথাসম্ভব কম করুন। চতুর্থত, নফল ইবাদত বেশি বেশি পালনের চেষ্টা করুন। মানুষের সেবা, উপকার ও সাহায্য জাতীয় কাজ যথাসম্ভব বেশি করুন। নফল সালাত যথাসম্ভব বেশি আদায়ের চেষ্টা করবেন। বিশেষত তাহাজ্জুদ, ইশরাক ও মাগরিবের পরে কিছু নফল সালাত (আওয়াবীন নামে পরিচিত) সর্বদা পালন করবেন।
In stock
20 kr“আল-ফিকহুল আকবার” ইমাম আবু হানীফা (রহ) লিখিত আকীদার উপর একটি প্রাচীন কিতাব।এই গ্রন্থে অনুবাদ ও ব্যাখ্যাকারী ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর আরও কয়েকটি বইয়ের সাহায্য নিয়ে বঙ্গানুবাদের পাশাপাশি ব্যাখ্যাও সংকলন করেছেন। তিনি আল-আকীদাহ আত-তাহাব্যিয়াহ, আল-ই’তিকাদ গ্রন্থে ইমাম আবু হানীফার আকীদা বিষয়ক বক্তব্যগুলোও যুক্ত করেছেন। এছাড়া তারাবীহ, রিয়া, উজব, কিয়ামতের আলামত, রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সন্তানদের পরিচয় ইত্যাদি অনেক বিষয় তিনি আলোচনা করেছেন। তাছাড়াও বইটির একটি বড় অংশজুড়ে ইমাম আবু হানিফার সঠিক আকীদা, উনার বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন অভিযোগের বিরুদ্ধে যুক্তি খণ্ডন পূর্বক দালীলিক আলোচনা বইটির গ্রহণযোগ্যতায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। বইটি দুটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্ব তিনটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। প্রথম পরিচ্ছেদে ইমাম আবু হানীফার জীবনী ও মূল্যায়ন, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে ইমাম আবু হানীফার রচনাবলি ও তৃতীয় পরিচ্ছেদে ইলমুল আকীদা ও ইলমুল কালাম বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।দ্বিতীয় পর্বে আল-ফিকহুল আকবার গ্রন্থের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই গ্রন্থের বক্তব্যগুলোকে ধারাবাহিকভাবে বিন্যস্ত করে পাঁচটি পরিচ্ছেদে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিচ্ছেদে ইমাম আযমের বক্তব্যের ধারাবাহিতায় আলোচ্য বিষয় ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
In stock
10 krআমাদের সমাজের সকল মানুষ এবং ইসলাম সম্পর্কে যাদের সামান্য জ্ঞানও আছে তারা সকলেই জানেন যে, জাতি, ধর্ম , বর্ণ , গোত্র নির্বিশেষে সমাজের সকল মানুষের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা ইসলামী ধর্মবিশ্বাসের অন্যতম প্রেরণা । তাত্ত্বিক , প্রায়োগিক ও ঐতিহাসিকভাবে তা সর্বজনবিদিত । বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সকল মানুষই ধর্মীয়ভাবে শান্তিপ্রিয় । সবাই আমরা শান্তি চাই । এখন সমস্যা হলো, তাহলে ইসলামের নামে বোমাবাজি , অশান্তি , নিরিহ নিরপরাধ মানুষ হত্যা, আত্মহত্যা ইত্যাদি কেন ঘটছে ? এ সকল ঘটনার কারন জানা শুধু কৌতূহল নিবারণের বিষয় নয়, বরং সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায় । সন্ত্রাস একটি ভয়ঙ্কর সামাজিক ব্যাধি । এর নিরাময়ের জন্য এর সঠিক কারন নির্ণয় করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ । সঠিক কারন নির্ণয় এই ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ের পথ সুগম করে । পক্ষান্তরে এর কারন নির্ণয়ে বিভ্রান্তি সমস্যাকে আরো ভয়ঙ্কর করে তুলতে পারে ।
In stock
13 krবাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম ধর্মপ্রাণ । ধর্মীয় বিধি বিধান অনেকেই পুরােপুরি মানতে না পারলেও সকল বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ অটল। কমবেশি পালনের চেষ্টাও অনেকেই করেন। কিন্তু একটি ফরয ইবাদত যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি স্ত ম্ভের অংশ তা বাংলাদেশের ধার্মিক মুসলমানগণও পালন করেন না। ভাবতে বড়ই অবাক লাগে। যে ধার্মিক মুসলিম পাঁচ ওয়াক্ত নামায ছাড়াও সাধ্যমত সুন্নাত ও নফল নামায আদায় করছেন। ফরয রােযা পালন ছাড়াও সাধ্যমত নফল রােযা পালন করছেন। এছাড়া অনেক প্রকার সুন্নাত, নফল, যিকির, দান ও অন্যান্য কাজ করছেন। এমনকি পােশাক-পরিচ্ছদ, ওঠা-বসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আদবও ত্যাগ করতে চান না। এই মুসলিমই কুরআন করীমের স্পষ্ট নির্দেশ, অসংখ্য হাদীসের স্পষ্ট নির্দেশ, সকল মুসলিম উম্মাহর ঐকমত্যের মাধ্যমে ফরয ইবাদত ফসলের যাকাত বা উশর প্রদানের ইবাদত পালন করেন না। বাংলাদেশের প্রায় কোন মুসলিমই ফসলের যাকাত প্রদান করেন না। প্রশ্ন হলাে কেন এই অবাধ্যতা? কেন এই অবহেলা? প্রশ্ন করলে অনেক আলেম বলেন: বাংলাদেশের খারাজী জমিতে উশর প্রদান জরুরী নয়। “খারাজী জমিতে উশর প্রদান জরুরী নয়” কথাটি ইমাম আবু হানীফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মত, তা ঠিক। কিন্তু আমাদের কি দেখা উচিত নয় যে, বাংলাদেশের জমি কোন শ্ৰেণীর? খারাজী না উশরী? আমাদের কি দেখা উচিত নয় যে, আমরা খারাজী জমির খারাজ আদায় করছি কিনা? আমাদের কি একটু দেখা দরকার না, কাকে কি পরিমাণ খারাজ দিলে উশর মাফ হতে পারে? এগুলি কিছুই না দেখে আমাদের চুপ করে থাকাটা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল – এর নির্দেশের প্রতি আমাদের অবহেলারই নামান্তর। মুমিনের মন তাে ছটফট করবে তার উপর অর্পিত ফরয দায়িত্বগুলি পালিত হলাে কিনা তা দেখার জন্য । কেউ যদি তাকে বলে যে, অমুক অবস্থায় নামায না পড়লেও চলবে, তবুও সে ছটফট করবে সত্যিই বিষয়টি ঠিক কিনা? সত্যি হলেও সে চেষ্টা করবে কষ্ট করে হলেও তা আদায় করার। যদি কেউ তাকে বলে যে, অমুক পরিস্থিতিতে রােযা না রাখলেও চলবে, তাহলে তিনি প্রথমে বিষয়টি যাচাই করবেন। এরপরও কষ্ট করে হলেও সময় মত তা পালনের চেষ্টা করবেন। যাকাতের ক্ষেত্রেও কি আমাদের আকুতি একইরূপ হওয়া উচিত নয়? আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেছেন উশরের বিষয়ে, যা থেকে আমার মনে হয়েছে, বাংলাদেশের অনেক মুমিন মনেই যাকাতের ক্ষেত্রে একইরূপ আকুতি আছে। তাদের এই আকুতি সংক্রমিত হয়েছে আমার মধ্যে। সামান্য পড়াশুনার মাধ্যমে যে সত্যটি আমার কাছে ধরা পড়েছে তা হলাে, বাংলাদেশের সকল অথবা অধিকাংশ ভূমি উশরী ভূমি, যার উশর দেওয়া মুমিনের উপর ফরয । কিছু ভূমি খারাজী বলে গণ্য হবে, কিন্তু ফিকহের বিধান অনুসারে তা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। আর যেক্ষেত্রে ভূমির খারাজী হওয়ার বিষয়ে সামান্যতম সন্দেহ থাকবে সেক্ষেত্রেও সেই জমির উশর প্রদান করা ফরয। সর্বোপরি আমরা দেখতে পেয়েছি, বাংলাদেশের কোন জমিরই ইসলামী খারাজ প্রদান করা হয় না। আমরা যারা “খারাজী জমির উশর দিতে হবে ” বলে বাংলাদেশে উশর প্রদান করছি না তাদের অবস্থা হলাে ঐ ব্যক্তির মত যে, “গ্রামে জুমআর নামায হবে না” বলে জুমআর নামায পড়ল না। এরপর আর যােহরও পড়ল না। যদিও উশর বা ফসলের যাকাতই আমাদের মূল আলােচ্য বিষয় তবুও যেহেতু তা যাকাত ব্যবস্থারই অংশ তাই বইটিতে আমি ইসলামে যাকাত ব্যবস্থার গুরুত্ব, যাকাত প্রদানের ফযীলত, যাকাত প্রদান না করার ভয়াবহ পরিণতি ও যাকাত ব্যবস্থার কতিপয় মূলনীতি আলােচনা করেছি। এ বিষয়ক কিছু বাড়াবাড়িও আলােচনা করেছি। বাড়াবাড়ি বুঝাতে পণ্ডিতগণ একটি তুলনামুলক বাক্য ব্যবহার করেন, যেমন “মার্কসের চেয়েও বেশী মার্কসবাদী”। আমরা দেখেছি, আমাদের দেশে বর্তমানে কিছু মুসলিম ইসলাম ধর্ম হৃদয়ঙ্গম করা ও পালনের ক্ষেত্রে “ইসলামের নবীর () চেয়েও বেশী মুসলিম” হতে চান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সার্বিক আদর্শ, শিক্ষা, কর্ম, তাঁর সাহাবীগণের কর্ম ও জীবনপদ্ধতি না জেনে শুধুমাত্র কুরআন করীমের দুই একটি আয়াত বা দুই চারটি হাদীসের সাথে নিজের মনের আবেগ, ব্যক্তিগত বুদ্ধি বা নির্বুদ্ধিতা মিশিয়ে নতুন ইসলাম তৈরী করেন। যাকাতের ক্ষেত্রে এ ধরনের বাড়াবাড়ির মধ্যে রয়েছে দৈনিক যাকাত প্রদান, যাকাতের ক্ষেত্রে নিসাব বা বর্ষপূর্তির শর্ত না মানা, নামাযের মত বাংলাদেশে উশর বা ফসলের যাকাত পুরস্কার, নেক কর্মময় দীর্ঘ জীবন, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বোত্তম সফলতা দান করুন। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ মুস্তাফিজুর রহমান তার মহামূল্যবান সময় ব্যয় করে বইটি পড়ে আমাকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও পরামর্শ প্রদান করেছেন। মহান রাব্বল আলামীন তাকে সর্বোত্তম পুরস্কার ও বরকতম দীর্ঘ জীবন প্রদান করুন ।
In stock
20 krআমাদের সমাজের অধিকাংশ মসজিদ অবহেলিত। যােগ্য ও উচ্চ শিক্ষিত ইমামের চেয়ে সস্তা ও অনুগত ইমাম খোঁজা হয়। তদুপরি মসজিদ কমিটির খগড়ের নিচে বসে ইমাম সাহেব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পান না। তারপরও সমাজের দুর্নীতি, যৌতুক, এসিড, সহিংসতা, মাদকতা, অশ্লীলতা ইত্যাদি রােধে এ সকল অবহেলিত মসজিদগুলির সস্তা ইমামগণ “বিলিয়ন ডলার” প্রকল্পের চেয়ে অনেক বেশি অবদান রাখছেন। মসজিদের মিম্বারগুলিকে সমাজগঠনে সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য আমাদের প্রয়ােজন হলাে: (১) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও জুমুআর সালাতের গুরুত্ব সম্পর্কে জাতীয় সকল প্রচার মাধ্যমে প্রচার চালানাে এবং সকল মুসলিমকে মসজিদমুখি করার চেষ্টা করা। (২) মসজিদের জন্য যােগ্য আলিম ইমাম নিয়ােগের ব্যবস্থা করা। (৩) ইমাগণের চাকুরী স্থানীয় মসজিদ কমিটির উপর ষােলআনা ন্যস্ত না করে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনা। (৪) ইমামগণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। (৫) কুরআন ও সুন্নাহের আলােকে জীবন ও সমাজমুখী খুতবা প্রদানের জন্য প্রয়ােজনীয় তথ্যাদি তাদের সামনে উপস্থাপন করা।
In stock
85 krআপনি কয়জন সিরিয়াল কিলারকে চেনেন? এই জগতের ইতিহাসে ভয়ংকরতম খুনির সাথে কি আপনার দেখা হয়েছে?
‘সানজাক-ই উসমান আপনাকে তার সাথে দেখা করিয়ে দিতে চলেছে। তাকে দেখতে হলে আমাদের উঁকি দিতে হবে আটশো বছর আগের পৃথিবীতে।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতেই মঙ্গোলিয়ান স্তেপ থেকে যেন স্বয়ং আজরাইল হয়ে নেমে এলেন চেঙ্গিজ খান এবং তার মোঙ্গল বাহিনী। মাত্র কুড়ি বছরের ভেতর যেন নরকে পরিণত হলো সারা পৃথিবী। প্রথমে চীন, তারপর তুর্কিস্তান আর খোরাসান হয়ে মোঙ্গলঝড় ধেয়ে এলো ককেশাস, আনাতোলিয়া দিয়ে রাশিয়া আর হিন্দুস্তানের দিকে। মরে সাফ হয়ে গেল কোটি কোটি মানুষ।
মোঙ্গলদের হাত থেকে কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ইরান তুর্কিস্তান থেকে আনাতোলিয়ার দিকে রওনা দিলো কিছু মানুষ।
তারপর কী হলো? কী করে তারা গড়ে তুলল বিশাল এক সালতানাত? মোঙ্গলদের হাত থেকে কারা বাঁচালো মক্কা-মদিনাকে?
এটা কোনো নিয়মিত ইতিহাসের বই বা কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। এটা একই সঙ্গে ইতিহাস, ফিকশন আর থ্রিলার। আজকের পৃথিবী কী করে নির্মাণ হলো, তা জানতে এই বই আপনাকে দারুণ সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ।
In stock
42 krকী আমাদের পরিচয়?
আমরা কারও সন্তান, কারও জীবনসঙ্গী, আবার কেউ আমাদেরই সন্তান। পারিবারিক, সামাজিক, এমনকী আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে এই বন্ধনগুলোই আমাদের নানান পরিচয়ে পরিচিত করে। প্রতিটি পরিচয়ই আমাদের কোনো না কোনো বন্ধনে আবদ্ধ করে। এই বন্ধনগুলোই আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের পরিচয়। এই বন্ধনগুলোই আমাদের প্রত্যেকের জীবনকে সংজ্ঞায়িত করে। জীবনভর এসব বন্ধন নিয়েই তো আসলে এই আমরা।
জীবনের রঙে রঙিন, পার্থিব অথচ অপংত্তেয়, একই সঙ্গে অপার্থিব কিন্তু মায়াবী- এই অদ্ভুত বন্ধনগুলোর নিবিড় খুঁটিনাটি নিয়ে উস্তাদ নোমান আলী খান-এর মূল্যবান কথামালা কালির অক্ষরে জায়গা পেয়েছে ‘বন্ধন’ বইটিতে।
নিজেদের আপন সম্পর্কের মিষ্টতা-তিক্ততার ভাষাগুলোই জড়ো হয়ে বইয়ের পাতায় শব্দ হয়ে ফুঁটেছে ‘বন্ধন’ নামে।
ইসলামি বই
No account yet?
Create an Account