Home » ইসলামি বই

Showing 1–24 of 25 results

Product Categories

A wonan from Desert

In stock

20 kr

যারা হেদায়াতের পথে চলতে চায় তাদেরকে এই বইটি অনুপ্রাণিত এবং উদ্বুদ্ধ করতে পারে, বিশেষ করে নারীদের। এই বইটিতে অত্যন্ত বলিষ্ঠ্যভাবে উম্মু সুলাইম রাদিয়াল্লাহু আনহার দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা, ধৈর্য
এবং সাহস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

Ordered:1
Items available:9
Add to cart

জামায়াত ও ঐক্য

In stock

kr

আলহামদুলিল্লাহ, প্রফেসর ড. খােন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ রচিত, কুরআন ও সুন্নাহর আলােকে জামাআত ও ঐক্য লেখাটি পড়লাম। বাস্তবে উম্মতের ঐক্যের জন্য যে মানুষটি তাঁর সারাটি জীবন ব্যয় করেছেন, জীবনের সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা যার এ কেন্দ্রিক নিবদ্ধ থাকতাে, ঐক্যের প্রতীক হিসেবে যাকে সকল নিষ্ঠাবান মানুষই স্বীকার করে, তার পক্ষেই এরকম একটি গ্রন্থ লেখা সম্ভব। তিনি কুরআন ও সুন্নাহর আলােকে উম্মতের ঐক্যের গুরুত্ব, প্রয়ােজনীয়তা, অনৈক্যের বিধান ও এর বিবিধ অপকারিতা তুলে ধরেছেন। ইখতিলাফ ও ইফতেরাকের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার মাধ্যমে উম্মতের ঐক্যের সূত্র দেখিয়ে দিয়েছেন। তার কথা অনুযায়ীই বলতে হয়, ইখতিলাফের ভিত্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইলম বা জ্ঞান ও দলিল। আর ইফতিরাকের ভিত্তি সর্বদাই ব্যক্তিগত পছন্দ বা প্রবৃত্তির অনুসরণ, জিদ এবং ইখলাসের অনুপস্থিতি। আরও বলেছেন, ইলম, ইখলাস, ইসলামী ভ্রাতৃত্ববােধ ও ভালােবাসার সাথে ইখতিলাফ থাকতে পারে কিন্তু এগুলাের সাথে ইফতিরাক থাকতে পারে না। এগুলাের অনুপস্থিতিতেই ইফতিরাক জন্ম নেয়। তার এ কথা অনুযায়ী আমরা বলতে পারি, উম্মতের ইমামগণের মাঝে অনুষ্ঠিত মাসআলা-মাসায়েলজনিত মতভেদের কারণে আমাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকতে হবে সেটা কখনাে ঠিক নয়। সাহাবায়ে কিরামের মাঝে আমলী মাসআলাগুলােতে প্রচুর মতভেদ ছিল, যারা সালাফে সালেহীনের ফিকহ অধ্যয়ন করবে তাদের কাছে সেটা দিবালােকের মত স্পষ্ট হয়ে দেখা দিবে। ইমামগণের মধ্যে প্রচুর আমলী মাসআলায় মতান্তর ছিল কিন্তু তাদের মনে পরস্পরের প্রতি কোনাে বিদ্বেষ ছিল বলে কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। তাঁরা ইলমী মতভেদ করেছেন কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই একে অপরকে খারাপ বলেছেন কেউ দেখাতে পারবে না। ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ ও তাঁর ছাত্রদের মাঝে এক তৃতীয়াংশের অধিক মাসআলায় মতভেদ হওয়া সত্বেও তাদের কেউ অপরের বিরুদ্ধে বিষােদগার তাে দূরের কথা পরস্পরকে সারা জীবন ভালােবেসেই চলে গেছেন। ইমাম মালেককে তার ছাত্র শাফেঈ সম্মান করতেন, ইমাম শাফেঈকে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল কদর করে কথা বলতেন। কিন্তু তাদের মাঝে মতভেদপূর্ণ অসংখ্য মাসআলা ছিল। তাই তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও আমাদের সমাজে ইলমী মতভেদ থাকার পরেও আমরা মৌলিক আকীদা ও মানহাজের ক্ষেত্রে এক হতে পারি। ইফতিক তথা অনৈক্যের কারণগুলাে খুজে সেগুলাে থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারে। বর্তমান কালে আমাদের ঐক্যের পথপ্রদর্শক আমাদের জন্য এ গ্রন্থটি লিখে যেন আমাদেরকে সে পথেরই দিশা দিলেন। আল্লাহ তা’আলার কাছে দো’আ করি তিনি যেন তাঁর এ আমলকে কবুল করেন এবং তাঁর নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দেন আর উম্মতে মুসলিমাহ বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষি মুসলিমদের মাঝে সঠিক পথে ঐক্য তৈরী করে দিন। আমীন।

Ordered:1
Items available:29
Add to cart

জিজ্ঞাসা ও জবাব (৫ম খন্ড)

In stock

30 kr

সকল প্রশংসা মহান দয়াময় আল্লাহর নিমিত্ত। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ. যে দরদ ও কল্যাণেচ্ছা নিয়ে দাওয়াতের ময়দানে ছুটে বেড়িয়েছেন এবং উম্মাতের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার জবাব দিয়েছেন, আমাদের আশা, মহান আল্লাহ তাঁর এ প্রশ্নোত্তর সঙ্কলনকেও সমাদৃত, উপকারী ও দীর্ঘস্থায়ী করবেন।
তাঁর জীবদ্দশায় বিভিন্ন মাহফিলে ও টিভি চ্যানেলে বহু মানুষের যুগজিজ্ঞাসার জবাব কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে প্রদান করেছেন। তিনি আপনাদের জিজ্ঞাসার জবাব আর মুখভরা হাসি নিয়ে আপনাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন আপনারা ছিলেন শ্রোতা আর এখন পাঠক। বিভিন্ন ভিডিও ক্যাসেট, টিভি চ্যানেল ও ইউটিউবে থাকা তাঁর প্রশ্নোত্তরমালা সংগ্রহ করে ‘জিজ্ঞাসা ও জবাব’ নামে সিরিজ আকারে আস সুন্নাহ পাবলিকেশন্স প্রকাশ করছে।

Ordered:0
Items available:10
Add to cart

জিজ্ঞাসা ও জবাব (৪র্থ খন্ড)

In stock

30 kr

প্রশংসা আল্লাহর এবং সালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ , তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবিদের উপর।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর জীবদ্দশায় বিভিন্ন মাহফিলে ও টিভি চ্যানেলে বহু মানুষের যুগ জিজ্ঞাসার জবাব কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে প্রদান করেছেন। তাঁর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল যে, তিনি মাহফিলগুলাে ভিডিও ক্যাসেটবদ্ধ করতেন। ফলে তাঁর প্রশ্নোত্তর ও বক্তৃতা যেমন সংরক্ষিত রয়েছে; তেমনি তা সংযোজন ও বিয়োজনের হাত থেকেও রক্ষা পেয়েছে।
তিনি তাঁর মৌলিক রচনাগুলাে যেমন তথ্যনির্ভর করে সাজিয়ে গেছেন, তেমনি তাঁর যুগ জিজ্ঞাসার জবাবগুলােও কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলােকে প্রদান করে গেছেন। বর্তমান জটিল জীবনধারায় তাঁর প্রদত্ত বহু জিজ্ঞাসার জবাব মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলকে ইসলামের আলাের পথ দেখাবে বলে আমরা আশা রাখি। বিভিন্ন ভিডিও ক্যাসেট, টিভি চ্যানেল ও ইউটিউবে থাকা তার প্রশ্নোত্তরমালা সংগ্রহ করে ‘জিজ্ঞাসা ও জবাব’ নামে সিরিজ আকারে আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স তা প্রকাশ করছে বলে আমরা মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই। মহান আল্লাহ যেন লেখকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম জাযা প্রদান করেন এবং লেখকের রচনাগুলােকে তার জন্য কবুল করেন।
পরিশেষে সকলের নিকট দুআ কামনা করি।

Ordered:0
Items available:10
Add to cart

জিজ্ঞাসা ও জবাব (৩য় খন্ড)

In stock

25 kr

“জিজ্ঞাসা ও জবাব (৩য় খণ্ড)”বইটির প্রথম ফ্লাপের কিছু কথা:
ড. খােন্দকার আ. ন. ম. আব্দুল্লাহ। জন্ম: ঝিনাইদহ জেলায় ১৯৫৮ সালে। মৃত্যু: ১১ই মে ২০১৬।
পিতা মরহুম খােন্দকার আনােয়ারুজ্জামান। মাতা বেগম লুন্নাহার। ঝিনাইদহ আলিয়া মাদ্রাসায় ফাজিল পর্যন্ত অধ্যয়নের পর ১৯৭৯ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে প্রথম শ্রেণীতে অষ্টম স্থান অধিকার করে হাদীস বিষয়ে কামিল পাশ করেন। সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬, ১৯৯২ ও ১৯৯৮ সালে যথাক্রমে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পি-এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশ ও বিদেশে যে সকল প্রসিদ্ধ আলিমের কাছে তিনি পড়াশােনা ও সাহচর্য গ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খতীব মাওলানা ওবাইদুল হক (রাহ.), মাওলানা মিয়া মােহাম্মাদ কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আনােয়ারুল হক কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আব্দুল বারী সিলেটী (রাহ.), মাওলানা ড. আইউব আলী (রাহ.), মাওলানা আব্দুর রহীম (রাহ.), আল্লামা শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল আযীয ইবন বায (রাহ.), আল্লামা আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন (রাহ.), আল্লামা মুহাম্মাদ ইবন সালিহ ইবন মুহাম্মাদ আল-উসাইমীন (রাহ.), শাইখ সালিহ ইবন আব্দুল আযীয আল শাইখ, শাইখ সালিহ ইবন ফাওযান ইবন আব্দুল্লাহ আল ফাওযান।
কর্ম জীবনে তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদীস বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সালের ১১ই মে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করার আগ পর্যন্ত তিনি উক্ত বিভাগে অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন।
দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বাংলা ইংরেজী ও আরবি ভাষায় তাঁর প্রায় অর্ধশত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গবেষণামূলক গ্রন্থের সংখ্যা ত্রিশের অধিক।
গবেষণা কর্মের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবােধের সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ের লক্ষ্যে ১৯৯৮ খৃষ্টাব্দে তিনি ‘আল ফারুক একাডেমী’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞান ও মূল্যবােধ প্রচার ও মানব সেবার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে ‘আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট’ নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১২ TIGT Education and Charity Foundation Jhenaidah নামে একটি শিক্ষা ও সমাজ সেবাসংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ সকল প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রচার, ধর্ম প্রচার, দুস্থ নারী ও শিশুদের সেবা ও পুনর্বাসনে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।

Ordered:0
Items available:10
Add to cart

জিজ্ঞাসা ও জবাব (২য় খন্ড)

In stock

35 kr

‘জিজ্ঞাসা ও জবাব (২য় খন্ড)’ বইটির লেখক পরিচিতিঃ
ড. খোন্দকার আ. ন. ম. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) জন্ম: ঝিনাইদহ জেলায় ১৯৫৮ সালে। মৃত্যু: ১১ই মে ২০১৬। পিতা মরহুম খোন্দকার আনোয়ারুজ্জামান। মাতা বেগম লুৎফন্নাহার।
ঝিনাইদহ আলিয়া মাদ্রাসায় ফাজিল পর্যন্ত অধ্যয়নের পর ১৯৭৯ সালে। ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে প্রথম শ্রেণীতে অষ্টম স্থান অধিকার করে হাদীস বিষয়ে কামিল পাশ করেন। সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬, ১৯৯২ ও ১৯৯৮ সালে যথাক্রমে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পি-এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশ ও বিদেশে যে সকল প্রসিদ্ধ আলিমের কাছে তিনি। পড়াশোনা ও সাহচর্য গ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খতীব মাওলানা ওবাইদুল হক (রাহ.), মাওলানা মিয়া মোহাম্মাদ কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আনোয়ারুল হক কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আব্দুল বারী সিলেটী (রাহ.), মাওলানা ড. আইউব আলী (রাহ.), মাওলানা আব্দুর রহীম (রাহ.), আল্লামা শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল আযীয ইবন বায (রাহ.), আল্লামা আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন (রাহ.), আল্লামা মুহাম্মাদ ইবন সালিহ ইবন মুহাম্মাদ আল-উসাইমীন (রাহ.), শাইখ সালিহ ইবন আব্দুল আযীয আল শাইখ, শাইখ সালিহ ইবন ফাওযান ইবন আব্দুল্লাহ আল ফাওযান।
কর্ম জীবনে তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদীস বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সালের ১১ই মে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করার আগ পর্যন্ত তিনি উক্ত বিভাগে অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন।
দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বাংলা ইংরেজী ও আরবি ভাষায় তার প্রায় অর্ধশত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গবেষণামূলক গ্রন্থের সংখ্যা ত্রিশের অধিক।
গবেষণা কর্মের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ের লক্ষ্যে ১৯৯৮ খৃষ্টাব্দে তিনি ‘আল ফারুক একাডেমী’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞান ও মূল্যবােধ প্রচার ও মানব সেবার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে ‘আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট’ নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১২ সালে Education and Charity Foundation Jhenaidah নামে একটি শিক্ষা ও সমাজ সেবাসংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ সকল প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রচার, ধর্ম প্রচার, দুস্থ নারী ও শিশুদের সেবা ও পুনর্বাসনে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।

Ordered:0
Items available:10
Add to cart

জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খন্ড)

In stock

23 kr

জিজ্ঞাসা ও জবাব বইটির ভূমিকাঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর জন্যই সকল হামদ। তিনি মানুষকে ইলম দান করেছেন, মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন তা যা সে জানতো না। তিনিই মানুষকে ইলমের মাধ্যমে উন্নত করেছেন। যারা জানে ও যারা জানে না তাদেরকে সমান বলেন নি। যুগে যুগে আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে তারাই ভালো যারা নবী ও রাসূল। তাদের অবর্তমানে তাদের ওয়ারিস আলেমগণ সবচেয়ে ভালো মানুষ। সে মানুষদের জন্যই যতো দুনিয়ার মর্যাদা ও আখরাতের মর্তবা। এদের জন্যই দো’আ করে প্রতিটি প্রাণী এমনকি আকাশের পাখি ও পানির নিচের মাছ। তাদের জন্যই ডানা বিছিয়ে দেয় আল্লাহর মালাইকা। সারা দুনিয়াতে যত ভালো কাজ হয় তা তাদের আলোতে আলোকিত হওয়ার কারণেই হয়ে থাকে। তারাই দুনিয়াকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আখেরাত বিনির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাদেরকেই আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজের পাশে সাক্ষ্য হিসেবে স্থান দিয়েছেন। তাদেরকেই আল্লাহ তাআলা তার দীন জানার জন্য মাধ্যম হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেন, “যদি তোমরা না জানো তবে যারা যিকর (কুরআন ও সুন্নাহ) এর জ্ঞান রাখে তাদের জিজ্ঞাসা কর।”(সূরা আন-নাহল: ৪৩) কোনো এক যুদ্ধে এক সাহাবী আহত হলেন, তিনি পানি ব্যবহারে অসমর্থ হলেন, সাথে থাকা লোকদের কাছে তিনি এর প্রতিকার কী হতে পারে জানতে চাইলেন, কিন্তু তারা তাকে সঠিক পরামর্শ দিতে অসমর্থ হলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যারা জানে না, তাদের জানার ঔষধ হচ্ছে জেনে নেওয়া।”(সুনান আবী দাউদঃ ৩৩৬,৩৩৭) কোনো মানুষের পক্ষেই সর্ববিষয়ে জ্ঞানী হওয়া সম্ভব হয় না। তাদের কতেকের ওপর অপর কতেককে আল্লাহ জ্ঞানী করেছেন। আল্লাহ বলেন, “আর প্রত্যেক জ্ঞানীর ওপরেই জ্ঞানী রয়েছে।”(সূরা ইউসুফ: ৭৫) জ্ঞানীরা তাদের জ্ঞান দিয়ে ইজতিহাদ করে থাকেন, ইজতিহাদ তাদের জ্ঞানকে শানিত করে, ইজতিহাদের কারণে তারা আল্লাহর কাছে পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “বিচারক যদি বিধান জানার জন্য কুরআন ও হাদীসে ইজতিহাদ করে আর সে তাতে ভুল করে তবুও সে এক সাওয়াব পাবে, আর যদি সঠিক মতে পৌঁছতে পারে তো তার দু’ সাওয়াব।”(বুখারী: ৭৩৫২; মুসলিম: ১৭১৬)।
প্রতিটি মাসআলায় কুরআন ও সুন্নাহর দলীল খুঁজে বের করা অনেক কঠিন কাজ। তা আরও কঠিন হয় যখন তা তাৎক্ষনিক কোথাও উপস্থাপন করতে হয়। এ কাজ সবার দ্বারা হয়ে উঠে না। একাজ কেবল ফকীহগণের। যাদেরকে আল্লাহ তাঁর বিশেষ নেয়ামত দিয়ে সিক্ত করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে তিনি ফিকহের জ্ঞান দান করেন।”(বুখারী: ৭১; মুসলিম: ১০৩৭) এ ফকীহগণকে এ জন্যই ক্ষণজন্মা পুরুষ বলা হয়ে থাকে। ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদ রাহিমাহুমুল্লাহসহ উম্মতের সে সব ব্যক্তিবর্গকে আল্লাহ তা’আলা তাঁর বিশেষ নেআমত হিসেবে আমাদের জন্য প্রদান করেছেন। তাদের মর্যাদা যারা বুঝে তারা নিজেরাই অজ্ঞ, জ্ঞানীদের কাতারে তাদের কোনো স্থান নেই।
প্রত্যেক যুগে ও এলাকায় এক বা একাধিক মুজতাহিদ থাকা বাঞ্ছনীয়। না থাকলে উম্মতের সমূহ ক্ষতি হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তাআলা ইলমে একেবারে উঠিয়ে নিবেন না, তিনি আলেমগণকে নিয়ে যাবার মাধ্যমে ইলমকে উঠিয়ে নিবেন। অতঃপর যখন কোনো আলেম থাকবে না তখন লোকেরা তাদের মধ্যকার জাহিল লোকদেরকে তাদের নেতা বানাবে, তখন তাদের প্রশ্ন করা হবে আর তারা ইলম ব্যতীত উত্তর দিবে, এতে করে তারা নিজেরা পথভ্রষ্ট হবে অপরকেও পথভ্রষ্ট করবে।”(বুখারী: ১০০; মুসলিম: ২৬৭৩) বস্তুত: ইলমুল ফিকহ হচ্ছে প্রশ্নোত্তরের সমষ্টি। এজন্যই ইমাম আবু হানীফাকে ফিকহের জনক বলা হয়। কারণ তিনি প্রায় সকল প্রশ্নেরই অবতারণা করেছেন। আর তার অর্ধেক উত্তর তিনি দিয়ে গেছেন। বাকী উত্তরগুলোতে অন্য ফকীহগণ শেয়ার করেছেন। সুতরাং উম্মতের মধ্যে যারাই ফকীহ হবেন তারাই ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ্র পরিবারভুক্ত হবেন এটাই ইমাম শাফেঈর বক্তব্য। আর তা-ই যথার্থ ।
ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ছিলেন তেমনি এক ক্ষণজন্মা মানুষ। যাকে আমরা সত্যিকারের একজন ভাষাবিদ, দাঈ ইলাল্লাহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকীহ বলে বিশ্বাস করি। তিনি ইসলামিক টিভিতে নিয়মিত প্রশ্নোত্তর দিতেন। বিভিন্ন সভা-মাহফিলে জীবন জিজ্ঞাসার জবাব দিতেন। তাঁর উত্তরের বৈশিষ্ট্য ছিল এই যে, তিনি সর্বদা কুরআনে কারীমের আয়াত ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস দিয়ে তার উত্তরকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতেন। তিনি কাউকে আক্রমন করতেন না। ইমামগণকে সম্মানের সাথে উল্লেখ করতেন। কোনো বিষয়ে কেউ তার বিরোধী মত পোষণ করলে সেটাকে দলীলের মাধ্যমে খণ্ডনের চেষ্টা করতেন। প্রচলিত দাওয়ার কাজে কর্মরত মানুষদের ভুল ধরার চেয়ে তাদের সংশোধনের চেষ্টা বেশি করতেন।
জিজ্ঞাসা ও জবাব ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ্র রেখে যাওয়া এ অমূল্য সম্পদের সংরক্ষণ ও যথাযথ প্রচার ইলম প্রচারেরই নামান্তর। আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য যে আমরা জীবিত অবস্থায় মনীষীদের কদর করতে শিখিনি। যদি তিনি আরব বিশ্বের কেউ হতেন তাহলে হয়তো তার জীবনী ভিন্নভাবে লিখা হতো, আর তার জীবনকে ঘিরে থাকতো হাজারো ছাত্রের আনাগোনা! আমার আনন্দ লাগছে যে, তাঁর প্রশ্নোত্তর পর্ব সম্মন্ধ এ কাজটিতে আমি শরীক হতে পেরেছি। আল্লাহর কাছে দু’আ করি তিনি যেন এ মহতিকর্ম কবুল করেন এবং এগুলোকে তাঁর জন্য ও আমাদের মত তাঁর মুহিব্বীনদের জন্যও নাজাতের উসীলা হিসেবে গ্রহণ করেন। আমীন, সুম্মা আমীন।

Ordered:0
Items available:10
Add to cart

কিয়ামুল লাইল ও তারাবীহর রাকাত সংখ্যা

In stock

10 kr

কিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা
একটি হাদীসতাত্ত্বিক পর্যালােচনা

প্রারম্ভিকা: রাতের আঁধারে সালাতের মাধ্যমে আপন রবের নির্জন সান্নিধ্যে সময় কাটানাে মুমিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তির ওয়াসিলা। কুরআন ও সুন্নাহ মুমিনকে রাতের নির্জনতায় সালাত ও কিয়ামে উৎসাহিত করেছে। কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদের জন্য সাধারণভাবে উৎসাহিত করেছে বছরের সকল রাতেই আর বিশেষভাবে রমাযানের রাতে । কিতাব ও সুন্নাহ রাতের সালাতকে মুমিনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্বপূর্ণ সিফাত বলে উল্লেখ করেছে।

ইশার পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত সময়ে আমাদের আদায় করা সকল নফল সালাতকেই ‘কিয়ামুল লাইল’ বা ‘সালাতুল লাইল’ বলে। তাহাজ্জুদ’ শব্দটির উদ্দেশ্য ঘুম থেকে উঠে যে সালাত আদায় করা হয়। আর রমাযান মাসের রাতের সালাতকে ‘তারাবীহ’ বা বিশ্রামের সালাত’ বলা হয়। কেননা এ সালাতে প্রত্যেক চার রাকআত পরপর বিশ্রাম করা হয়।

কিয়ামুল লাইল, বিশেষ করে রমাযান মাসের তারাবীহর সালাতের রাকআত সংখ্যা নির্ধারণে বর্ণনাসমূহে ভিন্নতা রয়েছে। এ পর্যায়ে সাধারণভাবে রাতের সালাত, বিশেষকরে রমাযানের রাতের সালাতের রাকআত সংখ্যার ব্যাপারে বর্ণিত মার’, মাওকুফ ও মাকতূ হাদীসসমহ পর্যালােচনার প্রয়াস পাব। মহান আল্লাহ তাওফীক দাতা।

Ordered:0
Items available:30
Add to cart

মুসলমানী নেসাব : আরাকানে ইসলাম ও ওযীফায়ে রাসূল (সা.)

In stock

25 kr

“মুসলমানী নেসাব : আরাকানে ইসলাম ও ওযীফায়ে রাসূল (সা.)” বইয়ের ভিতর থেকে লেখা:
একদিকে ইসলামের অগণিত অতিপ্রয়ােজনীয় বিষয় আলােচনা করা, অপরদিকে ইসলামের নামে অগণিত কুসংস্কার বা ভুলেভরা প্রাণহীন আনুষ্ঠানিকতার অসারতা আলােচনা করা এত সংক্ষিপ্ত পরিসরে কখনােই সম্ভব নয়। সংক্ষেপ করার অর্থ অনেক কিছু বাদ দিয়ে অল্প কিছু লেখা। এজন্য অনেক জরুরি বিষয় বাদ দিতে হলাে।
পুস্তিকাটিতে শুধুমাত্র সহীহ ও নির্ভরযােগ্য হাদীসের উপর নির্ভর করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। হাদীস থেকে ফিকহী মাসআলাহ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ইমামগণের কিছু মতভেদ আছে। এগুলি এড়িয়ে শুধুমাত্র হানাফী ফিকহের আলােকে পুস্তিকাটি রচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ইমাম আবু হানীফা, মুহাম্মাদ, আবু ইউসূফ, সারাখসী, সামারকান্দী, কাসানী, রাহিমাহুমুল্লাহ প্রমুখ প্রাচীন ইমামগণের প্রসিদ্ধ গ্রন্থসমূহের উপর নির্ভর করা হয়েছে। যেন পাঠক নিশ্চিত মনে এগুলি পালন করতে পারেন। সমাজে মযহাবের নামে প্রচলিত অনেক ভুল, কুসংস্কার ও অনির্ভরযােগ্য বিষয়, যা মযহাবের ইমামগণ উল্লেখ করেননি বা পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে নেই, সেগুলাে পরিহার বা প্রতিবাদ করা হয়েছে।

Ordered:0
Items available:20
Add to cart

রামাদানের সওগাত

In stock

kr

“রামাদানের সওগাত” বইয়ের ভূমিকার লেখা:
“খুতবাতুল ইসলাম” বইটির মাঝে লেখক জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদী সম্মন্ধে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন। কিন্তু বইটির মূল্যের কারণে অনেক আগ্রহী মানুষ শুধুমাত্র রমদ্বান ও রােযা সম্মন্ধে একটি বই চায়। তাই অগণিত পাঠকের চাহিদা মেটাতে শুধুমাত্র রােজার বই হিসেবে “খুতবাতুল ইসলাম” বইটি থেকে রমদ্বান সংশ্লিষ্ট ৫টি খুতবার আলােচনা আলাদা করে একটি বই আকারে শাহরু রমাদ্বান নামে প্রকাশ করা হলাে।

Ordered:0
Items available:30
Add to cart

কুরবানি ও জাবিউল্লাহ

In stock

kr

আমরা ইসমাঈল (আ), ইবরাহীম (আ) বা অন্য কারো স্মৃতির প্রতি সম্মানার্থে, স্মৃতি বা রীতি পালনে “কুরবানি” করি না। হজ্জ ও কুরবানির ঘটনার সাথে ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) এর স্মৃতি বিজড়িত। কিন্তু আমরা তাঁদের স্মৃতির জন্য এ সকল ইবাদত পালন করি না। আমরা মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য কুরবানি করি। মহান আল্লাহ বলেছেন: “অতএব তুমি তোমার রবের জন্য সালাত আদায় কর এবং কুরবানি কর।” (সূরা (১০২) কাউসার: ২ আয়াত) আমরা রাসূলুল্লাহ (স.) এর সুন্নাত অনুসরণে এগুলি পালন করি। তিনি এগুলি পালন, অনুমোদন ও বিধিবদ্ধ করেছেন বলেই আমরা তা পালন করি। ইবরাহীম (আ) এর সবচেয়ে প্রসিদ্ধ স্মৃতি-বিজড়িত বস্তু “মাকাম ইবরাহীম”। কুরআনে মাকামে ইবরাহীমকে সুস্পষ্ট আয়াত বা মুজিযা ও নিদর্শন বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা কেউ মাকামে ইবরাহীম চুম্বন করি না, বরং “হাজারে আসওয়াদ” চুম্বন করি। কারণ রাসূলুল্লাহ (স.) এরূপই করেছেন। কুরবানী সম্পর্কি তথ্যবহুল আলোচনা রয়েছে এই বইটিতে…

Ordered:0
Items available:30
Add to cart

ঈদে মিলাদুন্নবী

In stock

kr

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, নাহমাদুহু ওয়া সাল্লী আলা রাসূলিহীল কারীম। আম্মা বাদ, রাসূলুল্লাহ এমন নবী, মানব জাতির সৃষ্টির শুরুতেই যার মর্যাদার কথা লিপিবদ্ধ হয়েছিল মহান রবের দরবারে। ইবরাহীম (আ) এর দোয়ার বাস্তবায়নে ইসমাঈল (আ) এর বংশে আরবে শ্রেষ্ঠতম কুরাইশ বংশে রাসূলুল্লাহ 4 জন্মগ্রহণ করেন। সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, তিনি সােমবার জন্মগ্রহণ করেন। আবু কাতাদা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ কে সােমবার দিন রােযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন “এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমি নবুয়্যত পেয়েছি।” রাসূলুল্লাহ সঃ এর জন্ম নিঃসন্দেহে উম্মাতের জন্য মহা আনন্দের বিষয়। তবে এ আনন্দ প্রকাশ যদি রাসূলুল্লাহ : ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে হয় তাহলে তাতে সাওয়াব হবে। রাসূলুল্লাহ * এর মীলাদ বা জন্মে আমাদের আনন্দ রাসূলুল্লাহ ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে করতে পারলে আমরা এতে অফুরন্ত সাওয়াব ও বরকত লাভ করতে পারব। মীলাদ পালনের সুন্নাত পদ্ধতি হলাে প্রতি সােমবার সিয়াম পালনের মাধ্যমে। আল্লাহর দবরারে শুকরিয়া জানানাে । রাসূলুল্লাহ ঃ নিজে আমাদের এ পদ্ধতি শিখিয়েছেন। এ ছাড়া আমরা দেখেছি যে, মূসা (আ) ও পরবর্তীকালে রাসূলুল্লাহ আশূরার দিন সিয়াম পালন করেছেন। রাসূলুল্লাহ এর মীলাদ বা জন্মে আনন্দ প্রকাশের দ্বিতীয় সুন্নাত পদ্ধতি হলাে সর্বদা তাঁর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা । তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন আমরা জীবন বিলিয়ে দিলেও তার সামান্যতম প্রতিদান দিতে পারব না, কারণ আমরা হয়ত আমাদের পার্থিব সংক্ষিপ্ত জীবনটা বিলিয়ে দিলাম, কিন্তু তিনি তাে আমাদের পার্থিব ও পারলৌকিক অনন্ত জীবনের সফলতার পথ দেখাতে তাঁর মহান জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাই রাসূলুল্লাহ , এর প্রতি আমাদের নূন্যতম দায়িত্ব যে আমরা সর্বদা তাঁর জন্য সালাত ও সালাম পাঠ করব। আল্লাহর যি ও সালাত সালামের জন্য ওযু করা শর্ত নয়, তবে তা উত্তম। বসে, শুয়ে, দাঁড়িয়ে, হাঁটতে হাঁটতে, ওযুসহ বা ওযুছাড়া সর্বাবস্থায় সালাতসালাম পাঠ করতে হবে। বিভিন্ন সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, একবার সালাত পাঠ করলে বান্দা নিম্নের সাত প্রকার পুরস্কার লাভ করে: একবার দরুদ পাঠ করলে
(১) মহান আল্লাহ দরুদ পাঠকারীর দশটি গােনাহ ক্ষমা করেন।
(২) দশটি সাওয়াব দান করেন
(৩) দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন
(৪) দশটি রহমত দান করেন
(৫) ফিরিশতাগণ তার জন্য দুআ করতে থাকেন।
(৬) ফিরিশতাগণ পাঠকারীর নাম ও তার পিতার নামসহ তার সালাত রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পবিত্র রাওয়ায় পৌছে দেন।
(৭) তিনি নিজে এবার সালাত পাঠকারীর জন্য ১০ বার দুআ করেন। বেশি বেশি সালাত পাঠকারীর জন্য রয়েছে অতিরিক্ত দুটি পুরস্কার: প্রথমত আল্লাহ তার সমস্যা ও দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দিবেন এবং দ্বিতীয়ত: রাসূলুল্লাহ সাঃ এর শাফায়াত তাঁর পাওনা হবে।সালাতের সাথে সাথে সালাম পাঠ করতে হবে। তাঁর উপর সালাম পাঠ করলে, স্বয়ং আল্লাহ সালাম পাঠকারীকে সালাম প্রদান করেন, সালাম রাসূলুল্লাহ এর রাওযা মুবারাকায় ফিরিশতাগণ পৌছে দেন এবং তিনি সালামের উত্তর প্রদান করেন। রাসূলুল্লাহ ও এর আগমনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্যতম দিক হলাে তাঁর মহান শিক্ষা ও পবিত্রতম চরিত্রের কথা বিশ্ববাসীকে জানানাে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর প্রতি ঈমান এনে, তাঁর শরীয়ত মােতাবেক জীবন গঠন করে, তার সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করে, সদা সর্বদা তাঁর উপর দরুদ সালাম পাঠ করে, সাধ্যমত বেশি বেশি তার জীবনী ও হাদীস পাঠ করে ও শ্রবণ করে নিজেদের জন্য নতুন জীবনের নতুন জন্ম লাভ করা। এই তাে হলাে সর্বোচ্চ সফলতা। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফীক প্রদান করুন। আমীন।

Ordered:0
Items available:30
Add to cart

পবিত্র বাইবেল পরিচিতি ও পর্যালোচনা

In stock

80 kr

প্রশংসা মহান আল্লাহর নিমিত্ত। সালাত ও সালাম তাঁর বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ (২) এর জন্য, তাঁর বান্দা আদম, নূহ, ইবরাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব, মূসা, ঈসা ও অন্যান্য সকল নবীরাসূলের জন্য, তাদের পরিজন ও সহচরদের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব অনুষদে অধ্যাপনার কারণে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব আমাদের পড়তে ও পড়াতে হয়। ছাত্র ও গবেষকবৃন্দ এ বিষয়ে কিছু লেখা আশা করেন। পাশাপাশি সংযুক্ত হয়েছে ধর্মপ্রচার বিষয়ক বিশেষ প্রেক্ষাপট। বিশ্বায়নের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল সভ্যতা, ভাষা ও সংস্কৃতির মত সকল ধর্মও কাছাকাছি হয়ে গিয়েছে। বেড়েছে আন্তঃধর্মীয় আলােচনা, সংলাপ, বিতর্ক ও দ্বন্দ্ব। বিভিন্ন ধর্মের প্রচার বেড়েছে। বিভিন্ন ধর্ম অধ্যয়নে মানুষের আগ্রহও বেড়েছে। বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা নিজ ধর্মের প্রচারের পাশাপাশি নিজ ধর্মের বিরুদ্ধে অন্যান্য ধর্মের প্রচারকদের প্রচারণা খণ্ডনের চেষ্টাও বাড়িয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটেই এ পুস্তকটার রচনা। বিগত শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকেই খ্রিষ্টধর্মীয় প্রচারকরা বাংলাদেশে খ্রিষ্টধর্মের প্রচার জোরদার করেছেন। স্বভাবতই তারা বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ বা মুসলিমকে খ্রিষ্টধর্মের গুরুত্ব বােঝাতে কমবেশি হিন্দু, বৌদ্ধ বা ইসলাম ধর্ম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বা নবীর উপর আক্রমণ করেন। বিশেষ করে মুসলিমরা যেহেতু তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীদের (সকলের প্রতি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি বর্ষিত হােক) প্রতি ভক্তিপ্রবণ, সেহেতু মুসলিম সমাজে খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে তারা এ সকল ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করেন। এ ছাড়া মুহাম্মাদ (y)-এর অনুসরণের মাধ্যমে মুক্তি সম্ভব নয় বলে প্রমাণ করার জন্য তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর কথা প্রচার করেন। তাদের বক্তব্য অনেক মুসলিমকে আহত করে। কখনাে বা সংঘাত সৃষ্টি করে। মুসলিম প্রচারকরা এ বিষয়ে তথ্য নির্ভর গ্রন্থাদি আশা করেন। বাংলা ভাষায় এ জাতীয় বইয়ের অভাব। এ অভাব পূরণ করে পবিত্র বাইবেল পর্যালােচনা ও সমালােচনায় বাঙালি পাঠকের সামনে সামগ্রিক তথ্যাদি তুলে ধরাই এ পুস্তকের উদ্দেশ্য। ধর্মতত্তের পাঠক ও পাঠদাতা হিসেবে আমরা মনে করি, ধর্ম আলােচনায় কেউ কখনােই নিরপেক্ষ হতে পারেন না, তবে বস্তুনিষ্ঠ হতে পারেন এবং হওয়াই উচিত। প্রতিটা মানুষই তার বিশ্বাসের পক্ষে এবং বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত। নাস্তিক, ধর্মবিহীন আস্তিক এবং ধর্মানুসারী আস্তিক প্রত্যেকেই তার বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত হন। আমিও আমার বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত। তবে আমি আমার সাধ্যমত তথ্য উপস্থাপনায় ও পর্যালােচনায় বস্তুনিষ্ঠ থাকার চেষ্টা করেছি। বিশেষত অন্য ধর্মের আলােচনায় কুরআন ও সুন্নাহ যে নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ আরােপ করেছে তা মেনে চলার চেষ্টা করেছি। কুরআন বলছেঃ “তােমরা ধর্মগ্রন্থ-অনুসারীদের (অন্য ধর্মের অনুসারীদের) সাথে সর্বোত্তম পদ্ধতিতে ছাড়া বিতর্ক করবে না” (সূরা-২৯ আনকাবুত: আয়াত ৪৬)। কুরআন অন্যত্র বলেছে: “আল্লাহ ছাড়া যাদের তারা ডাকে তােমরা তাদের বিষয়ে কটুক্তি করবে না।” (সূরা-৬ আনআম: আয়াত ১০৮)। গবেষণার বস্তুনিষ্ঠতা ও ধর্মীয় নির্দেশনার আলােকে আলােচনা, পর্যালােচনা ও সমালােচনার ক্ষেত্রে আমরা কয়েকটা মূলনীতি রক্ষার চেষ্টা করেছি…..

Ordered:0
Items available:10
Add to cart

In stock

15 kr

“সালাতের মধ্যে হাত বাঁধার বিধান : একটি হাদীসতাত্ত্বিক পর্যালোচনা” বইয়ের ভূমিকার লেখা:
গ্রন্থটিকে তিনটি পর্বে বিভক্ত করেছি। প্রথম পর্বে এ বিষয়ক হাদীসগুলাে ইলমুল হাদীসের মানদ-ে অধ্যয়নের চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয় পর্বে উম্মাতের প্রথম প্রজন্মগুলাের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও হাদীসপন্থী ফকীহগণের বক্তব্যের আলােকে সহীহ ও হাসান হাদীসগুলাের নির্দেশনা নির্ধারণের চেষ্টা করেছি। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের আলােচনা থেকে প্রতিভাত হয়েছে যে, সহীহ হাদীস পালনের বিষয়ে ঐকমত্য সত্ত্বেও সহীহ হাদীস নির্ধারণ, হাদীসের নির্দেশনা নির্ধারণ, একাধিক সহীহ হাদীসের সমন্বয় ও হাদীসের ফিকহী নির্দেশনা নির্ধারণের ক্ষেত্রে উম্মাতের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও ফকীহগণ ব্যাপক মতভেদ করেছেন। এরই আলােকে তৃতীয় পর্বে উম্মাতের মতভেদ, প্রান্তিকতা, কারণ, প্রতিকার ও এ বিষয়ে সালাফ সালিহীনের কর্মধারা আলােচনা করেছি।

Ordered:0
Items available:30
Add to cart

শবে বরাত

In stock

10 kr
শবে বরাতের নফল নামাজ  ইবাদত

বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে  দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ)। ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ; সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ। প্রতিটি নফল ইবাদতের জন্য তাজা অজু বা নতুন অজু করা মোস্তাহাব।

Ordered:0
Items available:20
Add to cart

আল্লাহর পথে দওয়াত

In stock

10 kr

‘‘আল্লাহর পথে দাওয়াত’’বই এর ভূমিকা:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আল-হামদু লিল্লাহ। ওয়া সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ। ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন।
আল্লাহর পথে আহ্বান করতেই নবী-রাসূলগণের (আ) আগমন। মুমিনের জীবনের অন্যতম দায়িত্ব এই দা’ওয়াত। কুরআন কারীমে এ দায়িত্বকে কখনো দা’ওয়াত, কখনো সঙ্কার্যে আদেশ ও অসৎকার্যে নিষেধ, কখনো প্রচার, কখনো নসীহত ও কখনো দীন প্রতিষ্ঠা বলে অভিহিত করা হয়েছে।
করআন ও হাদীসের আলোকে এ কাজের গুরুত, এর বিধান, পুরস্কার, এ দায়িত্ব পালনে অবহেলার শাস্তি, এ কর্মে অংশগ্রহণের শর্তাবলী ও এর জন্য আবশ্যকীয় গুণাবলী আলোচনা করেছি এই পুস্তিকাটিতে। এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তি, যেমন বিভিন্ন অজুহাতে এ দায়িত্বে অবহেলা, ফলাফলের ব্যস্ততা বা জাগতিক ফলাফল ভিত্তিক সফলতা বিচার, এ দায়িত্ব পালনে কঠোরতা ও উগ্রতা, আদেশ, নিষেধ বা দা’ওয়াত এবং বিচার ও শাস্তির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়, আদেশ, নিষেধ বা দা’ওয়াত এবং গীবত ও দোষ অনুসন্ধানের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করেছি। সবশেষে এ ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে সুন্নাতে নববী এবং এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তির কথা আলোচনা করেছি। হাদীসের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সহীহ বা নির্ভরযোগ্য হাদীসের উপর নির্ভর করার চেষ্টা করেছি। মুহাদ্দিসগণ অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষার মাধ্যমে হাদীসের বিশুদ্ধতা ও দুর্বলতা নির্ধারণ করেছেন, যে নিরীক্ষা-পদ্ধতি বিশ্বের যে কোনো বিচারালয়ের সাক্ষ্য-প্রমাণের নিরীক্ষার চেয়েও বেশি সুক্ষ্ম ও চুলচেরা । এর ভিত্তিতে যে সকল হাদীস সহীহ বা হাসান অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছে আমি আমার আলোচনায় শুধুমাত্র সে হাদীসগুলিই উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। অতি নগন্য এ প্রচেষ্টাটুকু যদি কোনো আগ্রহী মুমিনকে উপকৃত করে তবে তা আমরা বড় পাওয়া। কোনো সহৃদয় পাঠক দয়া করে পুস্তিকাটির বিষয়ে সমালোচনা, মতামত, সংশোধনী বা পরামর্শ প্রদান করলে তা লেখকের প্রতি তাঁর এহসান ও অনুগ্রহ বলে গণ্য হবে।

Ordered:0
Items available:20
Add to cart

সালাত, দু’আ ও যিকর

In stock

30 kr

পিতা মরহুম খোন্দকার আনোয়ারুজ্জামান। মাতা বেগম লুৎফন্নাহার।
ঝিনাইদহ আলিয়া মাদ্রাসায় ফাজিল পর্যন্ত অধ্যয়নের পর ১৯৭৯ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে প্রথম শ্রেণীতে অষ্টম স্থান অধিকার করে হাদীস বিষয়ে কামিল পাশ করেন। সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬, ১৯৯২ ও ১৯৯৮ সালে যথাক্রমে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পি-এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশ ও বিদেশে যে সকল প্রসিদ্ধ আলিমের কাছে তিনি পড়াশোনা ও সাহচর্য গ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খতীব মাওলানা ওবাইদুল হক (রাহ.), মাওলানা মিয়া মোহাম্মাদ কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আনোয়ারুল হক কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আব্দুল বারী সিলেটী (রাহ.), মাওলানা ড. আইউব আলী (রাহ.), মাওলানা আব্দুর রহীম (রাহ.), আল্লামা শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল আযীয ইবন বায (রাহ.), আল্লামা আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন (রাহ.), আল্লামা মুহাম্মাদ ইবন সালিহ ইবন মুহাম্মাদ আল-উসাইমীন (রাহ.), শাইখ সালিহ ইবন আব্দুল আযীয আল শাইখ, শাইখ সালিহ ইবন ফাওযান ইবন আব্দুল্লাহ আল ফাওযান।
কর্ম জীবনে তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদীস বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সালের ১১ই মে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করার আগ পর্যন্ত তিনি উক্ত বিভাগে অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন।
দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বাংলা ইংরেজী ও আরবি ভাষায়। তার প্রায় অর্ধশত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গবেষণামূলক গ্রন্থের সংখ্যা ত্রিশের অধিক।
গবেষণা কর্মের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ের লক্ষ্যে ১৯৯৮ খৃষ্টাব্দে তিনি ‘আল ফারুক একাডেমী’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞান ও মূল্যবোধ প্রচার ও মানব সেবার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে ‘আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট’ নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১২ TC Education and Charity Foundation Jhenaidah নামে একটি শিক্ষা ও সমাজ সেবাসংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ সকল প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রচার, ধর্ম প্রচার, দুস্থ নারী ও শিশুদের সেবা ও পুনর্বাসনে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।

Ordered:0
Items available:20
Add to cart

দৈনন্দিন মাসনূন দুআ ও যিকর

In stock

kr

অনেক দ্বীনদার মানুষ চান সংক্ষিপ্তাকারে কিছু মাসনূন যিকির ও দুআর একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ, যা সবসময় নিজের সাথে বহন করা যাবে। তাদের আগ্রহ ও চাহিদার দিক বিবেচনা করেই মূলত সংক্ষিপ্ত এ পুস্তিকাটি সঙ্কলন করা হয়েছে। এই পুস্তিকার সকল তথ্য ও ‘রাহে বেলায়াত’ এবং ‘সহীহ মাসনূন ওযীফা’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। উক্ত গ্রন্থগুলোর পাদটীকায় গ্রন্থকার বিস্তারিত তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছেন। সংক্ষেপণের উদ্দেশ্যে আমরা শুধু দুয়েকটি কিতাবের নাম ও শামিলায় প্রদত্ত হাদীস নাম্বার উল্লেখ করেছি। আগ্রহী পাঠককে লেখকের মূলগ্রন্থ থেকে বিস্তারিত তথ্য দেখে নেবার অনুরোধ করছি।

সংক্ষিপ্ত এ পুস্তিকায় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পরবর্তী এবং সকাল-সন্ধ্যার মাসনূন যিকরসহ একজন মুমিনের ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত দৈনন্দিন পালনীয় কিছু মাসনূন যিকর ও দুআ সঙ্কলন করা হয়েছে। এছাড়া পুস্তিকার শুরুতে সংক্ষেপে যিকরের পরিচয়, গুরুত্ব ও ফযীলত তুলে ধরা হয়েছে।

Ordered:0
Items available:20

সহীহ মাসনূন ওযীফা

In stock

kr

প্রথমত, বিশুদ্ধভাবে তাওহীদ ও রিসালতের উপর ঈমান আনুন। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগণের আকীদা বা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদা যা ইমাম আবু হানীফার (রহ) “ফিকহুল আকবার”, ইমাম তাহাবীর (রহ) “আকীদায়ে তাহাবীয়া” ও অন্যান্য প্রাচীন ইমামগণের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থসমূহে লিপিবদ্ধ রয়েছে সে অনুসারে নিজেদের আকীদা গঠন করুন। পরবর্তী যুগের বিদ‘আত ও বানোয়াট আকীদা বর্জন করুন। সাথে সাথে সকল প্রকার শিরক, কুফর, বিদ‘আত ও ইলহাদ থেকে আত্মরক্ষা করুন। দ্বিতীয়ত, সকল প্রকার হারাম উপার্জন পরিহার করুন। ফরয ইবাদত বিশুদ্ধভাবে পালন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। সকল কবীরা গোনাহ ও হারাম বর্জন করুন। কোনো মানুষ অথবা প্রাণীর হক বা অধিকার নষ্ট করা বা ক্ষতি করা বিষবৎ পরিত্যাগ করুন। তৃতীয়ত, মনকে হিংসা, ঘৃণা, বিদ্বেষ, অহংকার, আত্মতৃপ্তি, জাগতিক সম্মান, প্রতিপত্তি বা টাকা-পয়সার লোভ থেকে যথাসম্ভব পবিত্র রাখার জন্য সর্বদা সতর্কতার সাথে চেষ্টা করুন। এজন্য সর্বদা আল্লাহর দরবারে তাওফীক চেয়ে কাতরভাবে দু‘আ করুন। প্রয়োজন ছাড়া মানুষের সাথে হাসি তামাশা বা গল্পগুজব যথাসম্ভব কম করুন। চতুর্থত, নফল ইবাদত বেশি বেশি পালনের চেষ্টা করুন। মানুষের সেবা, উপকার ও সাহায্য জাতীয় কাজ যথাসম্ভব বেশি করুন। নফল সালাত যথাসম্ভব বেশি আদায়ের চেষ্টা করবেন। বিশেষত তাহাজ্জুদ, ইশরাক ও মাগরিবের পরে কিছু নফল সালাত (আওয়াবীন নামে পরিচিত) সর্বদা পালন করবেন।

Ordered:0
Items available:20

ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ : আলোচিত ও অনালোচিত কারণসমূহ

In stock

10 kr

আমাদের সমাজের সকল মানুষ এবং ইসলাম সম্পর্কে যাদের সামান্য জ্ঞানও আছে তারা সকলেই জানেন যে, জাতি, ধর্ম , বর্ণ , গোত্র নির্বিশেষে সমাজের সকল মানুষের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা ইসলামী ধর্মবিশ্বাসের অন্যতম প্রেরণা । তাত্ত্বিক , প্রায়োগিক ও ঐতিহাসিকভাবে তা সর্বজনবিদিত । বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সকল মানুষই ধর্মীয়ভাবে শান্তিপ্রিয় । সবাই আমরা শান্তি চাই । এখন সমস্যা হলো, তাহলে ইসলামের নামে বোমাবাজি , অশান্তি , নিরিহ নিরপরাধ মানুষ হত্যা, আত্মহত্যা ইত্যাদি কেন ঘটছে ? এ সকল ঘটনার কারন জানা শুধু কৌতূহল নিবারণের বিষয় নয়, বরং সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায় । সন্ত্রাস একটি ভয়ঙ্কর সামাজিক ব্যাধি । এর নিরাময়ের জন্য এর সঠিক কারন নির্ণয় করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ । সঠিক কারন নির্ণয় এই ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ের পথ সুগম করে । পক্ষান্তরে এর কারন নির্ণয়ে বিভ্রান্তি সমস্যাকে আরো ভয়ঙ্কর করে তুলতে পারে ।

Ordered:0
Items available:10

বাংলাদেশে উশর বা ফসলের যাকাত : গুরুত্ব ও প্রয়োগ

In stock

13 kr

বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম ধর্মপ্রাণ । ধর্মীয় বিধি বিধান অনেকেই পুরােপুরি মানতে না পারলেও সকল বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ অটল। কমবেশি পালনের চেষ্টাও অনেকেই করেন। কিন্তু একটি ফরয ইবাদত যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি স্ত ম্ভের অংশ তা বাংলাদেশের ধার্মিক মুসলমানগণও পালন করেন না। ভাবতে বড়ই অবাক লাগে। যে ধার্মিক মুসলিম পাঁচ ওয়াক্ত নামায ছাড়াও সাধ্যমত সুন্নাত ও নফল নামায আদায় করছেন। ফরয রােযা পালন ছাড়াও সাধ্যমত নফল রােযা পালন করছেন। এছাড়া অনেক প্রকার সুন্নাত, নফল, যিকির, দান ও অন্যান্য কাজ করছেন। এমনকি পােশাক-পরিচ্ছদ, ওঠা-বসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আদবও ত্যাগ করতে চান না। এই মুসলিমই কুরআন করীমের স্পষ্ট নির্দেশ, অসংখ্য হাদীসের স্পষ্ট নির্দেশ, সকল মুসলিম উম্মাহর ঐকমত্যের মাধ্যমে ফরয ইবাদত ফসলের যাকাত বা উশর প্রদানের ইবাদত পালন করেন না। বাংলাদেশের প্রায় কোন মুসলিমই ফসলের যাকাত প্রদান করেন না। প্রশ্ন হলাে কেন এই অবাধ্যতা? কেন এই অবহেলা? প্রশ্ন করলে অনেক আলেম বলেন: বাংলাদেশের খারাজী জমিতে উশর প্রদান জরুরী নয়। “খারাজী জমিতে উশর প্রদান জরুরী নয়” কথাটি ইমাম আবু হানীফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মত, তা ঠিক। কিন্তু আমাদের কি দেখা উচিত নয় যে, বাংলাদেশের জমি কোন শ্ৰেণীর? খারাজী না উশরী? আমাদের কি দেখা উচিত নয় যে, আমরা খারাজী জমির খারাজ আদায় করছি কিনা? আমাদের কি একটু দেখা দরকার না, কাকে কি পরিমাণ খারাজ দিলে উশর মাফ হতে পারে? এগুলি কিছুই না দেখে আমাদের চুপ করে থাকাটা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল – এর নির্দেশের প্রতি আমাদের অবহেলারই নামান্তর। মুমিনের মন তাে ছটফট করবে তার উপর অর্পিত ফরয দায়িত্বগুলি পালিত হলাে কিনা তা দেখার জন্য । কেউ যদি তাকে বলে যে, অমুক অবস্থায় নামায না পড়লেও চলবে, তবুও সে ছটফট করবে সত্যিই বিষয়টি ঠিক কিনা? সত্যি হলেও সে চেষ্টা করবে কষ্ট করে হলেও তা আদায় করার। যদি কেউ তাকে বলে যে, অমুক পরিস্থিতিতে রােযা না রাখলেও চলবে, তাহলে তিনি প্রথমে বিষয়টি যাচাই করবেন। এরপরও কষ্ট করে হলেও সময় মত তা পালনের চেষ্টা করবেন। যাকাতের ক্ষেত্রেও কি আমাদের আকুতি একইরূপ হওয়া উচিত নয়? আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেছেন উশরের বিষয়ে, যা থেকে আমার মনে হয়েছে, বাংলাদেশের অনেক মুমিন মনেই যাকাতের ক্ষেত্রে একইরূপ আকুতি আছে। তাদের এই আকুতি সংক্রমিত হয়েছে আমার মধ্যে। সামান্য পড়াশুনার মাধ্যমে যে সত্যটি আমার কাছে ধরা পড়েছে তা হলাে, বাংলাদেশের সকল অথবা অধিকাংশ ভূমি উশরী ভূমি, যার উশর দেওয়া মুমিনের উপর ফরয । কিছু ভূমি খারাজী বলে গণ্য হবে, কিন্তু ফিকহের বিধান অনুসারে তা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। আর যেক্ষেত্রে ভূমির খারাজী হওয়ার বিষয়ে সামান্যতম সন্দেহ থাকবে সেক্ষেত্রেও সেই জমির উশর প্রদান করা ফরয। সর্বোপরি আমরা দেখতে পেয়েছি, বাংলাদেশের কোন জমিরই ইসলামী খারাজ প্রদান করা হয় না। আমরা যারা “খারাজী জমির উশর দিতে হবে ” বলে বাংলাদেশে উশর প্রদান করছি না তাদের অবস্থা হলাে ঐ ব্যক্তির মত যে, “গ্রামে জুমআর নামায হবে না” বলে জুমআর নামায পড়ল না। এরপর আর যােহরও পড়ল না। যদিও উশর বা ফসলের যাকাতই আমাদের মূল আলােচ্য বিষয় তবুও যেহেতু তা যাকাত ব্যবস্থারই অংশ তাই বইটিতে আমি ইসলামে যাকাত ব্যবস্থার গুরুত্ব, যাকাত প্রদানের ফযীলত, যাকাত প্রদান না করার ভয়াবহ পরিণতি ও যাকাত ব্যবস্থার কতিপয় মূলনীতি আলােচনা করেছি। এ বিষয়ক কিছু বাড়াবাড়িও আলােচনা করেছি। বাড়াবাড়ি বুঝাতে পণ্ডিতগণ একটি তুলনামুলক বাক্য ব্যবহার করেন, যেমন “মার্কসের চেয়েও বেশী মার্কসবাদী”। আমরা দেখেছি, আমাদের দেশে বর্তমানে কিছু মুসলিম ইসলাম ধর্ম হৃদয়ঙ্গম করা ও পালনের ক্ষেত্রে “ইসলামের নবীর () চেয়েও বেশী মুসলিম” হতে চান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সার্বিক আদর্শ, শিক্ষা, কর্ম, তাঁর সাহাবীগণের কর্ম ও জীবনপদ্ধতি না জেনে শুধুমাত্র কুরআন করীমের দুই একটি আয়াত বা দুই চারটি হাদীসের সাথে নিজের মনের আবেগ, ব্যক্তিগত বুদ্ধি বা নির্বুদ্ধিতা মিশিয়ে নতুন ইসলাম তৈরী করেন। যাকাতের ক্ষেত্রে এ ধরনের বাড়াবাড়ির মধ্যে রয়েছে দৈনিক যাকাত প্রদান, যাকাতের ক্ষেত্রে নিসাব বা বর্ষপূর্তির শর্ত না মানা, নামাযের মত বাংলাদেশে উশর বা ফসলের যাকাত পুরস্কার, নেক কর্মময় দীর্ঘ জীবন, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বোত্তম সফলতা দান করুন। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ মুস্তাফিজুর রহমান তার মহামূল্যবান সময় ব্যয় করে বইটি পড়ে আমাকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও পরামর্শ প্রদান করেছেন। মহান রাব্বল আলামীন তাকে সর্বোত্তম পুরস্কার ও বরকতম দীর্ঘ জীবন প্রদান করুন ।

Ordered:0
Items available:5

খুতবাতুল ইসলাম: জুমআর খুতবা ও সমকালীন প্রসঙ্গ

In stock

20 kr

আমাদের সমাজের অধিকাংশ মসজিদ অবহেলিত। যােগ্য ও উচ্চ শিক্ষিত ইমামের চেয়ে সস্তা ও অনুগত ইমাম খোঁজা হয়। তদুপরি মসজিদ কমিটির খগড়ের নিচে বসে ইমাম সাহেব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পান না। তারপরও সমাজের দুর্নীতি, যৌতুক, এসিড, সহিংসতা, মাদকতা, অশ্লীলতা ইত্যাদি রােধে এ সকল অবহেলিত মসজিদগুলির সস্তা ইমামগণ “বিলিয়ন ডলার” প্রকল্পের চেয়ে অনেক বেশি অবদান রাখছেন। মসজিদের মিম্বারগুলিকে সমাজগঠনে সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য আমাদের প্রয়ােজন হলাে: (১) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও জুমুআর সালাতের গুরুত্ব সম্পর্কে জাতীয় সকল প্রচার মাধ্যমে প্রচার চালানাে এবং সকল মুসলিমকে মসজিদমুখি করার চেষ্টা করা। (২) মসজিদের জন্য যােগ্য আলিম ইমাম নিয়ােগের ব্যবস্থা করা। (৩) ইমাগণের চাকুরী স্থানীয় মসজিদ কমিটির উপর ষােলআনা ন্যস্ত না করে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনা। (৪) ইমামগণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। (৫) কুরআন ও সুন্নাহের আলােকে জীবন ও সমাজমুখী খুতবা প্রদানের জন্য প্রয়ােজনীয় তথ্যাদি তাদের সামনে উপস্থাপন করা।

Ordered:0
Items available:5

কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা

In stock

14 kr

আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতা মানুষের জৈবিক বা পাশবিক জীবনকেই একমাত্র উদ্দেশ্য হিসাবে গ্রহণ করেছে। এজন্য পাশ্চাত্য সভ্যতার দৃষ্টিতে ‘স্মার্টনেস’ বা ‘ব্যক্তিত্বে’-র অন্যতম বৈশিষ্ট্য ‘অহঙ্কার’। যাকে দেখলে যত ‘অহঙ্কারী’ বা ‘কঠিন’ মনে হবে সে তত বেশি ‘ব্যক্তিত্বসম্পন্ন’ বা ‘স্মার্ট’। পাশ্চাত্য পোশাক পরিচ্ছদে এই বৈশিষ্ট্য রক্ষার জন্য সদা চেষ্টা করা হয়।

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নির্দেশ মত টাখনু পর্যন্ত পোশাক পরিধান করলে দেখতে খারাপ দেখায়, সেকেলে মনে হয় বা স্মার্টনেস পরিপূর্ণ হয় না সেজন্য টাখনুর নিচে নামিয়ে পোশাক পরতে হয়। আর এই অনুভুতিটির নামই অহমিকা, অহংকার, গর্ব ও গৌরব। স্মার্ট দেখানোর উদ্দেশ্যে পোশাক ভূলুণ্ঠিত করাকেই হাদীসের ভাষায় গৌরব বা গর্বভরে পোশাক ভূলুণ্ঠিত করা বলা হয়েছে। মনের গভীরে এই অহমিকা, “স্মার্ট দেখানোর” আগ্রহ ছাড়া কেউই ইচ্ছাকৃতভাবে পায়ের গিরা আবৃত করে পোশাক তৈরি করেন না বা পরেন না। সর্বোপরি উপরের হাদীসগুলি জানার পরে কেউ ভাবতে পারেন না যে ইচ্ছাকৃতভাবে পোশাক নামিয়ে পরা কোনোভাবে জায়েয হতে পারে।… বিস্তারিত জানতে “কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা” বইটি পড়ুন

Ordered:0
Items available:10

রাহে বেলায়াত

In stock

22 kr

রাহে বেলায়াত-এর বিষয়বস্তু পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত ছিল। এবার নতুন দুটি অধ্যায় সংযোজন করে গ্রন্থটিকে সাত অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে। সকল অধ্যায়েই কমবেশি পরিবর্তন, সংশোধন বা সংযোজন করা হয়েছে। বিশেষ করে “সালাত ও বেলায়াত” নামে নতুন একটি অধ্যায় তৃতীয় অধ্যায় হিসেবে সংযোজন করা হয়েছে। এ অধ্যায়ে সালাত বিষয়ক ‘রাহে বেলায়াতের’ পূর্ববর্তী সংস্করণের যিকর ও দু‘আ গুলোর সাথে আরো কিছু যিকর ও দু‘আ সংযোজন করা হয়েছে এবং সহীহ হাদীসের আলোকে সালাত আদায়ের মাসনূন পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। “রোগব্যাধি ও ঝাড়ফুঁক” শিরোনামের ষষ্ঠ অধ্যায়টি সম্পূর্ণ নতুন সংযোজন। রোগব্যাধি জীবনের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। দীর্ঘদিন যাবত অগণিত পাঠক বিভিন্নভাবে তাদের বিভিন্ন সমস্যা, রোগব্যাধি, বিপদাপদ ইত্যাদির জন্য সুন্নাতসম্মত দু‘আ যিকর ও চিকিৎসা পদ্ধতি জানতে চাচ্ছেন। কারণ তাবীয-কবয ইত্যাদির শিরক সম্পর্কে অনেক আলিমই কথা বলছেন। আমি আমার ‘ইসলামী আকীদা’ গ্রন্থেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। পাঠকগণ তাবিয-কবয বর্জন করতে চান। কিন্তু বিকল্প সুন্নাত পদ্ধতি তো তাদের জানতে হবে। আর এজন্যই এ অধ্যায়টি সম্পূর্ণ নতুন সংযোজন করা হলো। মহান আল্লাহর কাছে আমরা সকাতরে দু‘আ করি, তিনি যেন এ সকল সুন্নাত-নির্দেশিত দু‘আ ও ঝাড়ফুঁকের ব্যবহারকারীদেরকে পরিপূর্ণ উপকার ও কল্যাণ প্রদান করেন।…বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন।

Ordered:0
Items available:10

ইসলামি বই