HEY YOU, JOIN US & CONNECT TO BOIPUSTOK!
Learn and gain knowledge about the life stories of sages and celebrities
Out of stock
রমজানের ত্রিশ শিক্ষা
লেখক : এ এন এম সিরাজুল ইসলাম
প্রকাশনী : আহসান পাবলিকেশন
বিষয় : সিয়াম, রমযান, তারাবীহ ও ঈদ, ইবাদত ও আমল
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমনিভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পারো।” [সূরা বাকারাঃ ১৮৩]
বলা হয়ে থাকে রমজান মাস হল বাকি এগারো মাসের জন্য প্রশিক্ষণের মাস। কেননা রমজান মাসে রোযাদার রোযা রাখার মাধ্যমে নিজের কাম, ঋপু, ক্রোধ, হিংসা, অহংকার থেকে বাঁচার শিক্ষা নিয়ে থাকে, যা তার কর্মকে পরিশীলিত ও পরিমার্জিত করে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে সাহায্য করে৷ তাই রমজানের শিক্ষাসমূহের অপূর্ব সন্নিবেশ ঘটেছে “রমজানের তিরিশ শিক্ষা” বইটিতে৷ রমজানের প্রকৃত শিক্ষা অর্জনে গ্রন্থটি সহায়তা দেবে ইনশাআল্লাহ।
In stock
5 krপ্রথমত, বিশুদ্ধভাবে তাওহীদ ও রিসালতের উপর ঈমান আনুন। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগণের আকীদা বা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদা যা ইমাম আবু হানীফার (রহ) “ফিকহুল আকবার”, ইমাম তাহাবীর (রহ) “আকীদায়ে তাহাবীয়া” ও অন্যান্য প্রাচীন ইমামগণের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থসমূহে লিপিবদ্ধ রয়েছে সে অনুসারে নিজেদের আকীদা গঠন করুন। পরবর্তী যুগের বিদ‘আত ও বানোয়াট আকীদা বর্জন করুন। সাথে সাথে সকল প্রকার শিরক, কুফর, বিদ‘আত ও ইলহাদ থেকে আত্মরক্ষা করুন। দ্বিতীয়ত, সকল প্রকার হারাম উপার্জন পরিহার করুন। ফরয ইবাদত বিশুদ্ধভাবে পালন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। সকল কবীরা গোনাহ ও হারাম বর্জন করুন। কোনো মানুষ অথবা প্রাণীর হক বা অধিকার নষ্ট করা বা ক্ষতি করা বিষবৎ পরিত্যাগ করুন। তৃতীয়ত, মনকে হিংসা, ঘৃণা, বিদ্বেষ, অহংকার, আত্মতৃপ্তি, জাগতিক সম্মান, প্রতিপত্তি বা টাকা-পয়সার লোভ থেকে যথাসম্ভব পবিত্র রাখার জন্য সর্বদা সতর্কতার সাথে চেষ্টা করুন। এজন্য সর্বদা আল্লাহর দরবারে তাওফীক চেয়ে কাতরভাবে দু‘আ করুন। প্রয়োজন ছাড়া মানুষের সাথে হাসি তামাশা বা গল্পগুজব যথাসম্ভব কম করুন। চতুর্থত, নফল ইবাদত বেশি বেশি পালনের চেষ্টা করুন। মানুষের সেবা, উপকার ও সাহায্য জাতীয় কাজ যথাসম্ভব বেশি করুন। নফল সালাত যথাসম্ভব বেশি আদায়ের চেষ্টা করবেন। বিশেষত তাহাজ্জুদ, ইশরাক ও মাগরিবের পরে কিছু নফল সালাত (আওয়াবীন নামে পরিচিত) সর্বদা পালন করবেন।
In stock
5 krঅনেক দ্বীনদার মানুষ চান সংক্ষিপ্তাকারে কিছু মাসনূন যিকির ও দুআর একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ, যা সবসময় নিজের সাথে বহন করা যাবে। তাদের আগ্রহ ও চাহিদার দিক বিবেচনা করেই মূলত সংক্ষিপ্ত এ পুস্তিকাটি সঙ্কলন করা হয়েছে। এই পুস্তিকার সকল তথ্য ও ‘রাহে বেলায়াত’ এবং ‘সহীহ মাসনূন ওযীফা’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। উক্ত গ্রন্থগুলোর পাদটীকায় গ্রন্থকার বিস্তারিত তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছেন। সংক্ষেপণের উদ্দেশ্যে আমরা শুধু দুয়েকটি কিতাবের নাম ও শামিলায় প্রদত্ত হাদীস নাম্বার উল্লেখ করেছি। আগ্রহী পাঠককে লেখকের মূলগ্রন্থ থেকে বিস্তারিত তথ্য দেখে নেবার অনুরোধ করছি।
সংক্ষিপ্ত এ পুস্তিকায় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পরবর্তী এবং সকাল-সন্ধ্যার মাসনূন যিকরসহ একজন মুমিনের ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত দৈনন্দিন পালনীয় কিছু মাসনূন যিকর ও দুআ সঙ্কলন করা হয়েছে। এছাড়া পুস্তিকার শুরুতে সংক্ষেপে যিকরের পরিচয়, গুরুত্ব ও ফযীলত তুলে ধরা হয়েছে।
In stock
5 krআলহামদুলিল্লাহ, প্রফেসর ড. খােন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ রচিত, কুরআন ও সুন্নাহর আলােকে জামাআত ও ঐক্য লেখাটি পড়লাম। বাস্তবে উম্মতের ঐক্যের জন্য যে মানুষটি তাঁর সারাটি জীবন ব্যয় করেছেন, জীবনের সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা যার এ কেন্দ্রিক নিবদ্ধ থাকতাে, ঐক্যের প্রতীক হিসেবে যাকে সকল নিষ্ঠাবান মানুষই স্বীকার করে, তার পক্ষেই এরকম একটি গ্রন্থ লেখা সম্ভব। তিনি কুরআন ও সুন্নাহর আলােকে উম্মতের ঐক্যের গুরুত্ব, প্রয়ােজনীয়তা, অনৈক্যের বিধান ও এর বিবিধ অপকারিতা তুলে ধরেছেন। ইখতিলাফ ও ইফতেরাকের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার মাধ্যমে উম্মতের ঐক্যের সূত্র দেখিয়ে দিয়েছেন। তার কথা অনুযায়ীই বলতে হয়, ইখতিলাফের ভিত্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইলম বা জ্ঞান ও দলিল। আর ইফতিরাকের ভিত্তি সর্বদাই ব্যক্তিগত পছন্দ বা প্রবৃত্তির অনুসরণ, জিদ এবং ইখলাসের অনুপস্থিতি। আরও বলেছেন, ইলম, ইখলাস, ইসলামী ভ্রাতৃত্ববােধ ও ভালােবাসার সাথে ইখতিলাফ থাকতে পারে কিন্তু এগুলাের সাথে ইফতিরাক থাকতে পারে না। এগুলাের অনুপস্থিতিতেই ইফতিরাক জন্ম নেয়। তার এ কথা অনুযায়ী আমরা বলতে পারি, উম্মতের ইমামগণের মাঝে অনুষ্ঠিত মাসআলা-মাসায়েলজনিত মতভেদের কারণে আমাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকতে হবে সেটা কখনাে ঠিক নয়। সাহাবায়ে কিরামের মাঝে আমলী মাসআলাগুলােতে প্রচুর মতভেদ ছিল, যারা সালাফে সালেহীনের ফিকহ অধ্যয়ন করবে তাদের কাছে সেটা দিবালােকের মত স্পষ্ট হয়ে দেখা দিবে। ইমামগণের মধ্যে প্রচুর আমলী মাসআলায় মতান্তর ছিল কিন্তু তাদের মনে পরস্পরের প্রতি কোনাে বিদ্বেষ ছিল বলে কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। তাঁরা ইলমী মতভেদ করেছেন কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই একে অপরকে খারাপ বলেছেন কেউ দেখাতে পারবে না। ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ ও তাঁর ছাত্রদের মাঝে এক তৃতীয়াংশের অধিক মাসআলায় মতভেদ হওয়া সত্বেও তাদের কেউ অপরের বিরুদ্ধে বিষােদগার তাে দূরের কথা পরস্পরকে সারা জীবন ভালােবেসেই চলে গেছেন। ইমাম মালেককে তার ছাত্র শাফেঈ সম্মান করতেন, ইমাম শাফেঈকে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল কদর করে কথা বলতেন। কিন্তু তাদের মাঝে মতভেদপূর্ণ অসংখ্য মাসআলা ছিল। তাই তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও আমাদের সমাজে ইলমী মতভেদ থাকার পরেও আমরা মৌলিক আকীদা ও মানহাজের ক্ষেত্রে এক হতে পারি। ইফতিক তথা অনৈক্যের কারণগুলাে খুজে সেগুলাে থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারে। বর্তমান কালে আমাদের ঐক্যের পথপ্রদর্শক আমাদের জন্য এ গ্রন্থটি লিখে যেন আমাদেরকে সে পথেরই দিশা দিলেন। আল্লাহ তা’আলার কাছে দো’আ করি তিনি যেন তাঁর এ আমলকে কবুল করেন এবং তাঁর নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দেন আর উম্মতে মুসলিমাহ বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষি মুসলিমদের মাঝে সঠিক পথে ঐক্য তৈরী করে দিন। আমীন।
In stock
6 krবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, নাহমাদুহু ওয়া সাল্লী আলা রাসূলিহীল কারীম। আম্মা বাদ, রাসূলুল্লাহ এমন নবী, মানব জাতির সৃষ্টির শুরুতেই যার মর্যাদার কথা লিপিবদ্ধ হয়েছিল মহান রবের দরবারে। ইবরাহীম (আ) এর দোয়ার বাস্তবায়নে ইসমাঈল (আ) এর বংশে আরবে শ্রেষ্ঠতম কুরাইশ বংশে রাসূলুল্লাহ 4 জন্মগ্রহণ করেন। সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, তিনি সােমবার জন্মগ্রহণ করেন। আবু কাতাদা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ কে সােমবার দিন রােযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন “এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমি নবুয়্যত পেয়েছি।” রাসূলুল্লাহ সঃ এর জন্ম নিঃসন্দেহে উম্মাতের জন্য মহা আনন্দের বিষয়। তবে এ আনন্দ প্রকাশ যদি রাসূলুল্লাহ : ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে হয় তাহলে তাতে সাওয়াব হবে। রাসূলুল্লাহ * এর মীলাদ বা জন্মে আমাদের আনন্দ রাসূলুল্লাহ ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে করতে পারলে আমরা এতে অফুরন্ত সাওয়াব ও বরকত লাভ করতে পারব। মীলাদ পালনের সুন্নাত পদ্ধতি হলাে প্রতি সােমবার সিয়াম পালনের মাধ্যমে। আল্লাহর দবরারে শুকরিয়া জানানাে । রাসূলুল্লাহ ঃ নিজে আমাদের এ পদ্ধতি শিখিয়েছেন। এ ছাড়া আমরা দেখেছি যে, মূসা (আ) ও পরবর্তীকালে রাসূলুল্লাহ আশূরার দিন সিয়াম পালন করেছেন। রাসূলুল্লাহ এর মীলাদ বা জন্মে আনন্দ প্রকাশের দ্বিতীয় সুন্নাত পদ্ধতি হলাে সর্বদা তাঁর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা । তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন আমরা জীবন বিলিয়ে দিলেও তার সামান্যতম প্রতিদান দিতে পারব না, কারণ আমরা হয়ত আমাদের পার্থিব সংক্ষিপ্ত জীবনটা বিলিয়ে দিলাম, কিন্তু তিনি তাে আমাদের পার্থিব ও পারলৌকিক অনন্ত জীবনের সফলতার পথ দেখাতে তাঁর মহান জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাই রাসূলুল্লাহ , এর প্রতি আমাদের নূন্যতম দায়িত্ব যে আমরা সর্বদা তাঁর জন্য সালাত ও সালাম পাঠ করব। আল্লাহর যি ও সালাত সালামের জন্য ওযু করা শর্ত নয়, তবে তা উত্তম। বসে, শুয়ে, দাঁড়িয়ে, হাঁটতে হাঁটতে, ওযুসহ বা ওযুছাড়া সর্বাবস্থায় সালাতসালাম পাঠ করতে হবে। বিভিন্ন সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, একবার সালাত পাঠ করলে বান্দা নিম্নের সাত প্রকার পুরস্কার লাভ করে: একবার দরুদ পাঠ করলে
(১) মহান আল্লাহ দরুদ পাঠকারীর দশটি গােনাহ ক্ষমা করেন।
(২) দশটি সাওয়াব দান করেন
(৩) দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন
(৪) দশটি রহমত দান করেন
(৫) ফিরিশতাগণ তার জন্য দুআ করতে থাকেন।
(৬) ফিরিশতাগণ পাঠকারীর নাম ও তার পিতার নামসহ তার সালাত রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পবিত্র রাওয়ায় পৌছে দেন।
(৭) তিনি নিজে এবার সালাত পাঠকারীর জন্য ১০ বার দুআ করেন। বেশি বেশি সালাত পাঠকারীর জন্য রয়েছে অতিরিক্ত দুটি পুরস্কার: প্রথমত আল্লাহ তার সমস্যা ও দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দিবেন এবং দ্বিতীয়ত: রাসূলুল্লাহ সাঃ এর শাফায়াত তাঁর পাওনা হবে।সালাতের সাথে সাথে সালাম পাঠ করতে হবে। তাঁর উপর সালাম পাঠ করলে, স্বয়ং আল্লাহ সালাম পাঠকারীকে সালাম প্রদান করেন, সালাম রাসূলুল্লাহ এর রাওযা মুবারাকায় ফিরিশতাগণ পৌছে দেন এবং তিনি সালামের উত্তর প্রদান করেন। রাসূলুল্লাহ ও এর আগমনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্যতম দিক হলাে তাঁর মহান শিক্ষা ও পবিত্রতম চরিত্রের কথা বিশ্ববাসীকে জানানাে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর প্রতি ঈমান এনে, তাঁর শরীয়ত মােতাবেক জীবন গঠন করে, তার সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করে, সদা সর্বদা তাঁর উপর দরুদ সালাম পাঠ করে, সাধ্যমত বেশি বেশি তার জীবনী ও হাদীস পাঠ করে ও শ্রবণ করে নিজেদের জন্য নতুন জীবনের নতুন জন্ম লাভ করা। এই তাে হলাে সর্বোচ্চ সফলতা। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফীক প্রদান করুন। আমীন।
In stock
6 krআমরা ইসমাঈল (আ), ইবরাহীম (আ) বা অন্য কারো স্মৃতির প্রতি সম্মানার্থে, স্মৃতি বা রীতি পালনে “কুরবানি” করি না। হজ্জ ও কুরবানির ঘটনার সাথে ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) এর স্মৃতি বিজড়িত। কিন্তু আমরা তাঁদের স্মৃতির জন্য এ সকল ইবাদত পালন করি না। আমরা মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য কুরবানি করি। মহান আল্লাহ বলেছেন: “অতএব তুমি তোমার রবের জন্য সালাত আদায় কর এবং কুরবানি কর।” (সূরা (১০২) কাউসার: ২ আয়াত) আমরা রাসূলুল্লাহ (স.) এর সুন্নাত অনুসরণে এগুলি পালন করি। তিনি এগুলি পালন, অনুমোদন ও বিধিবদ্ধ করেছেন বলেই আমরা তা পালন করি। ইবরাহীম (আ) এর সবচেয়ে প্রসিদ্ধ স্মৃতি-বিজড়িত বস্তু “মাকাম ইবরাহীম”। কুরআনে মাকামে ইবরাহীমকে সুস্পষ্ট আয়াত বা মুজিযা ও নিদর্শন বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা কেউ মাকামে ইবরাহীম চুম্বন করি না, বরং “হাজারে আসওয়াদ” চুম্বন করি। কারণ রাসূলুল্লাহ (স.) এরূপই করেছেন। কুরবানী সম্পর্কি তথ্যবহুল আলোচনা রয়েছে এই বইটিতে…
In stock
7 kr“রামাদানের সওগাত” বইয়ের ভূমিকার লেখা:
“খুতবাতুল ইসলাম” বইটির মাঝে লেখক জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদী সম্মন্ধে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন। কিন্তু বইটির মূল্যের কারণে অনেক আগ্রহী মানুষ শুধুমাত্র রমদ্বান ও রােযা সম্মন্ধে একটি বই চায়। তাই অগণিত পাঠকের চাহিদা মেটাতে শুধুমাত্র রােজার বই হিসেবে “খুতবাতুল ইসলাম” বইটি থেকে রমদ্বান সংশ্লিষ্ট ৫টি খুতবার আলােচনা আলাদা করে একটি বই আকারে শাহরু রমাদ্বান নামে প্রকাশ করা হলাে।
In stock
8 kr“কোরআন ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পর্দা” বইটির কিছু কথাঃ
পর্দা শব্দটি মূলতঃ ফার্সী। যার অর্থ আবরণ বা ঢাকনা। আরবী ভাষায় বলে হিজাব। পবিত্র কালামে একাধিক সূরাও রয়েছে তাতে পর্দা সংক্রান্ত | বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে। আমরা অনেকে পদা বলতে অবরােধ প্রথা বা নারীকে চার দেয়ালের ভিতর গৃহবন্দী করে রাখা বুঝি। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে পর্দা হচ্ছে পােষাক ও আচরণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ জীবন গঠন করা। | বর্তমান যুগে পদা একটি সামাজিক ভদ্রতার প্রতীক ও আভিজাত্যের পরিচায়ক। সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি বহুল আলােচিত বিষয়, যা এক শ্রেণীর লােকের নিকট অত্যন্ত মর্যাদার বিষয় বস্তু। তারা চান মানুষ পর্দার মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান মেনে পশুত্বকে বাদ দিয়ে সৃষ্টর সেরা হিসাবে বেচে থাক। অবহমানকালের এ চিররীতি বজায় রেখে সমাজ জীবনের ভীতকে মজবুত করুক। পারিবারিক বন্ধনকে করুক আরও সু-দৃঢ়।
আরেক শ্রেণীর লােকের নিকট এটি একটি সমালােচনার বিষয়। তাদের ভাষায়, সেকেলের গােড়ামী চিরতরে বন্ধ হােক। এটি সকল প্রকার প্রগতি ও উন্নতির অন্তরায়, তাই একে সমাজের সর্বস্তর থেকে বাদ দিতে হবে। পর্দার দ্বারা মানুষের স্বহজাত ধর্মে আঘাত করা হয়, তাই তারা প্রকৃতির সন্তান হিসাবে বেঁচে থাকতে চান । যথেচ্ছা যৌনাচার, বিজ্ঞাপনে নারীর মাংসল দেহ প্রদর্শনী, সর্বত্র নারীকে ভােগের সামগ্রী বানিয়ে তাদের দ্বারা ফায়দা লুটতে চায়।
পর্দার মূল কথা হচ্ছে, পর পুরুষের সামনে নারীদের রূপ লাবণ্য প্রকাশ না করা । এমনিভাবে পুরুষদের জন্যও পর্দা সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। পর্দার বহু অর্থ হতে পারে, কেবল বাহ্যিক পর্দাই যে সীমাবদ্ধ তা নয় বরং মনের পর্দাও একটি বিরাট স্থান দখল করে আছে। এমনিভাবে কথা, কাজ, বাচন ভঙ্গি, দৃষ্টি, আচার। আচরণ, মােটকথা সব কিছুতেই ক্ষেত্র বিশেষ পর্দার বিধান প্রযােজ্য। এমনিভাবে মুহরিমদের সাথে এক রকম পর্দা ও গায়রে মুহরিমদের সাথে আরেক রকম পদার বিধান রয়েছে। নিজের মাতা, স্ত্রী, বােন, ভাই, বন্ধু, পিতা, পরিচিত, অপরিচিত সর্ব ক্ষেত্রে পর্দা করার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। আরবীতে পদাকে হিজাব বলে আখ্যায়িত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে হিজাব গ্রহণ করার পরও মা-বােনেরা বেপর্দা থেকে যায়।
In stock
10 krআমাদের সমাজের সকল মানুষ এবং ইসলাম সম্পর্কে যাদের সামান্য জ্ঞানও আছে তারা সকলেই জানেন যে, জাতি, ধর্ম , বর্ণ , গোত্র নির্বিশেষে সমাজের সকল মানুষের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা ইসলামী ধর্মবিশ্বাসের অন্যতম প্রেরণা । তাত্ত্বিক , প্রায়োগিক ও ঐতিহাসিকভাবে তা সর্বজনবিদিত । বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সকল মানুষই ধর্মীয়ভাবে শান্তিপ্রিয় । সবাই আমরা শান্তি চাই । এখন সমস্যা হলো, তাহলে ইসলামের নামে বোমাবাজি , অশান্তি , নিরিহ নিরপরাধ মানুষ হত্যা, আত্মহত্যা ইত্যাদি কেন ঘটছে ? এ সকল ঘটনার কারন জানা শুধু কৌতূহল নিবারণের বিষয় নয়, বরং সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায় । সন্ত্রাস একটি ভয়ঙ্কর সামাজিক ব্যাধি । এর নিরাময়ের জন্য এর সঠিক কারন নির্ণয় করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ । সঠিক কারন নির্ণয় এই ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ের পথ সুগম করে । পক্ষান্তরে এর কারন নির্ণয়ে বিভ্রান্তি সমস্যাকে আরো ভয়ঙ্কর করে তুলতে পারে ।
In stock
10 kr‘‘আল্লাহর পথে দাওয়াত’’বই এর ভূমিকা:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আল-হামদু লিল্লাহ। ওয়া সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ। ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন।
আল্লাহর পথে আহ্বান করতেই নবী-রাসূলগণের (আ) আগমন। মুমিনের জীবনের অন্যতম দায়িত্ব এই দা’ওয়াত। কুরআন কারীমে এ দায়িত্বকে কখনো দা’ওয়াত, কখনো সঙ্কার্যে আদেশ ও অসৎকার্যে নিষেধ, কখনো প্রচার, কখনো নসীহত ও কখনো দীন প্রতিষ্ঠা বলে অভিহিত করা হয়েছে।
করআন ও হাদীসের আলোকে এ কাজের গুরুত, এর বিধান, পুরস্কার, এ দায়িত্ব পালনে অবহেলার শাস্তি, এ কর্মে অংশগ্রহণের শর্তাবলী ও এর জন্য আবশ্যকীয় গুণাবলী আলোচনা করেছি এই পুস্তিকাটিতে। এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তি, যেমন বিভিন্ন অজুহাতে এ দায়িত্বে অবহেলা, ফলাফলের ব্যস্ততা বা জাগতিক ফলাফল ভিত্তিক সফলতা বিচার, এ দায়িত্ব পালনে কঠোরতা ও উগ্রতা, আদেশ, নিষেধ বা দা’ওয়াত এবং বিচার ও শাস্তির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়, আদেশ, নিষেধ বা দা’ওয়াত এবং গীবত ও দোষ অনুসন্ধানের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করেছি। সবশেষে এ ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে সুন্নাতে নববী এবং এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তির কথা আলোচনা করেছি। হাদীসের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সহীহ বা নির্ভরযোগ্য হাদীসের উপর নির্ভর করার চেষ্টা করেছি। মুহাদ্দিসগণ অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষার মাধ্যমে হাদীসের বিশুদ্ধতা ও দুর্বলতা নির্ধারণ করেছেন, যে নিরীক্ষা-পদ্ধতি বিশ্বের যে কোনো বিচারালয়ের সাক্ষ্য-প্রমাণের নিরীক্ষার চেয়েও বেশি সুক্ষ্ম ও চুলচেরা । এর ভিত্তিতে যে সকল হাদীস সহীহ বা হাসান অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছে আমি আমার আলোচনায় শুধুমাত্র সে হাদীসগুলিই উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। অতি নগন্য এ প্রচেষ্টাটুকু যদি কোনো আগ্রহী মুমিনকে উপকৃত করে তবে তা আমরা বড় পাওয়া। কোনো সহৃদয় পাঠক দয়া করে পুস্তিকাটির বিষয়ে সমালোচনা, মতামত, সংশোধনী বা পরামর্শ প্রদান করলে তা লেখকের প্রতি তাঁর এহসান ও অনুগ্রহ বলে গণ্য হবে।
In stock
10 krবলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ)। ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ; সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ। প্রতিটি নফল ইবাদতের জন্য তাজা অজু বা নতুন অজু করা মোস্তাহাব।
Out of stock
10 krমুমিনের জীবনের অন্যতম ইবাদত দু’আ বা মুনাজাত। আমরা সকলেই কোনো না কোনোভাবে মুনাজাত করি। মুনাজাতের কয়েকটি পর্যায় রয়েছে:
প্রথমত, দুআ-মুনাজাত’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। অন্য কোনো দলিল দ্বারা নিষিদ্ধ নয় এমন যে কোনো ভাষায়, যে কোনো সময়ে এবং যে কোনো অবস্থায় মুমিন আল্লাহর নিকট মুনাজাত করতে পারেন । এতে দু’আর মূল ইবাদত পালিত হবে এবং বান্দা সাওয়াব ও পুরস্কারের আশা করবেন।
দ্বিতীয়ত, রাসূলুল্লাহ (আঃ)-এর শেখানো কথা দ্বারা মুনাজাত করলে মুমিন মাসনূন বাক্য ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত সাওয়াব লাভ করবেন। এ ছাড়া মাসনূন বাক্য ব্যবহারের মাধ্যমে মুমিন অতিরিক্ত বরকত ও মহব্বত লাভ করবেন এবং দোয়া কবুল হওয়ার বেশি আশা করতে পারবেন।
তৃতীয়ত, মাসনূন মুনাজাতগুলির বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। কিছু মুনাজাত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন বা পালন করেছেন নির্ধারিত সময়ে বা নির্ধারিত পদ্ধতিতে। আবার কিছু মুনাজাত তিনি সাধারণভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। মুমিন যে কোনো মাসনূন মুনাজাত যে কোনো সময়ে আদায় করতে পারেন। এতে মাসনুন মুনাজাত ব্যবহারের সাওয়াব ও বরকত লাভ করবেন। আর নির্ধারিত সময়ের নির্ধরিত মুনাজাত ব্যবহার করলে অতিরিক্ত সুন্নাত পালনের মর্যাদা লাভ করবেন।
চতুর্থত, মুনাজাতের পদ্ধতির ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (আঃ)-এর অনুসরণ করতে পারলে মুমিন মাসনূন পদ্ধতি পালনের অতিরিক্ত সাওয়াব, বরকত ও কবুলিয়্যাত লাভ করবেন।
পঞ্চমত, দুআ-মুনাজাত করার বিশেষ বিশেষ সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন। সেগুলির অন্যতম হলো নামায। তিনি নামাযের মধ্যে ও পরে বিশেষভাবে দুআ-মুনাজাত করেছেন এবং করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাতে বা অন্যান্য সময়ে দুআ-মুনাজাত করার সুযোগ অনেকেরই হয় না। পক্ষান্তরে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আমরা সকলেই আদায় করি। এ সময়ের মাসনূন মুনাজাতগুলি আদায় করা আমাদের জন্য সহজ এবং এভাবে আমরা বিশেষ সাওয়াব, ফযীলত ও কবুলিয়ত লাভ করতে পারব, ইনশা আল্লাহ…..
ইসলামি বই
No account yet?
Create an Account